উপজেলা পর্যায়ে আদালত ও জরুরি অবস্থা বিষয়ে কমিশনের প্রস্তাবে এবি পার্টির সমর্থন
Published: 8th, July 2025 GMT
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, বিচারসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আদালত বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নাই, এতে মামলার চাপ কমার পাশাপাশি সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে। বিচারপ্রার্থী যথাসময়ে বিচার পাওয়া এটি তার ন্যায্য অধিকার।
সোমবার (৭ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের দশম দিনের সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আবদুল হক।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই জনসাধারণ তার কাঙ্ক্ষিত বিচারসেবা থেকে বঞ্চিত। মামলাজট থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে বিচার বিভাগকে বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নাই। আদালতগুলোতে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে তৃণমূল পর্যায়ে বিচার পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাই উপজেলা পর্যায়ে আদালত বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যেগকে আমরা জোর সমর্থন জানাই। এতে দ্রুত বিচার কার্যক্রম নিষ্পত্তি হবে বলে এবি পার্টি মনে করছে।
ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক বলেন, শিরোনামে আমরা সবাই একমত হচ্ছি তবে ভিতরে পদ্ধতি, প্রয়োগ নিয়ে আমরা অনেক কিছুতে একমতে পৌঁছাতে পারছি না। আজকে উপজেলা আদালত স্থাপন নিয়ে সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যমতে আসছে কিন্তু এটি কতোগুলো উপজেলায় হবে, কোন কোন উপজেলায় হবে, কোন সময়ের মধ্যে হবে? এসব বিষয় নিয়ে আমরা একমতে আসতে পারি নাই।
ব্যারিস্টার সানী আরো জানান, বর্তমান বিদ্যমান আইনে সংবিধানের ১৪১ নং ধারা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে থাকেন, এই পদ্ধতিতে পরিবর্তনের পক্ষে সকল রাজনৈতিক দলই একমত পোষণ করেছেন, তবে পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমতে পৌঁছতে পারে নাই। শুধু ভিতরের বিষয়বস্তুতে একমতে পৌঁছাতে না পারার কারণে পুরো সংস্কার প্রক্রিয়া দুরূহ হয়ে উঠার আশঙ্কা করছি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত ক উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
উপজেলা স্তরে আদালত সম্প্রসারণের প্রস্তাবে একমত জামায়াত: হামিদুর রহমান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছে তাঁর দল। তিনি বলেন, বিচারব্যবস্থার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে জামায়াতে ইসলামী এ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছে।
আজ সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনার বিরতিতে এ কথা বলেন হামিদুর রহমান আযাদ।
আজকের বৈঠকের অন্য দুই আলোচ্যসূচিতে রয়েছে জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও নারী প্রতিনিধিত্ব। মধ্যাহ্নবিরতি শেষে বাকি দুটি বিষয়ে আলোচনা পুনরায় চলবে।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, তাঁর দল জামায়াতে ইসলামী মনে করে, বর্তমান ঐকমত্য কমিশন কিংবা অন্তর্বর্তী সরকারের সৃষ্টি জনগণের স্বার্থে। তাই জনস্বার্থে আদালতকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে চান তাঁরা। তিনি বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে অনেক মানুষ আর্থিকভাবে অসচ্ছল। জেলা শহরে গিয়ে আইনজীবী ঠিক করে বিচার পাওয়া তাঁদের জন্য কঠিন হয়। সেই সঙ্গে থাকা–খাওয়ার খরচ। তাই মানুষের ভোগান্তি কমাতে আদালত সম্প্রসারণের পক্ষে জামায়াতে ইসলামী।
দেশের ২৩টি জেলায় বর্তমানে ৪০টি চৌকি আদালত রয়েছে। এসব চৌকিকে স্থায়ী আদালতে রূপ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে জামায়াতে ইসলামী। হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, এসব চৌকির অবকাঠামো এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরবরাহ করতে হবে।
উপজেলা স্তরে আদালত সম্প্রসারণ করা হলে দুর্নীতি বাড়বে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, দুর্নীতি অনেক জায়গাতেই হয়। জামায়াতে ইসলামী মনে করে, জনসচেতনতা ও মূল্যবোধ বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। জনগণকে সুশাসন ও সুবিচার দিতে হলে বিচারব্যবস্থাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন, সিপিবি, এবি পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আজকের আলোচনায় আরও উপস্থিত আছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও মো. আইয়ুব মিয়া।