শ্রীলঙ্কান ব্যাটিং কোচ থিলানা কানদাম্বির ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ইংরেজির বাইরে যা কিছু বললেন, তা বোঝার জন্য অনুবাদকের প্রয়োজন হলো। দেশটির একজন সাংবাদিকের করা ইংরেজি অনুবাদ পড়ে জানা গেল ওয়ানডে সিরিজটি আজ তারা জিততে চান। এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাংলাদেশের ব্যাটিং-বোলিং নিয়ে গত দুই দিন বিশ্লেষণ করেছেন।
বিশেষ করে, স্পিনার তানভীর ইসলাম পাঁচ উইকেট পাওয়ায় তাঁকে নিয়ে প্রচুর ‘গ্রুপ স্টাডি’ হয়েছে। স্বাগতিক দলের পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট নাকি বিকল্প স্পিনার শামীম হোসেন পাটোয়ারির বোলিং কৌশলও দেখে নিচ্ছেন। কারণ শামীমই তো অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কার উইকেট নিয়ে জয়ের ভিত শক্ত করতে সহযোগিতা করেছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে সিংহলিজ ভাষায় লঙ্কান ব্যাটিং কোচ সেসবের কিছুটা বর্ণনা দিয়েছেন গতকাল বিকেলে। মিডলঅর্ডার ব্যাটারদের আউট হওয়া নিয়ে গভীর পর্যালোচনার পর উত্তরণের পথ খোঁজা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শ্রীলঙ্কা যে শুধু আজকের ম্যাচের জন্যই ওই বিশ্লেষণ করেছে, তা নয়। তারা ভবিষ্যৎ মাথায় রেখে পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ‘শেষ গেমে দেখে থাকবেন মিডল অর্ডারে চারিথা ও কামিন্দু খোলসবন্দি হয়ে পড়েছিল। এটাও মেনে নিতে হবে যে তাদের তিন স্পিনার খুব ভালো বোলিং করেছে। আমরা কথা বলেছি এ রকম ট্রিকি পরিস্থিতে পড়লে কীভাবে উত্তরণ ঘটাতে হবে। অনুশীলনে এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং করব।’
প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের ট্রিপিক্যাল উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে গত এক বছরে ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় দলকে হোয়াইটওয়াশ করেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ সেখানে প্রথম থেকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পেরেছে। প্রথম ম্যাচে সমন্বিত বোলিং করে ২৪৪ রানে বেঁধে ফেলেন তাসকিন আহমেদরা। বাংলাদেশ বাজিমাত করেছে পরের ম্যাচে। তাই শেষ ম্যাচের আগে সফরকারী দলের বোলিং নিয়েও কাজ করেছেন তাঁরা।
তিনি বলেন, ‘কলম্বোর সঙ্গে তুলনা করলে এটা বেশি ব্যাটিংবান্ধব। আগের ম্যাচ নিয়ে আমরা কথা বলেছি। তিনজন স্পিনার মাঝের ওভারে ভালো করেছে। আমরা চেষ্টা করব প্রতিরোধ করতে। জেতার জন্য সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করা হবে। বাংলাদেশের কাছে দেশের মাটিতে কখনো সিরিজ হারিনি। সেভাবেই কালকের (আজ) ম্যাচটি খেলার চেষ্টা থাকবে।’ শুধু শ্রীলঙ্কা নয় একই চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশও দিয়েছে স্বাগতিকদের উদ্দেশে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাস থেকে এক ছাত্রকে বহিষ্কার
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) প্রধান ছাত্রাবাস থেকে এক ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর একাডেমিক কার্যক্রমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগের দিন সোমবার রাতে ওই ছাত্রের একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে ছাত্রাবাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রশিবিরের সমর্থকেরা তাঁর ওপর চড়াও হন। অভিযোগ রয়েছে, তাঁকে চড়–থাপ্পড়ও মারা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোয়াছিবাগান এলাকার প্রধান ছাত্রাবাসের ডাইনিং হলে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ছাত্র আগে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় বলে জানা গেছে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৩ অক্টোবর ছাত্রাবাস ও ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার ও সহপাঠীদের মারধরের ঘটনায় ৭৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়। সে সময় ১১ জন শিক্ষার্থী মুচলেকা দেওয়ার পর সাধারণ ক্ষমা পান। ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কৃত ছাত্র তাঁদের একজন। সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন—এমন অভিযোগে সোমবার রাতে অন্য শিক্ষার্থীরা তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হন।
ঘটনার পর কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, অন্যান্য শিক্ষক ও পুলিশ সদস্যরা ছাত্রাবাসে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাৎক্ষণিকভাবে ওই ছাত্রকে ছাত্রাবাস থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
কলেজ সূত্র জানায়, আজকের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তাঁকে ছাত্রাবাস থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে একাডেমিক কার্যক্রমে তাঁর অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক হাবিব হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ওই ছাত্রকে ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর একাডেমিক বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশ দিতে একটি কমিটি করা হয়েছে।