১৯৬২ সাল থেকে এজবাস্টনে টেস্ট খেলা হচ্ছে। ভারত তথা এশীয় কোনো দলের সেই মাঠে টেস্ট জিততে লাগল ৬৩ বছর। রেকর্ড ৩৩৬ রানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরিয়েছে সফরকারীরা। স্মরণীয় সেই জয়ের পর ভারতের তরুণ অধিনায়ক শুভমান গিল দাবি করেছেন, এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ড সফরে আসা ভারতীয় দলগুলোর মধ্যে তাঁর দলটিই সেরা!
‘আমার প্রিয় সাংবাদিককে দেখতে পাচ্ছি না। তিনি কোথায়? তাঁকে দেখতে চেয়েছিলাম.
সেদিন শুভমান বলেছিলেন, আলাদা কোনো চাপ নেই। আর পাঁচটা টেস্টের মতোই এখানে খেলবেন। রোববার জয়ের পর ওই সাংবাদিককে খুঁজে না পেলেও সেই প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ উত্তর দেন ভারত অধিনায়ক, ‘টেস্ট শুরুর আগেও বলেছিলাম, আমি ইতিহাস বা পরিসংখ্যান নিয়ে বেশি ভাবি না। প্রায় ৬০ বছরে আমরা এখানে ৯টি টেস্ট খেলেছি। ভারতের বিভিন্ন দল এসেছে। আমার মতে, ইংল্যান্ড সফরে আসা ভারতীয় দলগুলোর মধ্যে আমাদের দলটাই সেরা।’
সিরিজ জেতার কথাও বলেছেন তিনি, ‘সিরিজ জেতার ক্ষমতা আমাদের আছে। যদি আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিই ও লড়াই না ছাড়ি তাহলে মনে রাখার মতো একটা সিরিজ সমর্থকদের উপহার দেব।’
ডাবল সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরি করে এ জয়ে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ অবদান অধিনায়ক শুভমান গিলের। তবে অবাক করেছেন ভারতীয় পেসাররা। জাসপ্রিত বুমরাহ এখানে খেলবেন না শুনে অনেকেই হায় হায় করে উঠেছিলেন। তার পরও ইংল্যান্ডের ২০ উইকেট তুলতে সমস্যা হয়নি ভারতের। আকাশদীপ ১০টি ও সিরাজ ৭ উইকেট নিয়ে স্বাগতিক শিবিরে ধস নামান।
এই বোলিং আক্রমণের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শুভমান, ‘জাসপ্রিত ভাই বিশ্বের সেরা বোলার। কিন্তু তাঁকে ছাড়াও আমাদের বোলিং প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এই টেস্টই তার প্রমাণ।’
এজবাস্টনে ব্যাট হাতে শুভমান ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১৬১ রান। অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চান তিনি, ‘আমার মনে হয় অধিনায়কের উচিত সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া। তাহলে যে কোনো পরিস্থিতিতে দলের অন্য ক্রিকেটারদের পরামর্শ বা নির্দেশ দেওয়া সহজ হয়। আপনি যদি নিজে ভালো খেলতে না পারেন, তাহলে অন্যকে ভালো খেলার কথা কীভাবে বলবেন? আমি সেটাই করার চেষ্টা করেছি।’ বৃহস্পতিবার থেকে লর্ডসে শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ ভমন গ ল
এছাড়াও পড়ুন:
তালিকায় আছেন সাবেক সচিব, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও সরকারি কর্মকর্তা
‘জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নির্মাণাধীন ভবনে বরাদ্দকৃত সাবেক সচিব, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের ১২টি ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ২৭৪তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের আলোকে এসব ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ‘ঢাকার ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরস্থ বিভিন্ন পরিত্যক্ত বাড়িতে আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (গৃহায়ন ধানমন্ডি) (১ম পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার সড়ক নম্বর-১৩ (নতুন-৬/এ) এর বাড়ি নম্বর-৭১১ (নতুন-৬৩) এর ওপর নির্মাণাধীন ভবনে বরাদ্দকৃত সাবেক সচিব, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের ১২টি ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
যাদের ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন-সাবেক অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. জহুরুল হক (ফ্ল্যাটের আয়তন ৪১০৫.০৫ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান (ফ্ল্যাটের আয়তন ৪৩০৮.৬৮ বর্গফুট), সাবেক সচিব এম এ কাদের সরকার (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ড. এম আসলাম আলম (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সচিব আকতারী মমতাজ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সচিব মো. সিরাজুল হক খান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সাবেক সিনিয়র জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট) এবং সাবেক সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট)।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ