পেহেলগাম হামলায় জড়িতরা পাকিস্তানি নাগরিক: ভারত
Published: 23rd, June 2025 GMT
ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সি (এনআইএ) দাবি করেছে, কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর চালানো ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত তিনজন জঙ্গিই ছিল পাকিস্তানি নাগরিক। তারা নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়্যবার সদস্য বলেও জানিয়েছে এনআইএ। খবর বিবিসির।
গত ২২ এপ্রিল বৈসরণ উপত্যকায় চালানো ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন। ঘটনার পরপরই এই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় এনআইএর হাতে। তদন্ত সংস্থাটি জানায়, সম্প্রতি কাশ্মীরের দুই বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হামলার আগে ওই তিন জঙ্গিকে স্থানীয় একটি কুঁড়েঘরে আশ্রয় দিয়েছিল। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা এনআইএর হেফাজতে রয়েছেন।
প্রথমে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, হামলাকারীদের মধ্যে দু’জন পাকিস্তানি ও একজন স্থানীয় নাগরিক। তবে এনআইএ শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, তিনজনই বিদেশি। হামলার পর কাশ্মীরজুড়ে ব্যাপক তল্লাশি ও আটক অভিযান চালানো হলেও এখন পর্যন্ত জঙ্গিরা ধরা পড়েনি।
প্রথমে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে একটি জঙ্গিগোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করলেও পরে আবার অস্বীকার করে তারা। এনআইএর নতুন দাবির বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি পাকিস্তান। তবে আগেই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছিল দেশটি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত করছে পুলিশ
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এর একটি হচ্ছে গাজীপুরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের ধাওয়া দেওয়ার ভিডিও ধারণ করা এবং আরেকটি হচ্ছে পূর্বশত্রুতার বিষয়। পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করেছে তারা। তাঁদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী গোলাপি, মো. স্বাধীন ও আল আমিন। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এই চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা ছিনতাইকারী দলের সদস্য। এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের তিনটি দল ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে। গতকাল রাত আনুমানিক ১০টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান ও তাঁর স্ত্রী গোলাপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অপর একটি দল গাজীপুর শহরের পাশ থেকে স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়।নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন