সিলেটে পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট শুরু
Published: 8th, July 2025 GMT
সিলেটে বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়াসহ ছয় দফা দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টায় অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট শুরু করেছে জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ধর্মঘট শুরুর দুই ঘণ্টা পর সকাল আটটা পর্যন্ত সিলেট থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালেও কোনো বাস প্রবেশ করেনি।
তবে নগরের অভ্যন্তরসহ বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে সিএনজিচালিত অটোরিকশা যাতায়াত করছে, কিন্তু সংখ্যায় কম। এ ছাড়া নগরের ভেতরসহ বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে মোটরসাইকেল চলাচল করছে। দু–একটি প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস নগরের অভ্যন্তরে চলাচল করতে দেখা গেছে।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ছয়টায় নির্ধারিত সময়ে ঢাকার উদ্দেশে কালনী এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে। স্টেশন ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম বলেন, যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিক, তেমন ভিড় ছিল না।
জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে সিলেটের সব পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার এবং সনাতন পদ্ধতিতে বালুমহাল ও কোয়ারি খুলে দেওয়া; বিআরটিএর মাধ্যমে গাড়ির ফিটনেস সনদ প্রদানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বাতিল; গণপরিবহনের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত কর প্রত্যাহার; সিলেটের সব ক্রাশার মিলে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বন্ধ, বিদ্যুতের মিটার ফেরত দেওয়া ও ভাঙচুরের ক্ষতিপূরণ; সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে প্রত্যাহার; বালু-পাথরবাহী ও অন্যান্য পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের হয়রানি না করা।
গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট নগরের বারুতখানা এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে গত বুধবার নগরের কোর্ট পয়েন্টে এক বিক্ষোভ সমাবেশে পরিবহনশ্রমিকেরা ধর্মঘটের ঘোষণা দেন। পরিষদ জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীবাহী গাড়ি ও জরুরি সেবা পরিবহন এ ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকবে। ওই সভায় উপস্থিত হয়ে একাত্মতা প্রকাশ করে সিলেটের জেলা প্রশাসককে ‘ব্যর্থ ও অদক্ষ’ দাবি করে তাঁর পদত্যাগ চেয়ে বক্তব্য দেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। তবে বক্তব্যে তিনি পরিবেশের ক্ষতি করে পাথর উত্তোলনেরও বিরোধিতা করেছিলেন।
গত শনিবার থেকে পৃথকভাবে পাঁচ দফা দাবিতে পণ্য পরিবহনমালিক-শ্রমিকরাও ধর্মঘট পালন করছেন। তবে জামায়াতে ইসলামীপন্থী পরিবহনমালিকদের একটি অংশ ও সিলেট জেলা সিএনজি অটোরিকশা, অটোটেম্পো, ট্যাক্সি মালিক সমিতি এ ধর্মঘটের সঙ্গে নেই বলে জানিয়েছে।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবহনশ্রমিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন। ২০১৮ সাল থেকে সিলেটের সব পাথর কোয়ারি বন্ধ রয়েছে। এতে লাখো মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। বারবার দাবি জানানো হলেও আগের সরকারের আমলে আমরা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এখনো সেই নির্যাতনের ধারাবাহিকতা চলছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট শুরু
সিলেটে বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়াসহ ছয় দফা দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টায় অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট শুরু করেছে জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ধর্মঘট শুরুর দুই ঘণ্টা পর সকাল আটটা পর্যন্ত সিলেট থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালেও কোনো বাস প্রবেশ করেনি।
তবে নগরের অভ্যন্তরসহ বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে সিএনজিচালিত অটোরিকশা যাতায়াত করছে, কিন্তু সংখ্যায় কম। এ ছাড়া নগরের ভেতরসহ বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে মোটরসাইকেল চলাচল করছে। দু–একটি প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস নগরের অভ্যন্তরে চলাচল করতে দেখা গেছে।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ছয়টায় নির্ধারিত সময়ে ঢাকার উদ্দেশে কালনী এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে। স্টেশন ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম বলেন, যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিক, তেমন ভিড় ছিল না।
জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে সিলেটের সব পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার এবং সনাতন পদ্ধতিতে বালুমহাল ও কোয়ারি খুলে দেওয়া; বিআরটিএর মাধ্যমে গাড়ির ফিটনেস সনদ প্রদানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বাতিল; গণপরিবহনের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত কর প্রত্যাহার; সিলেটের সব ক্রাশার মিলে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বন্ধ, বিদ্যুতের মিটার ফেরত দেওয়া ও ভাঙচুরের ক্ষতিপূরণ; সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে প্রত্যাহার; বালু-পাথরবাহী ও অন্যান্য পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের হয়রানি না করা।
গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট নগরের বারুতখানা এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে গত বুধবার নগরের কোর্ট পয়েন্টে এক বিক্ষোভ সমাবেশে পরিবহনশ্রমিকেরা ধর্মঘটের ঘোষণা দেন। পরিষদ জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীবাহী গাড়ি ও জরুরি সেবা পরিবহন এ ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকবে। ওই সভায় উপস্থিত হয়ে একাত্মতা প্রকাশ করে সিলেটের জেলা প্রশাসককে ‘ব্যর্থ ও অদক্ষ’ দাবি করে তাঁর পদত্যাগ চেয়ে বক্তব্য দেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। তবে বক্তব্যে তিনি পরিবেশের ক্ষতি করে পাথর উত্তোলনেরও বিরোধিতা করেছিলেন।
গত শনিবার থেকে পৃথকভাবে পাঁচ দফা দাবিতে পণ্য পরিবহনমালিক-শ্রমিকরাও ধর্মঘট পালন করছেন। তবে জামায়াতে ইসলামীপন্থী পরিবহনমালিকদের একটি অংশ ও সিলেট জেলা সিএনজি অটোরিকশা, অটোটেম্পো, ট্যাক্সি মালিক সমিতি এ ধর্মঘটের সঙ্গে নেই বলে জানিয়েছে।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবহনশ্রমিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন। ২০১৮ সাল থেকে সিলেটের সব পাথর কোয়ারি বন্ধ রয়েছে। এতে লাখো মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। বারবার দাবি জানানো হলেও আগের সরকারের আমলে আমরা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এখনো সেই নির্যাতনের ধারাবাহিকতা চলছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।’