বরেণ্য লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। কিন্তু এই খবর সত্যি নয় বলে জানিয়েছেন শিল্পীর স্বামী গাজী আবদুল হাকিম।   

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে গাজী আব্দুল হাকিম বলেন, “ওনার (ফরিদা পারভীন) শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ এটা তো সত্য। কিন্তু উনি এখনো বেঁচে আছেন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। ফেসবুকে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছে; যা আমার পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।” 

এর আগে গুঞ্জন ছড়ায়, অর্থের অভাবে ফরিদা পারভীন উন্নত চিকিৎসা নিতে পারছেন না। এরপর কিছু সংগঠন ও ব্যক্তি অর্থ সংগ্রহ শুরু করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে যোগাযোগ করে অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু ফরিদা পারভীন এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।  

আরো পড়ুন:

কাজল-রানীদের ঐতিহ্যবাহী ফিল্মিস্তান স্টুডিও বিক্রি

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন পর্নো তারকা

ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম জাফর নোমানী এ বিষয়ে পরিষ্কারভাবে বলেন—“আম্মার চিকিৎসার জন্য কোনো ধরনের আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন নেই। এ ধরনের কোনো আবেদন আম্মা বা আমাদের পক্ষ থেকে করা হয়নি।” 

দীর্ঘ দিন ধরে লিভারের রোগ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছেন ফরিদা পারভীন। কয়েক দিন আগে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। শুরুতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়ার পর গত রবিবার তাকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।

ফরিদা পারভীনকে বলা হয় লালন কন্যা৷ লালন ফকিরের গান গেয়ে দেশে-বিদেশে খ্যাতি পেয়েছেন৷ ক্ল‌্যাসিক ও আধুনিক গানেও নন্দিত তিনি। ১৯৮৭ সালে ফরিদা পারভীন সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক অর্জন করেন। এছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কার পেয়েছেন। সেরা প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে ১৯৯৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এই শিল্পী।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত শুল্ক আলোচনার ভিত্তিতে ঠিক হবে: অর্থ উপদেষ্টা

বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত শুল্ক চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ওয়ান টু ওয়ান নিগোসিয়েশনের মাধ্যমে এটা ঠিক হবে। এ লক্ষ্যে আগামীকাল ৯ জুলাই ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তরের (ইউএসটিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের বৈঠক হবে।

বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে গতকাল বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর এ নিয়ে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ওখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টা আছেন। উনি তিন দিন আগে গেছেন। আজকেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দল যাচ্ছে। ৮ তারিখে মিটিং। ওদের ৮ তারিখ মানে আগামীকাল বুধবার খুব ভোরবেলা। মিটিংয়ের পর আমরা বুঝতে পারব।’ তিনি বলেন, ‘ইউএসটিআরের সঙ্গে আলাপ করবেন উনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা)। কালকের পর আপনারা বুঝতে পারবেন।’

মিটিংয়ে কি কোনো উন্নতি হওয়ার আশা করা যায়? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা আশা করি। যাই হোক, সেটার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অন্য পদক্ষেপগুলো নেব।’

ভিয়েতনাম কমাতে পারলে বাংলাদেশ কেন সেভাবে কমাতে পারল না—এই প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা ঠিক যে আমাদের ঘাটতি মাত্র ৫ বিলিয়ন ডলার। ভিয়েতনামের ১২৫ বিলিয়ন ডলার। ওখানে কিন্তু ওরা মোটামুটি ছাড় দিতে পারে। কিন্তু আমাদের এত কম বাণিজ্যঘাটতি, তাই এত শুল্ক দেওয়ার তো ন্যায্যতা থাকে না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ