কলম্বোর ম্যাচ জয় প্রধান কোচ ফিল সিমন্সকে তৃপ্তি ও সম্ভাবনার দ্বার দুটোই খুলে দিয়েছে। বাংলাদেশ দল আজ ক্যান্ডিতে জিতে গেলে কোচের গুরুত্ব বাড়বে বোর্ডের কাছে। এ রকম একটি সুযোগ কোচ হাতছাড়া করতে চাইবেন না। তাই ইংল্যান্ডে চিকিৎসা নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় ক্যান্ডিতে পৌঁছে গেছেন। টিম মিটিং, গেম প্ল্যান তিনিই করবেন। এক কথায় ড্রেসিংরুমে আজ তিনিই সর্বেসর্বা। যদিও তিনি বাকি কোচিং স্টাফকে কাজের স্বাধীনতা দেন। ক্রিকেটারদের দেন খেলার স্বাধীনতা। বাংলাদেশ দলকে এক সুতায় বাঁধতে কোচের শক্তির জায়গা এটি। তাঁর দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ জিতে গেলে সত্যিকারের একটি দল হয়ে ওঠার পথে এক ধাপ এগিয়ে যাবে তারা। সেই লক্ষ্য অর্জনে ক্রিকেটাররা উন্মুখ হয়ে আছেন পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে সেরাটা উজাড় করে দিতে।
গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন বার্তা দিয়েছেন, আগের ম্যাচের জয় তাদের আত্মবিশ্বাসী করেছে। সিরিজ জয় ওয়ানডে সংস্করণে ধারাবাহিক হতে সাহায্য করবে।
২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে খুব বেশি ওয়ানডে সিরিজ খেলার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের। এ সময় ১৬টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে পাঁচটিতে হেরেছে। যেটি র্যাংকিংয়েও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজটি জিততে পারলে কূল খুঁজে পাবেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। যদিও ভারত সফর এক বছর পিছিয়ে যাওয়ায় টাইগারদের আরেকটি ওয়ানডে সিরিজ খেলার জন্য লম্বা অপেক্ষায় থাকতে হবে। এ কারণে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে হলেও সিরিজে জয় চাই ইমনদের, ‘আমাদের একটা বড় সুযোগ কালকের ম্যাচ জিতলে। একটি সিরিজ জেতা হবে। যেটা আবার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। শেষ ম্যাচ জেতার পর সবাই এটা অনুভব করছে। আমরা চেষ্টা করব সেরা খেলা খেলে কালকের (আজ) ম্যাচটি জেতার।’
এ মুহূর্তে মিরাজদের ড্রেসিংরুমে বেশি কথা হয় ইনিংস বড় করা নিয়ে। কেউ সেট হলে ইনিংস বড় করতে বলা হয় তাঁকে। এই কৌশলেই বড় দলগুলো বেশি সফল হয়। এভাবে খেলতে পারলে সমৃদ্ধ হয় ব্যাটারদের ক্যারিয়ারও। সাকিব, তামিমরা এভাবে খেলে ভালো করেছেন। নিজেরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দলকে জয় উপহার দিতে পেরেছেন। বর্তমান প্রজন্মের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের মানসিকতা সাকিবদের মতোই। ইমন জানান, ৬৭ রান করে আউট হওয়ায় অপরাধবোধ কাজ করেছে, ‘সত্যি বলতে আমরা ইনিংস লম্বা করতে পারিনি। আউট হওয়ার পর আমার অনেক অপরাধবোধ হচ্ছিল। যেহেতু সেট হয়ে গেছি– ১০০ করা যেত। আউট হওয়ার পর খারাপ লাগছিল। আমাদের টিম মিটিংয়ে বলা হচ্ছে, আমরা সেট হলে যেন বড় ইনিংস খেলি। চেষ্টা করব কাল সেট হলে ইনিংস বড় করতে। এখানে যাদের খেলার অভিজ্ঞতা আছে, তারা বলেছেন, উইকেট ভালো হবে। চেষ্টা করব ভালো করতে।’
পাল্লেকেলের উইকেট ব্যাটিংবান্ধব হয়ে থাকে। গত এক বছরে শ্রীলঙ্কার যতগুলো ম্যাচ এই ভেন্যুতে হয়েছে, তাতে শোভন স্কোর ছিল। আজকের ম্যাচের জন্যও ব্যাটিং উইকেট করা হয়েছে বলে জানান স্বাগতিক দলের ব্যাটিং কোচ থিলিনা কানদাম্বি। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্টেরও একই ধারণা। বাদামি পিচে হালকা ঘাস রেখে রোল করা হয়েছে। আবহাওয়া শুষ্ক থাকলে ব্যাটাররা ভালো করবেন। এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন বোলাররা। পেস না স্পিননির্ভর একাদশ হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিচক্ষণভাবে।
বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলামের সঙ্গে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন খেলার সুযোগ পেলে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া সহজ হবে। কারণ ওয়ানডে ক্রিকেটে লেগ স্পিনাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ইমন আশা করছেন রিশাদ খেলার সুযোগ পেলে সেরাটা দিয়ে দলকে জয়ের পথ দেখাবেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বড় রানে চোখ ইমনদের
কলম্বোর ম্যাচ জয় প্রধান কোচ ফিল সিমন্সকে তৃপ্তি ও সম্ভাবনার দ্বার দুটোই খুলে দিয়েছে। বাংলাদেশ দল আজ ক্যান্ডিতে জিতে গেলে কোচের গুরুত্ব বাড়বে বোর্ডের কাছে। এ রকম একটি সুযোগ কোচ হাতছাড়া করতে চাইবেন না। তাই ইংল্যান্ডে চিকিৎসা নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় ক্যান্ডিতে পৌঁছে গেছেন। টিম মিটিং, গেম প্ল্যান তিনিই করবেন। এক কথায় ড্রেসিংরুমে আজ তিনিই সর্বেসর্বা। যদিও তিনি বাকি কোচিং স্টাফকে কাজের স্বাধীনতা দেন। ক্রিকেটারদের দেন খেলার স্বাধীনতা। বাংলাদেশ দলকে এক সুতায় বাঁধতে কোচের শক্তির জায়গা এটি। তাঁর দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ জিতে গেলে সত্যিকারের একটি দল হয়ে ওঠার পথে এক ধাপ এগিয়ে যাবে তারা। সেই লক্ষ্য অর্জনে ক্রিকেটাররা উন্মুখ হয়ে আছেন পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে সেরাটা উজাড় করে দিতে।
গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন বার্তা দিয়েছেন, আগের ম্যাচের জয় তাদের আত্মবিশ্বাসী করেছে। সিরিজ জয় ওয়ানডে সংস্করণে ধারাবাহিক হতে সাহায্য করবে।
২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে খুব বেশি ওয়ানডে সিরিজ খেলার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের। এ সময় ১৬টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে পাঁচটিতে হেরেছে। যেটি র্যাংকিংয়েও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজটি জিততে পারলে কূল খুঁজে পাবেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। যদিও ভারত সফর এক বছর পিছিয়ে যাওয়ায় টাইগারদের আরেকটি ওয়ানডে সিরিজ খেলার জন্য লম্বা অপেক্ষায় থাকতে হবে। এ কারণে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে হলেও সিরিজে জয় চাই ইমনদের, ‘আমাদের একটা বড় সুযোগ কালকের ম্যাচ জিতলে। একটি সিরিজ জেতা হবে। যেটা আবার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। শেষ ম্যাচ জেতার পর সবাই এটা অনুভব করছে। আমরা চেষ্টা করব সেরা খেলা খেলে কালকের (আজ) ম্যাচটি জেতার।’
এ মুহূর্তে মিরাজদের ড্রেসিংরুমে বেশি কথা হয় ইনিংস বড় করা নিয়ে। কেউ সেট হলে ইনিংস বড় করতে বলা হয় তাঁকে। এই কৌশলেই বড় দলগুলো বেশি সফল হয়। এভাবে খেলতে পারলে সমৃদ্ধ হয় ব্যাটারদের ক্যারিয়ারও। সাকিব, তামিমরা এভাবে খেলে ভালো করেছেন। নিজেরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দলকে জয় উপহার দিতে পেরেছেন। বর্তমান প্রজন্মের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের মানসিকতা সাকিবদের মতোই। ইমন জানান, ৬৭ রান করে আউট হওয়ায় অপরাধবোধ কাজ করেছে, ‘সত্যি বলতে আমরা ইনিংস লম্বা করতে পারিনি। আউট হওয়ার পর আমার অনেক অপরাধবোধ হচ্ছিল। যেহেতু সেট হয়ে গেছি– ১০০ করা যেত। আউট হওয়ার পর খারাপ লাগছিল। আমাদের টিম মিটিংয়ে বলা হচ্ছে, আমরা সেট হলে যেন বড় ইনিংস খেলি। চেষ্টা করব কাল সেট হলে ইনিংস বড় করতে। এখানে যাদের খেলার অভিজ্ঞতা আছে, তারা বলেছেন, উইকেট ভালো হবে। চেষ্টা করব ভালো করতে।’
পাল্লেকেলের উইকেট ব্যাটিংবান্ধব হয়ে থাকে। গত এক বছরে শ্রীলঙ্কার যতগুলো ম্যাচ এই ভেন্যুতে হয়েছে, তাতে শোভন স্কোর ছিল। আজকের ম্যাচের জন্যও ব্যাটিং উইকেট করা হয়েছে বলে জানান স্বাগতিক দলের ব্যাটিং কোচ থিলিনা কানদাম্বি। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্টেরও একই ধারণা। বাদামি পিচে হালকা ঘাস রেখে রোল করা হয়েছে। আবহাওয়া শুষ্ক থাকলে ব্যাটাররা ভালো করবেন। এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন বোলাররা। পেস না স্পিননির্ভর একাদশ হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিচক্ষণভাবে।
বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলামের সঙ্গে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন খেলার সুযোগ পেলে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া সহজ হবে। কারণ ওয়ানডে ক্রিকেটে লেগ স্পিনাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ইমন আশা করছেন রিশাদ খেলার সুযোগ পেলে সেরাটা দিয়ে দলকে জয়ের পথ দেখাবেন।