শিল্প ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্পে ২৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। 

বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এর জন্য ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড ইউরিয়া সার ক্রয় এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘সাতক্ষীরা-সখিপুর-কালীগঞ্জ ও কালীগঞ্জ-শ্যামনগর-ভেটখালী মহাসড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পের মোট ২৫৩ কোটি ৪১ লাখ ১১ হাজার ৩৫৪ টাকা ব্যয় হবে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রথম প্রস্তাবে, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৮তম লটে সার কেনার জন্য কাফকোর সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯৭.

৭৫ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

দ্বিতীয় প্রস্তাবে, সাতক্ষীরা-সখিপুর-কালীগঞ্জ এবং কালীগঞ্জ-শ্যামনগর-ভেটখালী মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউপি-০৩ এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দরপত্র আহ্বানে চারটি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে, যার মধ্যে মো.মঈনুদ্দিন (বাঁশি) লিমিটেড সর্বনিম্ন দর দিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১০৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

ঢাকা/হাসনাত/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

৩০ সড়কে যানবাহন চলাচলই কঠিন

নির্মাণের মাত্র দুই মাসের মাথায় সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট সংযোগ সড়কের একাংশ। সড়কটি এখন যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী। শুধু এটি নয়, উপজেলার নতুন-পুরোনো প্রায় ৩০টি সড়ক এখন যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী। এসব সড়কের দ্রুত সংস্কার না হলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে।
ভাটিয়ারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আনোয়ার বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের কয়েকটি সড়ক যানবাহন ও জনচলাচলের অনুপযোগী হয়েছে। সেগুলো সংস্কারের জন্য দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।’
উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা  তাওহিদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘পৌরসভার নামারবাজার মহাসড়কের আন্ডারপাস সড়টি অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। জমে থাকা পানির কারণে সড়কে চলাচলে কষ্ট পাচ্ছেন মানুষ।’
উপজেলার যেসব সড়ক খারাপ সেগুলো হলো–মীরের হাট দক্ষিণের সড়ক, মহালংকা সড়ক, ছোট দারোগারহাট রোড় পশ্চিমে ভান্ডারী সড়ক, মীরারহাট হামিদুল্লাহ সড়ক, জাফর নগর স্কুল সড়ক, ছলিমপুর আদুল্লাঘাটা সড়ক, ভাটিয়ারী তুলাতলী-ইমামনগর সংযোগ সড়ক, মির্জানগর ছোঁয়াখালি ঘাটগর সড়ক, কদমরসুল শিপইয়ার্ড সড়ক, সোনাইছড়ি কেশবপুর সফিউল্লাহ নিজামী বাড়ি সড়ক, রাবিয়া বানু শাখা সড়ক। সৈয়দপুর ও বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের কমর আলী কমরদহ সড়ক ভুঁইয়া হাট টু বেঁড়িবাধ, বাদল গাজী সড়ক, সিরাজ সড়ক পূর্ব বাগখালী, বুড়া ইস্কুল সড়ক, পূর্ব বাগখালী সড়ক, মহানগর সৈয়দ জসিম উদ্দিন সড়ক, শাহ মোহাম্মদ ভূঁইয়া সড়ক, কদর ভূঁইয়া সড়ক, দক্ষিণ বগাচতল সি রোড, দক্ষিণ বগাচতল সোনা মিয়া ভূঁইয়া সড়ক, তাকিয়াপাড়া সড়কের অবস্থাও বেহাল।
ভাটিয়ারী ইমামনগরের বাসিন্দা, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘কয়েকশ বছরের পুরোনো মির্জানগর ছোঁয়াখালি ঘাট সড়কটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত। এই সড়কের প্রায় এক কিলোমিটারর অংশ চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।’ 
সরেজমিন দেখা যায়, নবনির্মিত বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট সড়কে সাগরের বড় বড় ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে। ঢেউয়ের ধাক্কায় ৭০০ মিটার সড়কের ১০০ মিটার সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। কিছু অংশে ইট ও  ব্লক সরে গেছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, সড়কের উপরিতল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেটি সংস্কার করা হয়েছে। 
গত ২৪ মার্চ সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার দুই বিশেষ সহকারীকে সঙ্গে নিয়ে  বাঁশবাড়িয়া-গুপ্তছড়া ফেরিঘাটের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। এর আগে সড়কটি নির্মাণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। উদ্বোধনের দুই মাসের মাথায় সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘প্রবল জোয়ারে সংযোগ সড়কটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেটি এখন গাড়ি চলাচলে উপযোগী করা হয়েছে। সড়কের উপরিতলের ইট সরে গিয়ে কিছু অংশের মাটি সরে গেছে।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পরিদর্শন করেছি। বর্ষায় প্রবল ঢেউ থেকে কিভাবে সড়কটি রক্ষা করা যায়, সে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা ও পৌরসভার যেসব সড়ক সংষ্কারের অবস্থা খারাপ সেগুলো পযায়ক্রমে সংষ্কার করা হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩০ সড়কে যানবাহন চলাচলই কঠিন