বর্ষা কিংবা শীত সব ঋতুতে ত্বকের যত্নের প্রথম শর্ত হলো ত্বক পরিষ্কার রাখা। ত্বক পরিষ্কার করতে ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করা ভালো। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপাদান করলে ব্রণের সমস্যা কিংবা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হয়। বর্ষায় সব ধরণের ত্বক ভালো রাখার জন্য দিন অন্তত তিন বার ত্বক পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করার জন্য সপ্তাহে এক বা দুইবার ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। ঘরোয়া উপায়ে ক্লিনজার বানানোর উপায় জেনে নিন।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
১ টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মুসুর ডাল এবং ১ চা-চামচ মেথি গুঁড়ো মিশেয়ে এই ক্লিনজার বানিয়ে নেওয়া যায়। মিশ্রণটি সংরক্ষণ করা যায়। কাচের বোতলে রেখে দিতে পারেন। মুখে ব্যবহারের আগে এতে গোলাপজল মিশিয়ে নেবেন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে পনেরো মিনিট রেখে তারপর পরিষ্কার পানিতে ত্বক ধুয়ে ফেলতে হবে।

র‌্যাশ দূর করার জন্য
যাদের ত্বকে র‌্যাশ হওয়ার প্রবণতা আছে তারা টক দই এবং চন্দনের গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিতে পারেন। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। দই না থাকলে শুধু চন্দন বাটা মেখেও মুখ ধুয়ে ফেলতে পারেন। 

আরো পড়ুন:

বিড়াল দত্তক নিলে মিলবে ফ্ল্যাট

চা দিয়ে চুলের যত্ন নেবেন যেভাবে

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে পাতিলেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ত্বক ধুয়ে ফেলুন।

উল্লেখ্য, ত্বক ভালো রাখার প্রথম শর্ত হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা। প্রসাধনী ব্যবহার করার ক্ষেত্রে জেল বেসড প্রসাধনীকে প্রাধান্য দিতে পারেন।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর যত ন পর ষ ক র ব যবহ র ত বক র র ত বক র জন য র যত ন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ