অপেক্ষাটা ছিল, রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে ক্লাব বিশ্বকাপে কিলিয়ান এমবাপ্পের অভিষেক। অবশেষে সেই দিন এলো ক্লাব বিশ্বকাপের মঞ্চে। যদিও কাঙ্ক্ষিত রূপকথার শুরু হয়নি। তবে রিয়ালের জয়রথ থামেনি। জুভেন্টাসকে ১-০ গোলে হারিয়ে জায়গা করে নিয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে।

সোমবার (০১ জুলাই) রাতে হার্ড রক স্টেডিয়ামে রিয়ালের জার্সিতে প্রথমবার মাঠে নামেন এমবাপ্পে, তবে বদলি হিসেবে। অসুস্থতার কারণে গ্রুপ পর্বে ছিলেন দর্শকসারিতে। আর সেই অনুপস্থিতিতেও দলের পারফরম্যান্সে কোনো ছন্দপতন ঘটেনি। এবার শেষ ষোলোয় ফিরেই ছুঁয়ে ফেললেন মাঠের ঘাস। মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে গ্যালারির একাংশে দেখা যায় উচ্ছ্বাসের বিস্ফোরণ। কিন্তু এমবাপ্পে নিজে ছিলেন কিছুটা স্তিমিত।

অভিষেক ম্যাচে গোলের দেখা না পেলেও এই ম্যাচে নজর কাড়েন একাডেমি থেকে উঠে আসা তরুণ গনসালো গার্সিয়া। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ড এর বাড়ানো বল থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন এই তরুণ। এটি ছিল টুর্নামেন্টে তার তৃতীয় গোল। প্রতিভার জোরে নিজেকে বারবার প্রমাণ করে চলেছেন তিনি।

প্রথমার্ধে অবশ্য গোলের চেষ্টা জুভেন্টাসেরই বেশি চোখে পড়ে। কেনান ইলদিজ ও র‌্যান্ডাল কোলো মুয়ানি কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেন। একটিতে বল অল্পের জন্য কোর্তোয়ার ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। পরেরটি লক্ষ্যে না থাকলেও সতর্ক করে দিয়েছিল রিয়ালকে। তবে ধীরে ধীরে ছন্দ খুঁজে পেতে থাকে জাবি আলোনসোর দল।

এই ম্যাচে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নাম মিচেল ডি গ্রেগরিও, জুভেন্টাসের গোলরক্ষক। একের পর এক দুর্দান্ত সেভ করে বড় হার এড়িয়েছেন। জুদ বেলিংহাম ও ফেদেরিকো ভালভের্দে দুজনই চেষ্টা করেছিলেন দূরপাল্লা থেকে। কিন্তু গ্রেগরিও ছিলেন অটল প্রাচীরের মতো।

এমবাপ্পে মাঠে নামলেও বল পেয়েছেন খুব কম। সতীর্থরা তাকে কাঙ্ক্ষিতভাবে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে বিশ্বকাপজয়ীর প্রথম ম্যাচ হয়ে থাকল কিছুটা অনুজ্জ্বল। কিন্তু দলীয় সাফল্যে তিনি নিশ্চিতভাবেই তৃপ্ত থাকবেন।

শেষ সময়ে ভালভের্দে একটি দৃষ্টিনন্দন বাইসাইকেল কিকে চেষ্টা করেছিলেন ব্যবধান বাড়াতে। কিন্তু আবারও গ্রেগরিওর দুর্দান্ত রিফ্লেক্স সেই চেষ্টা ভেস্তে দেন। তবে আক্রমণে ধারহীনতার কারণে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি জুভেন্টাস। তারা চেপে ধরার চেষ্টা করলেও গোলের মুখ খোলার মতো ধৈর্য ও ধার ছিল না শেষভাগে।

কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ হতে পারে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড অথবা মন্টেরে। ফুটবলপ্রেমীদের চোখ এখন সেটির দিকেই।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এমব প প

এছাড়াও পড়ুন:

সকালে এক গ্লাস নাকি চার গ্লাস পানি পান করা ভালো

সকালে খালি পেটে পানি পান করলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়, একথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কত গ্লাস পানি পান করা ভালো সে কথা জানেন?  সেই প্রসঙ্গে আসছি, তার আগে বলে নেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে পানি পান করলে  ঠিক কোন কোন উপকার পাওয়া যায়।  অল্প কিছু বিষয় মেনে চললে সকালে খালি পেটে পানি পান করে সুস্থ-সবল থাকার পথে একধাপ এগিয়ে যেতে পারেন। জেনে নিনি বিস্তারিত—

এক. সকালে পানি পান করলে পাকস্থলী পরিষ্কার হয়। এই অভ্যাস অনেক রোগের ঝুঁকি কমায়। পরিপাকক্রিয়া থেকে সঠিকভাবে নানা পুষ্টি উপাদান গ্রহণে শরীরকে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে পানি পান করলে হজমশক্তি বাড়ে। আর এটা তো জানা কথা, হজমশক্তি ভালো হলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যাই দূর হয়।

আরো পড়ুন:

যেসব স্বাস্থ্যকর অভ্যাস জীবন বদলে দিতে পারে

লিভার ডিটক্সিফিকেশনের জন্য সাপ্লিমেন্ট খাওয়া কী জরুরি?

দুই. সকালে খালি পেটে  পর্যাপ্ত পানি পান করলে ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর থাকে। রক্ত থেকে ‘টক্সিন’ বা বিষাক্ত নানা উপাদান দূর করে পানি।নতুন রক্ত কোষ এবং পেশি কোষ জন্মানোর প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

তিন. খালি পেটে পানি পান করলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

যেভাবে পুরোপুরি সুফল পাবেন

বিশেষজ্ঞরা বলেন, সকালে পানি পান করার পারেই খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়।

মনে রাখবেন,  প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানি পান করেই অনেক উপকার পেতে পারেন। আরও ভালো ফলাফল পেতে প্রতিদিন সকালে গড়ে চার গ্লাস পানি (প্রায় এক লিটার) পানি পান করতে পারেন।

প্রথম দিকে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে একটু সমস্যা হতে পারে। তবে চেষ্টা করলে  এটা অনেক কিছুদিনের মধ্যে এই অভ্যাস আয়ত্বে চলে আসবে। এবং এর নানা উপকারিতাও বুঝতে পারবেন।

সূত্র: ওয়েবএমডি

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ