জাপানকে ৩৫ শতাংশ শুল্কের হুমকি ট্রাম্পের
Published: 2nd, July 2025 GMT
আগামী সপ্তাহের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জাপান নতুন বাণিজ্য চুক্তিতে না পৌঁছালে, দেশটির ওপর ‘৩০ বা ৩৫ শতাংশ’ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার (২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প তার তথাকথিত ‘লিবারেশন ডে’-এর অংশ হিসেবে জাপানের ওপর যে ২৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন, এবার তার চেয়ে আরো অনেক বেশি শুল্প আরোপের হুমকি দিয়েছেন। গত ২ এপ্রিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর উচ্চ আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
আরো পড়ুন:
ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র
ইউনূস-রুবিও ফোনালাপে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করায় জোর
তবে কিছুদিন পরেই বেশিরভাগ বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর ঘোষিত ওই উচ্চ শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন ট্রাম্প, যাতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তারা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার জন্য সময় পায়।
সেই বিরতি ৯ জুলাই শেষ হওয়ার কথা এবং ট্রাম্প বলেছেন, তিনি সময়সীমা বাড়ানোর কথা ভাবছেন না।
টোকিওর সঙ্গে কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব কিনা সে বিষয়েও ট্রাম্প সন্দেহ প্রকাশ করে চলেছেন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) এয়ার ফোর্স ওয়ানে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা জাপানের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমি নিশ্চিত নই যে, আমরা কোনো চুক্তি করতে যাচ্ছি। আমার সন্দেহ আছে।”
ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধির হুমকির বিষয়ে জাপান কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) জাপানের ডেপুটি চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি কাজুহিকো আওকি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী বলেছেন তা আমরা জানি, কিন্তু মার্কিন সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতিটি মন্তব্যের ওপর আমরা মন্তব্য করি না।”
অন্যান্য অনেক দেশের মতো, জাপানের বেশিরভাগ রপ্তানি বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০ শতাংশ শুল্কের সম্মুখীন। জাপানি যানবাহন এবং যন্ত্রাংশের ওপর ২৫ শতাংশ কর রয়েছে। অন্যদিকে ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার জাপানের প্রধান ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিমাসা হায়াশি বলেছিলেন যে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য তিনি এমন কোনো ছাড় দেবেন না যা তার দেশের কৃষকদের ক্ষতি করতে পারে।
ট্রাম্পের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল কিনছে না জাপান। গত সোমবার ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে বলেছিলেন, “জাপানের প্রতি আমার প্রচুর শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু তারা আমাদের চাল নেয় না, যদিও তাদের ব্যাপক চালের ঘাটতি রয়েছে।”
তারই ধারাবাহিকতায় এবার আগামী সপ্তাহের নির্ধারিত সময়সীমার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে না পৌঁছালে জাপানের ওপর ‘৩০ বা ৩৫ শতাংশ’ শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেন ট্রাম্প।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র শ ল ক আর প আর প র র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নে আরো ২ মাস সময় চায় ডিবিএ
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করার সময়সীমা সোমবার (৩০ জুন) শেষ হচ্ছে। এ সফটওয়্যার চালু করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে নিজ নিজ প্যানেলভুক্ত বিক্রেতাদের (ভেন্ডর) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ব্রোকারেজ হাউজগুলো। তবে সাম্প্রতি ঈদ ও অন্যান্য সরকারি ছুটির কারণে সফটওয়্যারটি চালু করার কার্যক্রম কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার চালু করার সময়সীমা আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অর্থাৎ আরো দুই মাস সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
রবিবার (২৯ জুন) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার (সিআরও) কাছে এ অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন ডিবিএ’র সভাপতি সাইফুল ইসলাম।
জানা গেছে, পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ সম্প্রতি ডিবিএ’র কাছে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে চালু করার জন্য সময়সীমা বাড়ানো দাবি জানায়। ব্রোকারেজ হাউজগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিবিএ দুই মাস সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে।
ডিবিএ’র চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারিত বর্তমান সময়সীমা ৩০ জুন। এই সময়সীমা শেষের পথে। তাই আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নের সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্যানেলভুক্ত সফটওয়্যার বিক্রেতাদের (ভেন্ডর) সীমিত সম্পদের কারণে, তারা সকল ব্রোকারেজ হাউসকে একযোগে সফটওয়্যার বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদান করতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সেইসঙ্গে সাম্প্রতিক ঈদ ও অন্যান্য সরকারি ছুটির কারণে কার্যক্রমের অগ্রগতি বিলম্বিত হয়েছে।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ব্রোকারেজ হাউস ইতিমধ্যে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তাদের নিজ নিজ প্যানেলভুক্ত বিক্রেতাদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তবে, উপরে উল্লিখিত সীমাবদ্ধতার কারণে কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে, বিএসইসির নির্দেশ অনুসারে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার সফল ও পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন সহজতর করার লক্ষ্যে এ সময়সীমা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবিএ'র সচিব দিদারুল গনী রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। এরইমধ্যে ব্রোকারেজ হাউসগুলো সফটওয়্যার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তাদের নিজ নিজ প্যানেলভুক্ত বিক্রেতাদের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেছে। ঈদ ও অন্যান্য সরকারি ছুটির কারণে এ কার্যক্রম কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। তাই ব্রোকারেজ হাউজগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আরো দুই মাস সময় চেয়ে আবেদন জানিয়েছে ডিবিএ।”
এর আগে ৩০ এপ্রিল বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৫৪তম কমিশন সভায় ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।
অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা বৃদ্ধির সঙ্গে সিডিবিএলে রক্ষিত শেয়ার বা সিকিউরিটিজের তথ্য ও স্টক ব্রোকারের কাছে রক্ষিত শেয়ার বা সিকিউরিটিজের তথ্যের মধ্যকার গরমিল হ্রাস পাবে বলে মনে করে বিএসইসি।
ঢাকা/এনটি/ইভা