চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পৌর সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম দিদারুল আলম চৌধুরী (৫৩)। তিনি উপজেলার সীতাকুণ্ড টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চিফ ইনস্ট্রাক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায়।

সীতাকুণ্ড টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো.

জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পৌর সদরের বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ পাশ দিয়ে মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন দিদারুল আলম চৌধুরী। এ সময় বেপরোয়া গতিতে আসা একটি মোটরসাইকেল তাঁকে ধাক্কা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম আরও বলেন, দুর্ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন দিদারুল। আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের রাউজানে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করার কথা রয়েছে।

কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জাকির রাব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, ‘অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদন সাপেক্ষে নিহত ব্যক্তির লাশ বিনা ময়নাতদন্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কোনো সরকার শিক্ষা নিয়ে তেমন কিছু করেনি, বর্তমান সরকারও না

বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ভালোভাবে হয় না। সমস্যাটি নতুন নয়, অনেক আগে থেকেই এমন হয়ে আসছে। এটা কাঠামোগত সমস্যা। খণ্ডিতভাবে দেখে, খণ্ডিত উদ্যোগ নিয়ে সমস্যাটির সমাধান হবে না। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও বৈষম্য কমানো দরকার।

ধনী ও সচ্ছল পরিবারের সন্তানেরা ভালো শিক্ষা পাবে, নিম্নবিত্তের সন্তানেরা পাবে না, সেটা হতে পারে না। শিক্ষার জন্য সম্পদের সংস্থান কোথা থেকে হবে, সেটার পথ খোঁজা দরকার। সব মিলিয়ে খাত ধরে একটি বড় ধরনের পর্যালোচনা হতে হবে। সেটা কয়েক দিন বা মাসের বিষয় নয়। পর্যালোচনাটি দরকার গভীর ও বিস্তৃত।

আরও পড়ুনবিদ্যালয়ে যেনতেন পড়াশোনা, ভরসা কোচিং ও গৃহশিক্ষক২ ঘণ্টা আগে

বর্তমান সরকার ১১টি বিষয়ে সংস্কার কমিশন করেছে। শিক্ষা খাত নিয়ে কোনো সংস্কার কমিশন করা হয়নি। প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি কমিটি করেছিল। সেই কমিটির প্রধান ছিলাম আমি। আমরা প্রতিবেদন সরকারের কাছে দিয়েছি। সেখানে বিভিন্ন সুপারিশ রয়েছে। কিন্তু সেটা নিয়ে তেমন কোনো কাজ হয়নি। খণ্ডিতভাবে দু-একটি সুপারিশ হয়তো বাস্তবায়ন হয়ে থাকতে পারে।

২০১০ সালে শিক্ষানীতি হয়েছে। তবে তা অনেকাংশে বাস্তবায়ন হয়নি। কারণ, সরকারগুলো কর্তৃত্ব ধরে রাখতে চায়। বিগত ৫৪ বছরে কোনো সরকারই শিক্ষা নিয়ে তেমন কিছু করেনি। বর্তমান সরকার অন্তত একটা সূচনা করতে পারত। সেটাও করেনি।

শিক্ষা খাত আমাদের রাজনৈতিক ব্যর্থতার একটি উদাহরণ। এ খাতের বড় ধরনের সংস্কার দরকার। অতীতের সরকারগুলো যেমন এ খাত নিয়ে কাজ করেনি, তেমনি ভবিষ্যতের সরকার সংস্কার করবে, সে আশাও করতে পারছি না। তবু আশা নিয়ে থাকতে হবে।

মনজুর আহমদ: শিক্ষাবিদ ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক।

[মতামত লেখকের নিজস্ব]

সম্পর্কিত নিবন্ধ