রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর বিবিরবাগিচা এলাকায় গ্রিল কেটে বাসায় ঢুকে এক ব্যক্তিকে হত্যা এবং তাঁর স্ত্রীকে গুরুতর আহত করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম ইসমাইল খান (৮০)। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী সালেহা বেগম (৭৫) গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।

পুলিশ ও স্বজনেরা জানান, আজ মঙ্গলবার ভোর আনুমানিক চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্বজনেরা জানিয়েছেন। ইসমাইলকে মারধর এবং শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁর স্ত্রী সালেহা বেগমকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। সকাল ছয়টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ইসমাইল ও সালেহা বেগমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনেরা। পরীক্ষা করে ইসমাইলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তাঁর স্ত্রী সালেহা বেগম এখন চিকিৎসাধীন।

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এই দম্পতি বিবিরবাগিচা এলাকার একটি চারতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় থাকতেন। আজ ভোরে গ্রিল কেটে কে বা কারা বাসায় ঢুকে তাঁদের একজনকে হত্যা করে এবং অন্যজনকে গুরুতর আহত করে। বিস্তারিত তথ্য এখনো জানা যায়নি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাস থেকে এক ছাত্রকে বহিষ্কার

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) প্রধান ছাত্রাবাস থেকে এক ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর একাডেমিক কার্যক্রমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগের দিন সোমবার রাতে ওই ছাত্রের একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে ছাত্রাবাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রশিবিরের সমর্থকেরা তাঁর ওপর চড়াও হন। অভিযোগ রয়েছে, তাঁকে চড়–থাপ্পড়ও মারা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোয়াছিবাগান এলাকার প্রধান ছাত্রাবাসের ডাইনিং হলে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ছাত্র আগে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় বলে জানা গেছে।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৩ অক্টোবর ছাত্রাবাস ও ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার ও সহপাঠীদের মারধরের ঘটনায় ৭৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়। সে সময় ১১ জন শিক্ষার্থী মুচলেকা দেওয়ার পর সাধারণ ক্ষমা পান। ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কৃত ছাত্র তাঁদের একজন। সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন—এমন অভিযোগে সোমবার রাতে অন্য শিক্ষার্থীরা তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হন।

ঘটনার পর কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, অন্যান্য শিক্ষক ও পুলিশ সদস্যরা ছাত্রাবাসে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাৎক্ষণিকভাবে ওই ছাত্রকে ছাত্রাবাস থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।

কলেজ সূত্র জানায়, আজকের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তাঁকে ছাত্রাবাস থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে একাডেমিক কার্যক্রমে তাঁর অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক হাবিব হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ওই ছাত্রকে ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর একাডেমিক বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশ দিতে একটি কমিটি করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ