ছয় দফা দাবিতে ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গায় স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি
Published: 8th, July 2025 GMT
ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান ও ১১তম গ্রেডে বেতন স্কেল উন্নীত করাসহ ছয় দফা দাবিতে চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার সকালে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয় চত্বরে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত অবস্থান নেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। এ সময় বক্তব্য দেন হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি সোহাগ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি রবিউল ইসলাম, আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওহিদুজ্জামান, জীবনগর উপজেলা শাখার সভাপতি মশিউর রহমান ও দামুড়হুদার প্রতিনিধি ওয়ালিদুর রহমান।
বক্তারা বলেন, জন্মের পর ১০টি মারাত্মক রোগ থেকে মানবশিশুর সুরক্ষায় স্বাস্থ্য সহকারীরাই টিকা প্রদান করে থাকেন। কাজটি সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল হলেও তাঁরা পদমর্যাদা থেকে বঞ্চিত। দাবি বাস্তবায়ন না করায় স্বাস্থ্য সহকারীরা সরকারের অন্য সব দপ্তরের কর্মচারীদের থেকে পদমর্যাদাসহ বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বিগত সরকারের সময় বারবার আশার বাণী শোনানো হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশের ২৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারীর ছয় দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা। দাবি পূরণ না হলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিসহ (ইপিআই) সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
এদিকে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে আজ সকালে অবস্থান নেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে দাবিসংবলিত ব্যানার, লিফলেট নিয়ে জেলা ও উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশ নেন। এ সময় হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম, সমন্বয়ক ফারুক হোসেন, ওলিউর রহমান, সোহেল রানা, ফরহাদ হোসেন, আক্তার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন। দাবি বাস্তবায়ন না করা হলে পরে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে তাঁরা হুঁশিয়ারি দেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে আছে নির্বাহী আদেশে নিয়োগবিধি সংশোধনের মাধ্যমে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক/সমমান করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদাসহ বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ; পূর্বের নিয়োগবিধি অনুযায়ী নিয়োগ পেলেও কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী, সব স্বাস্থ্য পরিদর্শককে অভিজ্ঞতার আলোকে স্নাতক পাস স্কেলে আত্তীকরণ করতে হবে; বেতন স্কেলে উন্নীতকরণের পূর্বে স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শকেরা যত সংখ্যক টাইম স্কেল অথবা উচ্চতর গ্রেডপ্রাপ্ত বা প্রাপ্য হয়েছেন, তা পরবর্তী পুনর্নির্ধারিত বেতন স্কেলের সঙ্গে যোগ করতে হবে এবং পূর্বে ইন–সার্ভিস ডিপ্লোমা এসআইটি কোর্স সম্পন্নকারী স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শকদেরকে ডিপ্লোমাধারী সম্পন্ন হিসেবে গণ্য করে সরাসরি ১১তম গ্রেড দিতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন স ব স থ য সহক র স ব স থ য সহক র র পদমর য দ অবস থ ন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।