কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসলে নেমে চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, নিখোঁজ ২
Published: 8th, July 2025 GMT
কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসল করতে নেমে কে এম হাসানুর রহমান সাবাব (২১) নামের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরো দুই শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে হিমছড়ি পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কে এম হাসানুর রহমান সাবাব ঢাকার পল্লবী দক্ষিণ এলাকার কে এম আনিসুর রহমানের ছেলে। নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থী হলেন—বগুড়া সদরের দক্ষিণ সনসনিয়া এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে অরিত্র হাসান এবং দক্ষিণ নারুলি এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে আসিফ আহমেদ। তারা সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২০২৪ সেশনের শিক্ষার্থী।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) আপেল মাহমুদ বলেছেন, “মঙ্গলবার সকালে পাঁচ বন্ধু কক্সবাজারে ঘুরতে এসে হিমছড়ি সৈকতে যান। তাদের মধ্যে দুজন বাঁধের ওপর বসে ছিলেন। বাকি তিনজন সমুদ্রে গোসলে নামেন। হঠাৎ ঢেউয়ের তোড়ে তিনজনই ভেসে যান। পরে কে এম হাসানুর রহমান সাবাবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাকি দুজন এখনো নিখোঁজ আছেন।”
তিনি জানান, বৈরী আবহাওয়া এবং বৃষ্টির কারণে সমুদ্র ছিল উত্তাল। ফায়ার সার্ভিস, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ডের সদস্যরা নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করছেন।
ঢাকা/তারেকুর/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় ৩৫ দিন ধরে নিখোঁজ ব্যক্তির গলিত লাশ পাওয়া গেল সেপটিক ট্যাংকে
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় নিখোঁজের এক মাসের বেশি সময় পর করিম ভূঁইয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তির গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রসুলপুর গ্রামে গোমতী নদীর সংযোগ খালের ওপর নির্মিত সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
করিম ভূঁইয়া উপজেলার বড়শালঘর এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় কৃষক ছিলেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে করিমের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (৪০), দুই ছেলে তানজিদ ভূঁইয়া (২২) ও তৌহিদ ভূঁইয়া (২০), স্ত্রীর ভাই মোজাম্মেল হক (৪২), ইশরাফিলসহ (৩৮) ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন করিম ভূঁইয়া। ঘটনার পর থেকে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা প্রচার করতে থাকেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় খড়মপুরে অবস্থিত হজরত সৈয়দ আহম্মদ (রহ.)-এর দরগায় যাওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ। এ ঘটনায় করিমের বড় ভাই আমির হোসেন ভূঁইয়া ১৬ আগস্ট দেবীদ্বার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আমিরের মুঠোফোন নম্বরে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির কল আসে। ওই ব্যক্তি আমিরকে জানান, করিমের শ্বশুরবাড়ি ও আশপাশের এলাকায় খোঁজ করলে তাঁকে (করিম ভূঁইয়া) পাওয়া যাবে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে রসুলপুর গ্রামে করিমের শ্বশুরবাড়িতে খোঁজাখুঁজি শুরু করা হয়। একপর্যায়ে করিমের শ্বশুরের পরিবারের নির্মাণাধীন একটি সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা খোলা হয়। সেখানে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় করিম ভূঁইয়ার গলিত লাশ দেখতে পান তাঁরা।
করিমের স্ত্রী তাছলিমা, দুই ছেলে ও স্ত্রীর দুই ভাই মিলে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেন আমির হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের পরিবারের লোকজন থানায় কোনো জিডি করেনি, আমি নিজে থানায় গিয়ে জিডি করি। সর্বশেষ আজ ভাইয়ের গলিত লাশ পেলাম।’
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের পর হত্যার রহস্য উন্মোচিত হবে। আটক ছয় ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।