না’গঞ্জ জেরা আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত কমিটিকে আইন কলেজের শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা
Published: 2nd, September 2025 GMT
নারায়নগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে এডঃ হুমায়ুন আনোয়ার পরিষদ জয়লাভ করায় নবনির্বাচিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানালেন নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে আইনজীবী সমিতির ভবনে বিজয়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে এ শুভেচ্ছা জানান। এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আসিফ আহমেদ রাফি, লূৎফুন নাহার লিজা, জাহিদ, নাসরিন, বিউটি, তাহসিন, ফরহাদ, রাহুল, মো: নবী সহ আরও অনেকে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে তিনটি প্যানেল অংশ গ্রহন করে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোট ১১৭২ জন ভোটারের মধ্যে ১০৫৩ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
এতে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সরকার হুমায়ূন কবির ও এইচএম আনোয়ার প্রধান পরিষদ প্যানেল বিপুল ভোটের ব্যবধানে ১৬-১ ব্যবধানে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
নিউজিল্যান্ডে সন্তানদের হত্যা করে স্যুটকেসে লুকিয়ে রাখার ঘটনায় মা দোষী সাব্যস্ত
নিউজিল্যান্ডে দুই সন্তানকে হত্যা করে তাদের মৃতদেহ স্যুটকেসে লুকিয়ে রাখার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এক নারী। প্রায় দুই সপ্তাহ বিচারকাজ চলার পর আজ মঙ্গলবার অকল্যান্ড হাইকোর্টে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন।
৪৪ বছর বয়সী ওই নারীর নাম হাকইয়ুং লি। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
আদালতে লির আইনজীবীরা যুক্তি দেখিয়েছিলেন, হত্যাকাণ্ডের সময় তাঁদের মক্কেল মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর স্বামীর ক্যানসারে মৃত্যু হওয়ার কয়েক মাস পর এ ঘটনা ঘটেছিল। তবে সরকারি কৌঁসুলি দাবি করেন, লির কর্মকাণ্ড পরিকল্পিত ছিল।
২০২২ সালে অকল্যান্ডের একটি পরিবার লির সন্তানদের মরদেহগুলো খুঁজে পায়। পরিবারটি অকল্যান্ডের নিলাম থেকে একটি পরিত্যক্ত গুদামের জিনিসপত্র কিনেছিল। সেখানকারই একটি স্যুটকেসে দেহাবশেষগুলো খুঁজে পায় তারা। ধারণা করা হয়, কয়েক বছর ধরে দেহাবশেষগুলো গুদামে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল।
লি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার উলসান থেকে গ্রেপ্তার হন। সে বছরের শেষদিকে তাঁকে নিউজিল্যান্ডে ফেরত পাঠানো হয়।
মামলা চলাকালে আদালতে বলা হয়, লির সন্তানদের মৃতদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল যে তাদের হত্যা করা হয়েছে।
ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকের বরাতে কৌঁসুলিরা বলেছেন, ওই শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। তবে ঠিক কী পদ্ধতিতে করা হয়েছে, তা নিশ্চিত নয়। তাদের বিষণ্নতারোধী একটি ওষুধ দেওয়া হয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
কৌঁসুলিরা বলছেন, লি যথেষ্ট বুঝেশুনেই কাজ করেছেন। সন্তানদের মৃতদেহ লুকিয়ে রাখা, নিজের নাম পাল্টানো এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরে যাওয়ার মতো সিদ্ধান্তগুলো তিনি সুচিন্তিতভাবেই নিয়েছিলেন।আদালতে বলা হয়েছে, লি ২০১৭ সালের আগস্টে একটি ফার্মেসি থেকে ওই ওষুধ কেনার জন্য প্রেসক্রিপশন নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর স্বামী ইয়ান জোর ক্যানসার ধরা পড়ার পাঁচ মাস পরের ঘটনা এটি।
লির আইনজীবীর দাবি, স্বামীর মৃত্যুর পরে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায় এবং তিনি মনে করতে শুরু করেন যে সবার একসঙ্গে মরে যাওয়াটাই ভালো। আর সে ভাবনা থেকেই তিনি নিজেকে ও সন্তানদের মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তিনি ওই ওষুধের ভুল ডোজ নেওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। ঘুম ভাঙার পর তিনি দেখেন তাঁর সন্তানেরা মারা গেছে।
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডের একটি পরিত্যক্ত গুদাম থেকে ২০২২ সালে লির সন্তানদের মরদেহ উদ্ধার হয়