ভারী বৃষ্টিপাতে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখওয়া এবং রাজধানী ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে ঘরবাড়ি ধস ও পানিতে ডুবে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগামী দুই দিন দেশটির বিভিন্ন অংশে ভারি বর্ষণ ও বন্যার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খবর দ্য ডনের।

পাকিস্তানের জাতীয় জরুরি পরিচালনা কেন্দ্র সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধান নদীগুলোর উজানে এবং বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এতে করে বেশ কয়েকটি এলাকায় হঠাৎ বন্যার সৃষ্টি হতে পারে।

এই সতর্কতার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বিশেষ করে বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

করাচিতে পাঁচতলা ভবন ধসে নিহত ১৪

বৃষ্টি-বন্যায় বিপর্যস্ত ভারত ও পাকিস্তান, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৩

বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রদেশটির বিভিন্ন অংশে হওয়া ভারী বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি ধসে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রদেশটির অন্তত ২২টি জেলা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ওয়াশুক, আওরান, ঝাল ম্যাগসি, খুজদার, মুসাখাইল, কিলা সাইফুল্লাহ, বারখান, কহলু, লোরালাই, ও ঝব-শেরানি জেলার বিভিন্ন এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডি শহরের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টিজনিত দুর্ঘটনায় অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজন শিশু। পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খাইবার পাখতুনখাওয়ার মালাকান্দ, বুনের, মানসেহরা ও কারাক জেলায় বৃষ্টির কারণে আরও ৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় আাগামী দুই দিনের জন্য দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ভারি বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতির সতর্কতা জারি করেছে পাকিস্তানের ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (এনইওসি)।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জন র ম ত য দ শট র সতর ক

এছাড়াও পড়ুন:

টাঙ্গাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সাবেক কাউন্সিলর সালেহা বেগম বাড়িতে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে সাড়ে ৮ লাখ লুটের অভিযোগে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (৭ জুলাই) রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাসান মারুফ স্বাক্ষরিত অফিসে আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান ও জিয়াউর রহমান।

আরো পড়ুন:

জুলাই বিপ্লব নিয়ে ‌কটূক্তি করা পুলিশ সদস্য বরখাস্ত  

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চবির অফিস সহকারী বরখাস্ত

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাসান মারুফ স্বাক্ষরিত অফিসে আদেশে বলা হয়, ছালেহা বেগমের বাড়ি থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্তপূর্বক সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ধারা ১২ এর উপধারা ১ মোতাবেক সরকারি চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে তাদের প্রধান কার্যালয়ে যোগদান করার আদেশ করা হয়েছে।

সাবেক কাউন্সিলর ছালেহা বেগম অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। 

অভিযোগে তিনি বলেন, “গত ১৮ জুন সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন প্রথমে আমার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে কোনো মাদকদ্রব্য না পেয়ে তাদের গাড়ির তেল খরচের জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। তখন আমি তাদের ১০ হাজার টাকা দেই। পরবর্তীতে তারা আমাকে বাকি ১০ হাজার ঢাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে বলে চলে যান। কিছুক্ষণ পরে তারা পুনরায় আমার ঘরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র এলোমেলো করতে থাকেন।” 

অভিযোগে তিনি আরো বলেন, “প্রায় ৩ ঘণ্টার অধিক সময় নাটকীয়ভাবে অভিযান চালিয়ে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখানো হয়। একপর্যায়ে তারা ঘরের আলমারির তালা খুলে সেখানে থাকা নগদ ৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা নেন। আমার ছেলের ঘরে প্রবেশ করে ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো করে ও ঘরের আলমারির ড্রয়ারে থাকা নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেন। টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে, আমাকে ও আমার ছেলের স্ত্রীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। পরে জবানবন্দি ভিডিও রেকর্ড করা হয়।”

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তকারী কর্মকর্তারা তদন্ত করে। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়াও দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ