বিক্রি হয়ে গেছে বলিউড ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ ফিল্মিস্তান স্টুডিও। গত ৩ জুলাই, ১৮৩ কোটি রুপিতে এটি কিনে নিয়েছে মুম্বাইভিত্তিক আর্কেড ডেভেলপার লিমিটেড।  

টাইমস নাউ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৮২ বছর আগে এটি প্রতিষ্ঠা করেন অভিনেত্রী কাজল-রানী মুখার্জির দাদা শশধর মুখার্জি এবং তার শ্যালক প্রয়াত অভিনেতা অশোক কুমার। তাদের সঙ্গে ছিলেন জ্ঞান মুখার্জি ও রাই বাহাদুর চুনীলাল। ১৯৪৩ সালে বম্বে টুকিজ ছেড়ে দেন অশোক কুমার। এরপর এই স্টুডিও তৈরি করেন।  

সেই সময়ে এই স্টুডিওতে কেবল শুটিং হতো না, বরং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো সেখানেই পুরো সিনেমা তৈরি করতেন। বছরের পর বছর অভিনেতা-অভিনেত্রীরা মাসিক বেতনের ভিত্তিতে সেখানে কাজ করতেন। এই স্টুডিওর জায়গায় নির্মিত হবে বিলাসবহুল বহুতল ভবন। প্রায় তিন হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে আর্কেড ডেভেলপার লি.

। ২০২৬ সালে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ৫০ তলা ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে থাকবে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাওয়ার। 

আরো পড়ুন:

রাহুল-শ্রদ্ধার ছবি ভাইরাল, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা নিয়ে প্রশ্ন রাভিনার

‘দিলীপ সাহেব আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দের কারণ ছিলেন’

স্টুডিওটি বিক্রির খবর প্রকাশ্যে আসার পর, আপত্তি জানিয়েছে ‘অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন’ (এআইসিডব্লিউএ)। এ নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সংগঠনটি। এ চিঠিতে বলা হয়েছে, “ফিল্মিস্তান স্টুডিও মুম্বাইয়ের গোরেগাঁওতে অবস্থিত। ১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এটি। ভারতীয় ফিল্ম স্টুডিওর ইতিহাসে এটি সবচেয়ে আইকনিক একটি স্টুডিও। এই ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ভারতীয় চলচ্চিত্রের উত্থান দেখেছে এবং লাখ লাখ টেকনিশিয়ান, শিল্পী, জুনিয়র শিল্পীদের কর্মক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। জানা গেছে, এটি আর্কেড ডেভেলপারের কাছে ১৮৩ কোটি রুপিতে বিক্রি করা হয়েছে।” 

ফিল্মিস্তান স্টুডিওর অবদান ব্যাখ্যা করে চিঠিতে বলা হয়েছে, “ফিল্মিস্তান স্টুডিও সৃজনশীল কাজের ভিত্তি হিসেবে কয়েক দশক ধরে কাজ করেছে। অসংখ্য বলিউড এবং ভারতীয় সিনেমা প্রযোজনার সুযোগ তৈরি করেছে। এটি কেবল একটি অবকাঠামো নয়; এটি সিনেমার উত্তরাধিকার, ক্যামেরার পেছনের শ্রমিক শ্রেণির ঘাম এবং কঠোর পরিশ্রমের প্রতীক।” 

সরকারি হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, “অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন (এআইসিডব্লিউএ), মহারাষ্ট্র সরকারকে এ বিষয়ে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। ঐতিহ্যবাহী ফিল্ম স্টুডিওগুলোকে, বিশেষ করে ফিল্মিস্তানকে রক্ষার জন্য এবং সরকারের অধীনে আনার জন্য একটি জি. আর. জারি করার জন্য আবেদন করছি।” 

তবে এ নিয়ে এখনো কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি কাজল কিংবা রানী মুখার্জি।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ক জল

এছাড়াও পড়ুন:

কাজল-রানীদের ঐতিহ্যবাহী ফিল্মিস্তান স্টুডিও বিক্রি

বিক্রি হয়ে গেছে বলিউড ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ ফিল্মিস্তান স্টুডিও। গত ৩ জুলাই, ১৮৩ কোটি রুপিতে এটি কিনে নিয়েছে মুম্বাইভিত্তিক আর্কেড ডেভেলপার লিমিটেড।  

টাইমস নাউ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৮২ বছর আগে এটি প্রতিষ্ঠা করেন অভিনেত্রী কাজল-রানী মুখার্জির দাদা শশধর মুখার্জি এবং তার শ্যালক প্রয়াত অভিনেতা অশোক কুমার। তাদের সঙ্গে ছিলেন জ্ঞান মুখার্জি ও রাই বাহাদুর চুনীলাল। ১৯৪৩ সালে বম্বে টুকিজ ছেড়ে দেন অশোক কুমার। এরপর এই স্টুডিও তৈরি করেন।  

সেই সময়ে এই স্টুডিওতে কেবল শুটিং হতো না, বরং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো সেখানেই পুরো সিনেমা তৈরি করতেন। বছরের পর বছর অভিনেতা-অভিনেত্রীরা মাসিক বেতনের ভিত্তিতে সেখানে কাজ করতেন। এই স্টুডিওর জায়গায় নির্মিত হবে বিলাসবহুল বহুতল ভবন। প্রায় তিন হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে আর্কেড ডেভেলপার লি.। ২০২৬ সালে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ৫০ তলা ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে থাকবে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাওয়ার। 

আরো পড়ুন:

রাহুল-শ্রদ্ধার ছবি ভাইরাল, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা নিয়ে প্রশ্ন রাভিনার

‘দিলীপ সাহেব আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দের কারণ ছিলেন’

স্টুডিওটি বিক্রির খবর প্রকাশ্যে আসার পর, আপত্তি জানিয়েছে ‘অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন’ (এআইসিডব্লিউএ)। এ নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সংগঠনটি। এ চিঠিতে বলা হয়েছে, “ফিল্মিস্তান স্টুডিও মুম্বাইয়ের গোরেগাঁওতে অবস্থিত। ১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এটি। ভারতীয় ফিল্ম স্টুডিওর ইতিহাসে এটি সবচেয়ে আইকনিক একটি স্টুডিও। এই ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ভারতীয় চলচ্চিত্রের উত্থান দেখেছে এবং লাখ লাখ টেকনিশিয়ান, শিল্পী, জুনিয়র শিল্পীদের কর্মক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। জানা গেছে, এটি আর্কেড ডেভেলপারের কাছে ১৮৩ কোটি রুপিতে বিক্রি করা হয়েছে।” 

ফিল্মিস্তান স্টুডিওর অবদান ব্যাখ্যা করে চিঠিতে বলা হয়েছে, “ফিল্মিস্তান স্টুডিও সৃজনশীল কাজের ভিত্তি হিসেবে কয়েক দশক ধরে কাজ করেছে। অসংখ্য বলিউড এবং ভারতীয় সিনেমা প্রযোজনার সুযোগ তৈরি করেছে। এটি কেবল একটি অবকাঠামো নয়; এটি সিনেমার উত্তরাধিকার, ক্যামেরার পেছনের শ্রমিক শ্রেণির ঘাম এবং কঠোর পরিশ্রমের প্রতীক।” 

সরকারি হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, “অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন (এআইসিডব্লিউএ), মহারাষ্ট্র সরকারকে এ বিষয়ে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। ঐতিহ্যবাহী ফিল্ম স্টুডিওগুলোকে, বিশেষ করে ফিল্মিস্তানকে রক্ষার জন্য এবং সরকারের অধীনে আনার জন্য একটি জি. আর. জারি করার জন্য আবেদন করছি।” 

তবে এ নিয়ে এখনো কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি কাজল কিংবা রানী মুখার্জি।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ