সিরিয়া কি সত্যিই ইসরায়েলি শর্ত মেনে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে
Published: 2nd, July 2025 GMT
প্রায় ১৪ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের পর সিরিয়ায় নতুন সরকার আঞ্চলিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের পথে এগোচ্ছে। তাদের অনেকটা মনোযোগ এখন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্ভাব্য সম্পর্কের দিকে।
নানা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নিজেদের মধ্যে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। এমনকি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্ভাব্য সময়সীমা নিয়েও নানান কথা শোনা যাচ্ছে।
১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় থেকে সিরিয়া ও ইসরায়েল কার্যত এখনো যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে। ১৯৭৪ সালে দুই দেশের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও পরে তা ভেঙে যায়।
এখন পর্যন্ত যা ঘটেছে
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিরিয়া ও ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়ে সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে সরাসরি আলোচনা শুরু করেছে।
দুই দেশের মধ্যে এই যোগাযোগে মধ্যস্থতা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। দেশটি গোপন যোগাযোগের মাধ্যমে আলোচনা সহজ করেছে বলে জানা গেছে।
যদি কোনো চুক্তি হয়, তাহলে তা সম্ভবত আব্রাহাম চুক্তির একটি সম্প্রসারণ হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কয়েকটি আরব দেশ ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি ‘আব্রাহাম চুক্তি’ নামে পরিচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উল্লেখযোগ্য উদ্যোগের একটি ছিল ‘আব্রাহাম চুক্তি’। এ উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল আরব দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি করানো।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উল্লেখযোগ্য উদ্যোগের একটি ছিল ‘আব্রাহাম চুক্তি’। এ উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল আরব দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি করানো।২০২০ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন আব্রাহাম চুক্তিতে সই করে। পরে সুদান ও মরক্কো চুক্তির অংশ হয়।
ট্রাম্প এই চুক্তির পরিসর আরও বাড়াতে চাইছেন এবং নতুন নতুন দেশকে চুক্তির অংশ করার চেষ্টা করছেন।
গত মে মাসে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের তিনটি দেশ সফর করেন। সৌদি আরবে অবস্থানকালে রিয়াদে তিনি সিরিয়ার নতুন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তিনি আল-শারাকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উৎসাহ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমি ও সিরীয় সীমানার কাছাকাছি একটি ইসরায়েলি সামরিক যানকে দেখা যাচ্ছে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ও ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে