যাত্রাবাড়ীতে ডাকাতের ছুরিকাঘাতে স্বামী নিহত, স্ত্রী আহত
Published: 8th, July 2025 GMT
ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে এক দম্পতির বাসায় ডাকাতির সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে স্বামী নিহত হয়েছেন এবং স্ত্রী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভোর ৪টার দিকে উত্তর যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম ইসমাইল খান (৮০)। আহত স্ত্রী সালেহা বেগম (৭০) বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
আহতদের ঢামেকে নিয়ে আসা ইসমাইল খানের আত্মীয় সুলতান মিয়া বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ইসমাইল খান অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন এবং সালেহা বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসক ইসমাইল খানকে মৃত ঘোষণা করেন।”
তিনি আরো বলেন, “রাত ৪টার দিকে ডাকাতরা বাসার দ্বিতীয় তলায় প্রবেশ করে সবাইকে জিম্মি করে। ইসমাইল খান বাধা দিলে তাকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। স্ত্রী সালেহা বেগম চিৎকার করলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রেখে ডাকাতরা স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে চলে যায়। তবে ঠিক কত টাকা বা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে, তা এখনো নিশ্চিত নই।”
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো.
ঢাকা/বুলবুল/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আবরার ফাহাদের পথ ধরে লড়াই করেছি: নাহিদ
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “দেশ সংস্কার না করে কোনো নির্বাচন নয়। আমরা ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আবরার ফাহাদের পথ ধরে লড়াই করেছি। আবার যদি কোনো রাজনৈতিক দল, কোনো রাজনৈতিক পক্ষ সেই আধিপত্যবাদে সামিল হতে চাই, আমরা তার বিরুদ্ধে যাব। বাংলাদেশের মানুষ চাই সংস্কার হোক।”
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ৩টার দিকে কুষ্টিয়ার পাঁচরাস্তা মোড়ে এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “ফ্যাসিবাদ বিরোধি লড়াইয়ে আবরার ফাহাদ মাইলফলক ছিলেন। আবরারের মৃত্যু ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। আবরারের মৃত্যু প্রতিবাদের মিছিলে দিল্লী না ঢাকা স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। সেই স্লোগানই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাইয়ে আবার দেওয়া হয়।”
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশপন্থি মত ধারণ করেই জুলাই অভ্যুত্থান হয়েছে: নাহিদ
বিবৃতি দিয়ে আমাদের আটকাতে পারবেন না, ভয় পাই না: হাসনাত আব্দুল্লাহ
তিনি বলেন, বাংলাদেশপন্থি পথ দেখিয়ে গেছেন আবরার ফাহাদ। সেই পথেই জাতীয় নাগরিক পার্টি রাজনীতি করছে। সেই পথ ধরেই জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছিল। আবরার ফাহাদ থেকে আবু সাঈদ সব শহীদকে আমরা স্মরণ করি। তারা যে বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিল, জুলাই পদযাত্রার মাধ্যমে আমরা সেই বাংলাদেশ গড়তে দেশবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি।”
দেশ গড়তে জাতীয় নাগরিক পার্টি জুলাই পদযাত্রার অষ্টম দিনে কুষ্টিয়ায় বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে শুরু হয় পদযাত্রা। এর আগে, আজ দুপুর ১টায় কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙা গ্রামে শহীদ আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। কবর জিয়ারত শেষে কুষ্টিয়া বড়বাজার এলাকা থেকে পদযাত্রা পাঁচরাস্তা মোড় পর্যন্ত যায়। এসময় বিভিন্ন স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। পথসভা শেষে পদযাত্রা মেহেরপুর জেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। গত ১লা জুলাই রংপুর থেকে পদযাত্রা শুরু করে এনসিপি।
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ