বড়পর্দায় উঠে আসছে শশী, কুসুম ও কুমুদের জীবন। মুক্তি পেতে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের নির্মাতা সুমন মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একই শিরোনামের কালজয়ী একটি উপন্যাস অবলম্বনে এটি নির্মিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ছবিটির অপেক্ষায় রয়েছেন জয়া আহসান-ভক্তরা। কেননা, পর্দায় কুসুম চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই বাংলাদেশি অভিনেত্রী। 

গত রোববার ইনস্টাগ্রামে পুতুলনাচের ইতিকথা মুক্তির চূড়ান্ত তারিখ জানিয়েছে প্রযোজনা সংস্থা ক্যালাইডোস্কোপ। সংস্থাটি জানায়, ১৯৩৫ সালে ভারতবর্ষ পত্রিকায় প্রথমবার ছাপা হয় পুতুলনাচের ইতিকথা। চলতি বছর উপন্যাসটির প্রথম ধারাবাহিক প্রকাশের ৯০ বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে আগামী ১ আগস্ট ভারতে মুক্তি পাবে ছবিটি।

ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, নির্মাতা সুমন মুখোপাধ্যায় দেখেছিলেন তাঁর বাবা অরুণ মুখোপাধ্যায়কে এই উপন্যাসকে মঞ্চে নাট্যরূপ দিতে। সেই থেকেই নির্মাতার মনের মধ্যে ইচ্ছে ছিল কালজয়ী উপন্যাসটি নিয়ে ছবি বানানোর। তাঁর সেই স্বপ্ন সত্যি হলো। 

এদিকে, কুসুম চরিত্রটি নিয়ে জয়া আহসানের ভাষ্য, ‘কুসুম ২৩ বছরের এক তরুণী, যে কিনা রহস্যময় একটি চরিত্র। কুসুমের চরিত্রে আছে খামখেয়ালিপনা এবং খাপছাড়া একটা স্বভাব।’

প্রযোজনা সংস্থা ক্যালাইডোস্কোপের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে ফুটে উঠেছে বইয়ের পাতার শশীর জীবনের নানা ঘটনা। একইভাবে অন্য চরিত্রগুলোও তুলে ধরা হয়েছে। শশী চরিত্রে দেখা যাবে আবির চট্টোপাধ্যায়কে। এর আগে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘বিজয়া’ ও ‘বিসর্জন’ ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন জয়া ও আবির।

অন্যদিকে, ছবিটির কুমুদ চরিত্রে রয়েছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। প্রযোজনা করেছেন সমীরণ দাস।

প্রসঙ্গত, টলিউডে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে জয়া আহসান অভিনীত আরও একটি ছবি। আগামী ১৮ জুলাই তাঁর ‘ডিয়ার মা’ মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এটি পরিচালনা করেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জয় আহস ন উপন য স চর ত র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ভাঙা শুরু জামালপুরের বিজয় চত্বর

জামালপুরে বিজয় চত্বরের মূল স্তম্ভ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সেখানে স্থাপন করা হবে জুলাই শহীদদের স্মরণে জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরের জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ বাইপাস সড়কের শেখের ভিটার স্থাপনাটি ভাঙা শুরু হয়। 

জানা গেছে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সারাদেশের মত জামালপুরেও নির্মাণ করা হবে জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ। সে কারণে জামালপুরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বিজয় চত্বরের স্থাপনাটি ভাঙা হচ্ছে। 

৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২৩ সালে বিজয় চত্বরটি নির্মাণ করা হয়। প্রথমে এ স্থাপনাটির নাম দেওয়া হয় মির্জা আজম চত্বর। 

উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক বিশেষ সভায় জামালপুর বিজয় চত্বর ভেঙে সেখানে জুলাই শহীদের স্মরণে জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ব নির্মাণের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ