নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের যশোর জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহমিদ হুদা বিজয়কে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। রবিবার দিবাগত রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। বিজয় রেলগেট তেতুলতলা এলাকার ফকরে আলমের ছেলে।

সোমবার (২৩ জুন) তাকে বিএনপির জেলা কার্যালয়ে হামলার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, গত বছরের ৪ আগস্ট যশোর শহরের লালদীঘি এলাকায় বিএনপির জেলা কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাট ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে অফিসের আসবাবপত্র, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রী পুড়ে যায়। তদন্তে উঠে এসেছে, বিজয় ওই হামলায় জড়িত ছিলেন। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এসব প্রেক্ষিতে তাকে আটক করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন

এক দিনে গ্রেপ্তার ১৭৯৭

ঢাকা/রিটন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত করছে পুলিশ

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এর একটি হচ্ছে গাজীপুরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের ধাওয়া দেওয়ার ভিডিও ধারণ করা এবং আরেকটি হচ্ছে পূর্বশত্রুতার বিষয়। পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করেছে তারা। তাঁদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী গোলাপি, মো. স্বাধীন ও আল আমিন। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এই চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা ছিনতাইকারী দলের সদস্য। এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে।

পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের তিনটি দল ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে। গতকাল রাত আনুমানিক ১০টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান ও তাঁর স্ত্রী গোলাপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অপর একটি দল গাজীপুর শহরের পাশ থেকে স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়।নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ