2025-11-20@15:35:51 GMT
إجمالي نتائج البحث: 1619

«যখন স»:

    অভিষেকের আগে লর্ডসে তাঁর প্যাড হাতে নেওয়া সেই ছবিটা এখনো প্রায়ই ভেসে বেড়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। চেহারায় সারল্য আর কৈশোরের ছাপ ছিল স্পষ্ট। সময়ের হিসাবে ২০ বছর পেরিয়ে গেছে এরপর। এখন মুশফিকের মুখভর্তি দাড়ি। তারুণ্য পেরিয়ে এখন তিনি ক্যারিয়ারের শেষ দিকে ছুটছেন।মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৮ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান খেলছেন নিজের শততম টেস্ট। লম্বা এই যাত্রায় কয়েক প্রজন্মের ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলেছেন মুশফিক। নিজের ক্যারিয়ার ও জীবনেও গেছেন অনেক উত্থান-পতনের ভেতর দিয়ে। এই সময়ে তাঁর কাছে সবচেয়ে কঠিন ও সুন্দর সময় ছিল কখন, আজ মিরপুরে মুশফিকের সংবাদ সম্মেলনে ছিল এমন প্রশ্ন।উত্তরে মুশফিক বলেছেন, ‘বাংলাদেশে হয়তো পরের টেস্ট খেলাই কঠিন। এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় বাস্তবতা। ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রতিটা ইনিংসই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, প্রতিটা ইনিংসই বিশেষ। আর যদি সুন্দর মুহূর্ত বলেন, তাহলে আমি বলব,...
    তুমুল অবগাহনের পর রাতটাকে তার ফ্যাদা ফ্যাদা লাগে। মনে হয়, তারাগুলো নিভছে না ওই অন্ধকার বাড়িয়ে দিতেই শুধু। আর চাঁদ যা ঝুলে আছে নিছক কলঙ্কের উপহার, তা–ও শূন্যতার ভেতর দৃশ্যের অন্তরালের অন্ধকার দূর করতে পারছে না। সে আরও অন্ধকারে হারিয়ে যাবার লোভে নাদান নাখান্দার মতো পাহাড়ে উঠতে থাকে। রাতের পাহাড় তাকে আরও বেশি গুলিয়ে ফেললে ঝোপ, লতা আর ক্যাকটাসে তার পা জড়িয়ে যায় এবং বৃত্তের ভেতর তার চক্রভ্রমণ তাকে ক্লান্ত, অবসন্ন, বেকার করে দিলে সে এসবকে ঝেড়ে ফেলে এবং মুহূর্তেই সিদ্ধান্ত নেয় যে তাকে পারতেই হবে এবং তার ভেতরের অদম্য জেদ তাকে প্রবহমান রাখে এবং সে বিরামহীন হাঁটতে থাকে, কখনো পায়ে হাঁটে, কখনো হামাগুড়ি দেয়, কখনো বুকে ভর করে সরীসৃপের মতো তার যাত্রা দুর্লঙ্ঘ।পাথর আর ঝুরঝুরে মাটির পাহাড় তাকে পিছলে...
    ইউটিউব ঘাঁটলে ভিডিওটি এখনো মিলবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সঙ্গে বাংলাদেশের এক দল শিল্পী ও অভিনেতা। দুলে দুলে, তুড়ি বাজিয়ে তাঁরা গাইছেন, ‘তুমি বন্ধু কালা পাখি,/ আমি যেন কী।’ স্মিতহাস্য হাসিনা এক পর্যায়ে তাঁর বোন রেহানাকে হাত ধরে টেনে আনলেন আনন্দ–উৎসবে যোগ দিতে। দরিদ্র এক দেশের পরাক্রমশালী এক প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্তাবকদের কেউই তাঁদের এই আনন্দঘন মুহূর্তে ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি একদিন; আর সেদিন তেমন দূরেও নয়, যখন এই গান থেমে যাবে। নিভে আসবে এই তারার মেলা। চোরের মতো পালাতে হবে নিজ বাড়ি থেকে, নিজ দেশ থেকে।গত বছরের ৫ আগস্ট যেদিন হাসিনা ও তাঁর বোন চারটি সু৵টকেস হাতে নিয়ে দেশ ছাড়েন, তাঁদের মুখে হাসির জায়গায় স্থান পেয়েছিল ভীতি ও গভীর উদ্বেগ। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন।...
    লিটন দাসের রান তখন ৯১। ম্যাথু হ্যামফ্রিসের বল লং অনের ওপর দিয়ে তুলে মারলেন। বলটা উড়ে গিয়ে বাউন্ডারির ওপারে পড়তেই মুষ্ঠিবদ্ধ হাত হাওয়ায় ভাসিয়ে দিলেন লিটন। নিজেকেই যেন তিনি বললেন, ‘শাবাশ!’লিটনকে নিয়ে এমন দৃশ্য একটু অপরিচিত। তাঁর মধ্যে আবেগের ঝড় দেখা যায় কমই। তবু স্পিনারকে লং অন দিয়ে ছক্কা মারার তৃপ্তিটা তিনি উদ্‌যাপনই করলেন এভাবেই। দিনভর তাঁর শট অবশ্য আনন্দে ভাসিয়েছে দর্শকদের।লিটন যখন উইকেটে আসেন, তখন সব উপলক্ষ ঘিরে ছিলেন মুশফিকুর রহিম। কাল শেষ বিকেলে যখন সিঙ্গেলস নিয়ে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা মুশফিককে স্ট্রাইক দেন, গ্যালারি থেকে ভেসে এসেছে স্লোগান। লিটন নিজের দায়িত্বটা পালন করেছেন ঠিকঠাক।আজও যখনই সুযোগ পেয়েছেন, মুশফিককে দিয়েছেন পাদপ্রদীপের আলো। শততম টেস্টে তাঁর শতকের সময়টাতে সঙ্গী ছিলেন লিটন। মুশফিকের বিদায়ের পর নিজের দিকে আলোটা কেড়ে নেন লিটন।সেঞ্চুরির অপেক্ষা...
    ১. অনুর পাঠশালা মাহমুদুল হকের ‘অনুর পাঠশালা’ (যা আগে ‘যেখানে খঞ্জনা পাখী’ নামে পরিচিত ছিল) ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত ৯১ পাতার একটি উপন্যাস। কাব্যধর্মী, মনস্তাত্ত্বিক ও সমাজ-সচেতন এ উপন্যাসটিতে উচ্চবিত্তের এক বিশাল বাড়ির অভ্যন্তরে কিশোর অনুর বন্দিজীবন এবং তার মনোজগতের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা অত্যন্ত নিপুণভাবে ফুটে উঠেছে। হাইকোর্টের প্রভাবশালী উকিল বাবার খুনে মনোবৃত্তি ও অতৃপ্ত মায়ের পরকীয়ার আবহাওয়ায় বেড়ে ওঠা অনু, সেই আস্থাহীন বৈভবের ঘেরাটোপ থেকে মুক্তি পেতে বাড়ির পাশের নিম্ন শ্রেণির বসতিতে পা বাড়ায়; যেখানে ফকিরা, গেনদু, টোকানি এবং বিশেষত চামারপাড়ার কিশোরী সরুদাসীর সাহচর্য তার কৈশোরিক চেতনায় এক ভিন্ন ‘পাঠশালা’ জগৎ খুলে দেয়। সরুদাসীর কাছ থেকে সে জীবন ও যৌনতার স্বাভাবিক পাঠ নেয়, যা তার উচ্চবিত্তের শুচিতাবোধের আবহে অনুপস্থিত। অনুর এই যাত্রা মূলত উচ্চবিত্তের ভড়ংপনা, হ্যাংলামির বিপরীতে নিম্নবিত্তের সহজাত আত্মমর্যাদার সূক্ষ্ম...
    ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মধ্য এশিয়ায় রাশিয়া তার প্রভাবের বড় অংশটি হারিয়েছে। আসন্ন মাস ও বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ অঞ্চলে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু চীন যেহেতু মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে, সে ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের এই উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে বেইজিং কীভাবে দেখছে?কাকতালীয়ভাবে হোক আর যা–ই হোক, ৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয় দেশই মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছে। ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্টদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। একই দিনে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের রাজধানী উরুমচিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১২তম চীন-মধ্য এশিয়া সহযোগিতা ফোরামের বৈঠক।যদিও পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনকে বেশি গুরুত্ব দেয়। তবে জিনজিয়াং প্রদেশের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত সম্মেলন এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে মধ্য এশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক বাড়ালেও...
    ইল্যুশনহ্যাঁ, তোমাকেই তো!যুগ যুগ ধরে খুঁজেছি তোমাকেই।শুধু যুগ? অনন্ত মহাকাল নয় কেন?চেনা–অচেনা সমস্ত মুখের ভিড়ে তোমার আদল...ব্যস্ত সড়ক পার হতে হতেপ্রতিটি পথিকের দিকে খরচোখে তাকিয়েছি।তুমি কোথাও ছিলে না। হয়তো থাকোই না।তুমি যে থাকো না—তুমি যে অলীককেউ বলল না সে কথা। অনেকেই জানে।হয়তো বড় রাস্তার ওই যে পাগলটামাঝে মাঝে মুখোমুখি হয়ে গেলেসন্ত্রস্ত সতর্কতায় দ্রুত সরে যাই, সেও জানে।হয়তো কাউকে একদিন এমন করে সেও খুঁজেছিল।সে জানে! আমি জানি না!শেষ পর্যন্ত জেনেছি আমি‘তুমি’ অ্যালকোহলের ঘোরে তৈরি এক ইল্যুশনখোয়ারি ভাঙার পরেই যা মিলিয়ে যায়।এই অনর্থক বোধের জন্য মানুষ কত পথঅহেতুক হেঁটে গেছে!কেউ কোনো দিন তাকে পায়নি।পায় না।অগ্নিমুখো ড্রাগনএকটা ধূসর জামার ভেতরে রাততার ইনসমনিয়াক দৈত্য পুষে রাখে।আমি রাখতে চেয়েছি ঘুমআরস্বপ্নের ঠিকাদারি।ক্লান্ত দেহ, নিমীলিত চোখতবুকরোটির ভেতর হৈচৈ কোলাহল, কথার মিছিল।নীরবতা—অনায়াস দ্রুততায় বাচাল স্মৃতির অর্গল খুলে ফেলে।কর্নিয়ার...
    বিশ্বরাজনীতিতে ‘ডায়াস্পোরা’ অর্থাৎ প্রবাসী জনগোষ্ঠী এখন একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তি। শব্দটির উৎপত্তি প্রাচীন গ্রিক ‘ডিএসপাইরেইন’ থেকে, যার অর্থ ছড়িয়ে যাওয়া বা বিচ্ছুরণ; কিন্তু এই ছড়িয়ে যাওয়া শুধু ভৌগোলিক নয়; এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে স্মৃতি, আবেগ, পরিচয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—রাজনৈতিক প্রভাব।সমাজবিজ্ঞানী উইলিয়াম সাফরান তাঁর বিখ্যাত প্রবন্ধ ‘ডিএসপোরাস ইন মডার্ন সোসাইটিস’–এ বলেন, ডায়াস্পোরা হলো এমন জনগোষ্ঠী, যারা দেশের বাইরে থাকলেও ‘হোমল্যান্ড’ বা মাতৃভূমিকে মন থেকে কখনো আলাদা করতে পারে না। তাদের অনুভূতি, ভয়–আশঙ্কা, রাজনৈতিক মূল্যবোধ—সবই দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে।এই ধারণা সবচেয়ে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় ইহুদি ডায়াস্পোরার ইতিহাসে। হাজার বছরের যাত্রায় ইহুদিরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে; কিন্তু বিংশ শতকে ইউরোপের বহু ইহুদি, যাদের বলা হয় ‘আশকেনাজি’—আধুনিক প্যালেস্টাইনে এসে বসতি স্থাপন করলে নতুন এক রাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরি হয়।আরও পড়ুনপ্রবাসীদের মেধা...
    রাত ১১টার কাঁটা ছুঁই ছুঁই। সাংবাদিকদের ভরা কক্ষে হামজা চৌধুরী প্রবেশ করতেই করতালিতে ফেটে পড়লেন সবাই। ভারতকে হারানোর আনন্দে মাতোয়ারা সংবাদ সম্মেলন কক্ষ। সামনে বসতেই অভিনন্দন জানানো হলো হামজা চৌধুরীকে, গত রাতে ১–০ গোলে বাংলাদেশের জয়ের অন্যতম নায়ককে।২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারি তখনো কাঁপছে। লাল-সবুজের ঢেউয়ে ভেসেছে দেশের ফুটবলতীর্থ। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় শুধুই একটা জয় নয়, এর চেয়েও বেশি কিছু। যখন আপনি জানবেন ভারতের কাছে হারের বা ড্র করার একের পর হতাশার গল্প, যখন জানবেন জিততে জিততে ড্র কিংবা হেরে মন খারাপ করে মাঠ ছাড়ার কাহিনি আছে অনেক, তখন এই জয় শুধু একটি জয়েই সীমাবদ্ধ থাকে না—হয়ে ওঠে অনেক আবেগময়।২০০৩ সালে ঢাকায় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে যে আবেগে ভেসেছিল গোটা দেশ; মতিউর মুন্নার গোল্ডেন গোলে ভারতকে...
    মানুষ স্বপ্ন দেখে—স্বাস্থ্য, শক্তি, সম্মান, সম্পদের স্বপ্ন। কেউ শুধু স্বপ্ন দেখে বসে থাকে, কেউ রাত-দিন চেষ্টা করে লক্ষ্যের দিকে ছুটে যায়। আর কেউ-বা আল্লাহর প্রতি সুন্দর ধারণা নিয়ে পথ চলে—তাদের পা আরও মজবুত হয়, হৃদয় ভরে উঠে আশায়। আল্লাহ তো ধনী, দয়ালু, আসমান-জমিনের মালিক। তিনি যা চান, তা-ই করেন। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তার আদেশ কেবল এই যে যখন কোনো কিছু করতে চান, তখন বলেন ‘হও’, তখনই তা হয়ে যায়।’ (সুরা ইয়াসিন, আয়াত: ৮২)সুন্দর ধারণা মানে আল্লাহর প্রতি ভালো ভাবনা—তিনি রহমতের মালিক, দয়ার সমুদ্র। হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, ‘আমি আমার বান্দার ধারণা অনুযায়ী আছি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৭,৪০৫)আল্লাহর রহমত সবকিছুকে ঘিরে, মায়ের চেয়ে বেশি দয়া তিনি বান্দার প্রতি করেন। নবীজি (সা.) একবার যুদ্ধের বন্দীদের মধ্যে এক মা দেখেন—তার স্তন থেকে দুধ ঝরছে, যে শিশু পান তাকেই জড়িয়ে ধরেন। নবীজি (সা.) জিজ্ঞেস করেন, ‘এই মা কি তার...
    মিয়ানমারের সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে বিপ্লবী আন্দোলনের অনেকেই বিশ্বাস করেন, চীন হস্তক্ষেপ না করলে হয়তো ভিন্ন হতো দেশটির বর্তমান বাস্তবতা। অনেকের বিশ্বাস, ২০২৪ সালে সামরিক সরকারবিরোধী অভিযান ‘অপারেশন ১০২৭’ শুরু হওয়ার পর চীন হস্তক্ষেপ না করলে এখন পর্যন্ত প্রতিরোধযোদ্ধারা নেপিডো ঘিরে ফেলতেন; অর্থাৎ বসন্ত বিপ্লব ইতিমধ্যেই পৌঁছে যেত জয়ের খুব কাছে।চীন প্রায়ই মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের ‘পওক-ফও’ বা ‘ভ্রাতৃসুলভ’ সম্পর্কের কথা বলে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই ভ্রাতৃসুলভ সম্পর্ক কি মিয়ানমারের জনগণের সঙ্গে, নাকি কেবল নেপিডোর শাসকদের সঙ্গে?২০২৪ সালের জুনে এমএনডিএএ, টিএনএলএ, এএ এবং পিপলস ডিফেন্স ফোর্স নিয়ে গঠিত ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের অপারেশন ১০২৭-এর দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়। এই অভিযান আকারে ও সফলতার ক্ষেত্রে ছিল নজিরবিহীন। উত্তর শান অঙ্গরাজ্যের রাজধানী লাশিও দখলের পর প্রতিরোধযোদ্ধাদের জোট আরও এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।আরও পড়ুনভারত, পাকিস্তান,...
    খোলসটা মুশফিকুর রহিমেরই ভাঙার প্রয়োজন ছিল। নিকট অতীতে তাকে পরিচিতরা কেউ নিজের মতো করে পাননি! অচেনা অভিমান, অজানা কারণে নিজেকে আটকে রেখেছিলেন। যেখানে শুধু প্রবেশাধিকারই নয়, উঁকি-ঝুঁকি দেওয়ার অলিখিত নিষেধাজ্ঞাও ছিল। সেই দেয়ালটা অবশেষে ভাঙল। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের ২৫ বছরে যা হয়নি, সেই উপলক্ষ পেয়েছে তার বদৌলতে। বাংলাদেশের কেউ একশ টেস্ট খেলবে এই বিশ্বাস অনেকেরই ছিল। কিন্তু কেউ তো ধারে কাছেও যেতে পারেননি! মুশফিকুর রহিম পেরেছেন। তার টেস্টের সংখ্যা এখন ৯৯। আরো পড়ুন: মুশফিকুরের শততম টেস্ট: যেসব আয়োজন রেখেছে বিসিবি বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান হলেন রুবাবা দৌলা রাত পোহালেই তার সাফল্যের মুকুটে যোগ হচ্ছে শততম টেস্টের পালক। এমন একটি উপলক্ষ মুশফিকুর নিজেকে গুটিয়ে রাখবেন, খোলা মনে থাকবেন না তা কী করে হয়? নিজের প্রয়োজনে বা...
    রাজেন্দ্রপুরে যখন পৌঁছালাম, রোদের তাপে চারদিক তখন ঝলসে যাচ্ছিল। কোনো দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। গাড়ি থেকে নামতেই চোখে পড়ল ছোট ছোট মাচা। তার ওপর পাতা ট্রেতে নীল রঙের গাদের দিকে তাকিয়ে চোখ যেন আরাম পেল। এই আরাম মনকেও ছুঁয়ে গেল যখন নীল রঙের নকশা করা শাড়িগুলো দেখলাম। কারখানার একদিকে নীল পাতা জাগ দেওয়া হচ্ছে, আরেক পাশে বড় চুলায় নীল জ্বাল দিচ্ছেন কর্মীরা। আরেক দিকে গাদটাকে ট্রেতে করে রোদে শুকানো হচ্ছে। চারদিকে চলছে পোশাকে প্রাকৃতিকভাবে টাই-ডাই করার প্রস্তুতি। গোছানো, ছিমছাম এই পরিবেশেই বানানো হচ্ছে অভিজাত নানা পণ্য।কমলা রঙের টাই–ডাই করা শাড়ি
    জান্নাত—যেখানে নেই কষ্ট, নেই মৃত্যু, নেই দুঃখ বা হতাশা। মানুষ সেখানে পাবে সীমাহীন আনন্দ, অপার শান্তি ও চিরন্তন সুখ। কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের অসংখ্য নিয়ামতের বর্ণনা এসেছে,  বাগান, নদী, অমর যৌবন, সুন্দর পোশাক, মনোরম খাবার ও অনন্ত প্রশান্তি।কিন্তু এসবের চেয়েও মহান, শ্রেষ্ঠ ও অনন্য এক নিয়ামত আছে,  তা হলো আল্লাহর দর্শন।জান্নাতের সাধারণ নিয়ামতসমূহ কোরআনে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতের সৌন্দর্য এভাবে বর্ণনা করেছেন,  “যারা ইমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদের জান্নাতের বাগানে প্রবেশ করানো হবে, যার তলদেশ দিয়ে নদী প্রবাহিত হবে। সেখানে তাদের জন্য থাকবে সোনার কঙ্কন ও মুক্তার অলঙ্কার, আর তাদের পোশাক হবে রেশম।” (সুরা হাজ্জ, আয়াত: ২৩)অন্যত্র বলেন, “তাদের জন্য থাকবে যা তাদের প্রাণ চায় এবং যা তারা চায় তা-ই সেখানে থাকবে।” (সুরা ফুসসিলাত, আয়াত: ৩১)অর্থাৎ জান্নাতে মানুষ পাবে প্রতিটি...
    রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের বারবার ব্যর্থ হওয়ার কারণ কী? কেন আমরা একটা কার্যকর রাষ্ট্র ও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারছি না? কেন আমরা সবার সঙ্গে সহাবস্থানের ন্যারেটিভ তৈরি করতে পারছি না? ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে আমি এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চাই আমাদের অতীতের ঘটনা বা গল্পগুলোর ভেতরে। কীভাবে সেই ঘটনা বা গল্পগুলো লেখা হয়েছে আর সেই লেখা কীভাবে আমাদের চরিত্র গঠন করেছে, এটা বোঝা জরুরি।২.আমাদের ইতিহাসচর্চায় একটা জিনিস বারবার চোখে পড়ে, আমরা নিজেদের অতীতকে মূলত ভিকটিমহুডের ফ্রেমে (ভুক্তভোগীর আয়নায়) দেখি। সেখানে ‘আমি’ সব সময় নির্যাতিত, বাকি সবাই অত্যাচারী। আমাদের ইতিহাসে যখনই ব্যর্থতার গল্প এসেছে, তখনই আমরা প্রথমে খুঁজেছি—‘কেউ কি আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে?’ বা ‘বাইরের কোনো শক্তি কি আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে?’এ রকম হয়েছে কারণ, এটা সহজ গল্প; সিনেমার মতো বলা যায়,...
    একটি, দুটি, তিনটি করে মুশফিকুর রহিম এখন শততম টেস্ট খেলার দ্বারপ্রান্তে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে কাল থেকে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামলেই ১০০ টেস্ট খেলা বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হয়ে যাবেন তিনি।বাংলাদেশের ক্রিকেটে এটি বড় এক ব্যক্তিগত অর্জনই হবে। তবে মুশফিকের কাছে এক শ টেস্ট হয়তো শুধুই একটা সংখ্যা। তাঁর মধ্যে এক শ থেকে আরও এগিয়ে যাওয়ার ক্ষুধাটা এখনো দেখেন বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্সও। মিরপুর আজ সংবাদ সম্মেলনে কোচ সে কথাই বলেছেন, ‘তাঁর মধ্যে এখনো সেই ইচ্ছা, সেই ক্ষুধা আছে, যা ১৫০ টেস্ট খেলা খেলোয়াড়দের মধ্যেই দেখা যায়। সে ক্রমাগত ভালো করতে চায়, এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। নিজেকে আরও উন্নত করার মনোভাবই তাঁকে এখানে নিয়ে এসেছে।’২০০৫ সালের ২৬ মে লর্ডসে অভিষেক। ২০ বছরেরও বেশি সময়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে কাল...
    মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনা তার সহযোগী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালে দেশে এনে দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানিয়েছে জুলাই ঐক্য। একইসঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের রায় রিভিউয়ের আবেদন জানিয়েছে তারা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে হাসিনার রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় জুলাই ঐক্যের নেতারা।  আরো পড়ুন: ‘জনশক্তিকে মানবসম্পদে পরিণত করতে শিক্ষা সংস্কারের বিকল্প নেই’ ঢাবি উপাচার্যের নামে ফেসবুকে ভুয়া আইডি, পাঠানো হচ্ছে রিকুয়েস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সমাজ সেবা সম্পাদক ও জুলাই ঐক্যের সংগঠক এবি জুবায়ের বলেন, “আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খুনি হাসিনার ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা লজ্জিত এটা দেখে যে, আমার ভাইদের ওপর ৩২ নাম্বারে হামলা করা হচ্ছে। জুলাই যোদ্ধাদের রক্তাক্ত করা...
    দীর্ঘ ২০ বছরের ক্যারিয়ার। এই পুরো পথটায় মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশ দলের অন্য অনেকের চেয়ে আলাদা হয়ে উঠেছেন তাঁর নিয়মানুবর্তিতা আর পরিশ্রম দিয়ে। আর সেই পথই তাঁকে নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলার দুয়ারে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আগামী পরশু থেকে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচেই তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন এই মাইলফলক, যা শুধু একটি সংখ্যা নয়, মুশফিকের ২০ বছরের সাধনার প্রতিচ্ছবিও।মুশফিককে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ আয়ারল্যান্ডের কোচ হেনরিখ মালানের বেশি হয়নি। তবু তাঁর এক গুণ আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে আলাদা করে তুলে ধরলেন তিনি। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল— মুশফিকের কাছ থেকে কোন জিনিসটা নিতে বলবেন তাঁর দলের ক্রিকেটারদের?আরও পড়ুনএক ওভারে ৩১ রান, এমন কিছু আগে দেখেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা১৫ নভেম্বর ২০২৫উত্তরে মালান বলেছেন, ‘আমি বলব তাঁর পেশাদারত্ব।...
    ২ / ৬এবার টায়ার নিয়ে দৌড়ানোর পালা
    তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় তারকা পারসা ইভানা। রিয়্যালিটি শো ‘চ্যানেল আই সেরা নাচিয়ে ২০১৪’তে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। নাচের প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে অভিনয় শুরু করেন। নাচ ছাপিয়ে তখনই স্বপ্ন দেখতেন, একদিন অভিনেত্রী হবেন। তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে আগেই। ইভানা এখন এই সময়ের ব্যস্ত তারকাদের একজন।পারসা ইভানার দাদাবাড়ি চট্টগ্রামের লাভ লেন এলাকায়, নানাবাড়ি রাউজানে। দাদাবাড়ি ও নানাবাড়ি ঘিরে রয়েছে এই তারকার অনেক স্মৃতি। জানালেন, ছোটবেলায় ঈদুল আজহায় সবচেয়ে বেশি মজা হতো। আর মজা হতো বছরের শেষে যখন স্কুল ছুটি হতো। রাউজানে নানাবাড়ির স্মৃতির কথা মনে করে ইভানা বলেন, ‘আমাদের কাজিন গ্রুপ ছিল। সবাই মিলে তখন মাটির চুলায় নিজেরা রান্না করতাম। নানা খেলাধুলায় মেতে থাকতাম। চট্টগ্রামে দারুণ মজার ছিল সেসব দিন।’ঢাকার কোনো রেস্তোরাঁয় যখন চট্টগ্রামের জনপ্রিয় আঞ্চলিক খাবার দেখেন, তখনই চট্টগ্রামের কথা মনে...
    এক নয়, দুই নয়, একশতম টেস্ট খেলার দ্বারপ্রান্তে মুশফিকুর রহিম।  আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একশতম টেস্ট খেলার অপেক্ষায় মুশফিকুর। দীর্ঘ দুই দশকের টেস্ট ক্যারিয়ারে মুশফিকুর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বাংলাদেশের অন্যতম সফল ও নির্ভরযোগ্য ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে।  হাবিবুল বাশার সুমনের হাত ধরে লর্ডসে দেশের পতাকা বহন করা শুরু করেছিলেন। সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুরকে আখ‌্যায়িত করলেন, পরিপূর্ণ  ও আদর্শ ক্রিকেটার হিসেবে। তার পুরো টেস্ট ক‌্যারিয়ার মূল‌্যায়ন করে দশে সাড়ে নয় নাম্বার দিয়েছেন হাবিবুল।  মুশফিকুরকে কাছ থেকে দেখা, শুরুর সম্ভাবনা, ক‌্যারিয়ারের উঠা-নামা, অধিনায়কত্বের সফর, উইকেট কিপিংয়ের জেদ এবং সর্বোপরি পুরো ক‌্যারিয়ার সম্পর্কে জানা হাবিবুলের। সেসব নিয়েই রাইজিংবিডি-র মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। তার কথা শুনেছেন, রবিউল ইসলাম… ২০০৫ সালে মুশফিকুর রহিমের মতো তরুণ একজন ক্রিকেটারকে দেখে আপনার প্রথম...
    কবি কাজী নজরুল ইসলামের বহুল প্রচলিত ও জনপ্রিয় একটি গান ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট’। গানটি ‘ভাঙার গান’ কাব্যগ্রন্থভুক্ত (মূলত গানের বই)। বইটি প্রকাশিত হয় ১৯২৪ সালের আগস্ট মাস মোতাবেক ১৩৩১ বঙ্গাব্দের শ্রাবণে। (‘তবে মনে হয়, বইটি বের হয়েছিল ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে’—বিদ্রোহী রণক্লান্ত, নজরুল জীবনী: গোলাম মুরশিদ, প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা, তৃতীয় সংস্করণ, ষষ্ঠ মুদ্রণ, ২০২১)। প্রকাশক ছিল কলকাতার ডি এম লাইব্রেরি এবং যুগবাণীর আর্য পাবলিশিং হাউস। উৎসর্গ করা হয়েছিল মেদিনীপুরবাসীদের উদ্দেশে। একই বছর ১১ নভেম্বর তৎকালীন বঙ্গীয় সরকার বইটি নিষিদ্ধ করে। এই নিষেধাজ্ঞা এখনো বলবৎ রয়েছে। নিষিদ্ধতার খড়্‌গ নিয়েই এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ পায় ১৯৪৯ সালে।গানটি রচনার প্রেক্ষাপট খুবই চমকপ্রদ। নজরুলের জীবনের মতোই আকস্মিকতাময়, রোমাঞ্চকর ও নাটকীয়। ১৯২১ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সম্পাদনায় বের হয় পত্রিকা ‘বাঙ্গালার কথা’। এ...
    জীবনে হঠাৎ করেই এমন কিছু ঘটে যায়, যা আমাদের পুরো পরিকল্পনাকে ওলট–পালট করে দেয়। একটা গল্প দিয়ে শুরু করি। ধরুন, আপনি প্রতি মাসে গ্রামের বাড়িতে দশ হাজার টাকা পাঠান। বাজেট মিলিয়ে সংসার চলছে কোনো রকমে। হঠাৎ একদিন এমন একটা পরিস্থিতি এল, যেখানে আরও দশ হাজার টাকা বাড়তি খরচ করতে হবে। মাথায় হাত! এত টাকা আসবে কোথা থেকে?প্রথমে মনে হয় আল্লাহ কেন এমন করলেন? কীভাবে সামলাব এত দায়িত্ব? কিন্তু কিছুদিন পরেই দেখা যায়, এক অভাবনীয় জায়গা থেকে রিজিকের ব্যবস্থা হয়ে গেছে। যে দায়িত্বটি নিতে বাধ্য হয়েছিলেন, সেটিই খুলে দিয়েছে নতুন উপার্জনের দরজা। যে কাজটা আপনার করার কথাই ছিল না, আল্লাহ সেখান থেকেই আপনার সম্মানজনক একটি আয়ের ব্যবস্থা করে দিলেন।প্রথমে মনে হয় আল্লাহ কেন এমন করলেন? কীভাবে সামলাব এত দায়িত্ব? কিন্তু কিছুদিন...
    বিশ্ববাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি চার হাজার ডলার ওঠার পর কমতে শুরু করেছে। গত এক মাসে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৯৯ ডলার ৬২ সেন্ট কমেছে। সেই সঙ্গে পশ্চিমা দুনিয়ার শেষ কার্যদিবস, অর্থাৎ গত শুক্রবার সোনার দাম কমেছে ১০৯ ডলার ৭৩ সেন্ট।সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ও পুরো মাসে সোনার দাম কমলেও গত সপ্তাহে আউন্সপ্রতি দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। সেই সঙ্গে রুপা, প্লাটিনাম ও প্যালাডিয়ামের মতো ধাতুর দামও গত সপ্তাহে বেড়েছে। খবর রয়টার্স ও গোল্ড প্রাইস ডট অর্গএদিকে আগামী ডিসেম্বর মাসের জন্য গোল্ড ফাউচার্স বা সোনার আগাম দাম নির্ধারিত হয়েছে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৯৪ ডলার। দেখা যাচ্ছে, এ ক্ষেত্রেও দাম কমেছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ।বাস্তবতা হলো, যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের কারণে দেশটির বাজারে আমদানি করা পণ্যের দাম বেড়ে...
    হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ার আগেই তাঁর নাম জানা হয়ে গিয়েছিল টিভিতে ‘এইসব দিনরাত্রি’ নাটকের কারণে। নাটকের রাতে পাশের বাসার চাচিরাও চলে আসতেন। কত রকম আলাপ এর চরিত্রগুলোকে ঘিরে। এখনকার মতন তো না যে হাজার হাজার স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের কোটি কোটি কনটেন্ট। কিছু দেখতে বসলে ব্রাউজ করতে করতেই হয়রান হতে হয়। একটা একান্নবর্তী মধ্যবিত্ত পরিবারকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে নাটকটা। মধ্যবিত্তদের নিয়ে আগেও নাটক হয়েছে অনেক, তবুও এই নাটকটা অন্য রকম লাগত। আমি ক্লাস ফোরে পড়ি তখন। অত কিছু বুঝতাম না, তারপরও ছাদের ঘরের ম্যাজিশিয়ান আনিস ভাই যখন শাহানাকে ম্যাজিক দেখাতে দেখাতে রুমালের ভেতর থেকে বের করে আনতেন আস্ত একটা গোলাপ ফুল, তাজ্জব হয়ে যেতাম! আবুল খায়ের বহুদিন পর্যন্ত আমাদের কাছে ছিলেন ‘সুখি নীলগঞ্জ’। বোহেমিয়ান আর একটু পাগলা মতন ছোট ভাই রফিকের প্রেমেই...
    বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়ার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ব্রিটিশরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল তাঁবেদার ও অনুগত নাগরিক তৈরি করা। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথাগত জ্ঞান আহরণের কেন্দ্র না থেকে জাতিরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করেছে। তবে সে গৌরব এখন ম্লান হয়ে গেছে।গতকাল শনিবার রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে আয়োজিত সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাসে, স্মৃতিতে শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বক্তারা।আলোচনায় অংশ নিয়ে কথাসাহিত্যিক আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেন, একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ রকম ভূমিকা পালনের দৃষ্টান্ত বিশ্বে বিরল। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের যে পতাকা ওড়ানো হয়েছে, সেটা আর কখনো নামেনি।বইটির মুখবন্ধের উদ্ধৃতি দিয়ে বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির এই অধ্যাপক বলেন, সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ জ্ঞান আহরণ, সৃষ্টি ও বিতরণ। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের...
    আবার শুরু। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নাইজেরিয়ায় সামরিক শক্তি মোতায়েন করার সর্বশেষ হুমকি ওয়াশিংটনের চিরন্তন বিভ্রান্তির আরেকটি অধ্যায় উপস্থাপন করছে। সেটা হলো আমেরিকান শক্তি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থাকা একটি জটিল সমাজকেও পুনর্গঠন করতে পারে। সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, মার্কিন স্বার্থ রক্ষা বা গণতন্ত্রের বিকাশ—যে যুক্তিই দেওয়া হোক না কেন, সেটি অতিপরিচিত চিত্রনাট্যের পুনরাবৃত্তি মাত্র। আমরা সেটি ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে আগেও দেখেছি। এসব গল্পের মূল জমিনটা কখনোই বদলায় না। প্রথমে সামরিক সাফল্য, এরপর সেখানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, অনিচ্ছাকৃত পরিণতি এবং শেষমেশ বিশৃঙ্খলভাবে মার্কিনদের পিছু হটা।নাইজেরিয়ার জনসংখ্যা ২২ কোটি। এটি আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতি এবং সবচেয়ে জনবহুল দেশ। মুসলিম–অধ্যুষিত উত্তরাঞ্চল এবং খ্রিষ্টান–অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চল জাতিগত উত্তেজনায় গভীরভাবে বিভক্ত। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ইসলামপন্থী বিদ্রোহ, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দেশটিতে রয়েছে। সারা দেশে দুর্নীতি মহামারির রূপ নিয়েছে। এই জটিল ও অস্থিতিশীল একটি দেশে...
    কম্বোডিয়া নতুন করে ১৭টি যুদ্ধবিমান কেনার জন্য সুইডেনের সঙ্গে ৪.৩ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দিয়েছে। এমন এক সময়ে এই ঘোষণা এলো যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক তীব্র উত্তেনাজপূর্ণ। বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।  আরো পড়ুন: দুই শতাধিক খাদ্যপণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প চতুর্থ সন্তানের মা হলেন কার্ডি বি প্রতিবেদনে বলা হয়, কম্বোডিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সুইডেনের কাছ ১৭টি গ্রিপেন যুদ্ধবিমান কেনার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে পেট্রো বলেন, “শান্তি অর্জনের জন্য এটি একটি প্রতিরোধমূলক অস্ত্র।” যুদ্ধবিমান কেনার এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময় এলো যখন কলম্বিয়া এবং ল্যাটিন আমেরিকার বেশিরভাগ দেশ এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক...
    টাকার অভাবে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। বাল্যবিবাহ হয়েছিল। স্বামীর সংসারে গিয়েও অভাব দূর হয়নি; বরং ‘নুন আনতে পান্তা ফুরোয়’ অবস্থা। দুঃখ-কষ্টে যখন দিন কাটছিল, তখন এক মামার কাছ থেকে এক হাজার টাকা ধার নিয়ে কাপড়-সুতা কিনে শুরু করেন নকশিকাঁথা সেলাই।পসার বাড়ে, বদলে যায় জীবনও। এখন তাঁর অধীনে কাজ করছেন অন্তত ৪০০ নারী। পরিশ্রম আর একাগ্রতায় অভাব দূর করা সেই নারী হলেন রুনা বেগম (৩৭)। রুনার বাসা সিলেট নগরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শাহি ঈদগাহ হাজারীবাগ এলাকায়। অভাব তাড়াতে ২০০৮ সালে ছোট পরিসরে কাঁথা সেলাইয়ের যে ব্যবসা শুরু করেছিলেন, দেড় দশকের ব্যবধানে তিনি এখন সফল নারী উদ্যোক্তা। অন্যদের কাছে তিনি এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত, এমন মত সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি লুবানা ইয়াসমিনের।তিনি ৪৫০ টাকায় কাঁথাটি বিক্রি করেন। এরপর তাঁর মনে...
    কুসংস্কার এমন এক জিনিস  যা শিক্ষিত-অশিক্ষিত কিংবা ধনী-গরীব কোনোকিছুই মানে না। ক্রীড়াক্ষেত্রে বিচিত্র সব কুসংস্কার আছে। ফুটবলে যেমন আছে, ক্রিকেটেও আছে। হালের স্টিভ স্মিথ-স্টুয়ার্ট ব্রড থেকে শুরু করে সেকালের শচীন টেন্ডুলকার, ইমরান খান; সবাই নিজেদের ক্যারিয়ারে কিছু না কিছু কুসংস্কারে বিশ্বাসী ছিলেন। শচীন সবসময় ব্যাট করতে নামার তাঁর বাঁ পায়ের প্যাড আগে পরতেন সবসময়। এরপরই ডান পায়ের প্যাড পরতেন।  স্টিভ ওয়াহ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময় পকেটে একটা লাল রঙয়ের ছেঁড়া কাপড় রাখতেন। শ্রীলঙ্কার বিধ্বংসী ফাস্ট বোলার লাসিথ মালিঙ্গা প্রতি বলের আগে বলে ‍চুমু খেতেন। এরকম উদাহরণ ভুড়িভুড়ি রয়েছে। তবে স্টিভেন স্মিথ এমন এক কুসংস্কারের কথা বললেন তা বিশ্বাস-ই করতে কষ্ট হবে যে কারো। অস্ট্রেলিয়ান তারকা স্টিভ স্মিথের একটি অদ্ভুত কুসংস্কার আছে, টেস্ট ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ব্যাট...
    পৃথিবীর এক দিকে যখন সূর্যের আলো নিভে আসে, তখন অন্য দিকে শুরু হয় নতুন এক সকাল। এমন সকাল যেখানে কোনো আনন্দ নেই, নেই বিশ্রাম বা বিলাস; আছে শুধু ঘাম কষ্ট আর নীরব সংগ্রাম। সেই সকালেই লাখো বাংলাদেশি শ্রমিক মাথায় হেলমেট পরেন, কেউ হাতে ট্রাউল ধরেন, কেউ স্টিয়ারিংয়ে বসেন, কেউবা মরুভূমির দিকে হাঁটেন। তারা জানেন, তাদের ঘামের প্রতিটি ফোঁটা একদিন দেশের মাটিতে সোনার দানায় রূপ নেবে। এই মানুষগুলো আমাদের অর্থনৈতিক সেনা। তারা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেন না, কিন্তু প্রতিদিন যুদ্ধ করেন সময় যন্ত্রণা আর একাকিত্বের সঙ্গে। তারা শুধু নিজের জন্য লড়াই করেন না, তারা লড়ে যান প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য, দেশের পতাকা উঁচু রাখার জন্য। আমরা তাদের বলি ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা’। তারা প্রবাস থেকে উপার্জন করে নিবাসে যা পাঠান তাই...
    ঘটনাটি ২০২৫ সালের ১৩ মার্চের। রাত ৯টা-সাড়ে ৯টা হবে। উপসম্পাদক লাজ্জাত ভাই (লাজ্জাত এনাব মহছি) ডাকলেন। মাগুরার শিশুটির মৃত্যুসংবাদের সঙ্গে কোন ছবি যাওয়া উচিত, সেটা নিয়ে মতামত চাইলেন। পরদিন পত্রিকায় খবরটি প্রধান প্রতিবেদন হিসেবে ছাপা হবে। মাগুরার শিশুটির কথা নিশ্চয় আপনাদের মনে আছে। এ বছরের ৫ মার্চ যৌন নির্যাতন, গলায় ফাঁস ও বুকে প্রচণ্ড চাপ দিয়ে ৮ বছরের শিশুটিকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি শিশুটির বোনের শ্বশুরের বিরুদ্ধে ১৭ মে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার আধিক্যের মধ্যে খুব কম ঘটনাই স্ফুলিঙ্গ হয়ে ওঠে। মাগুরার শিশুটি ছিল সে রকম খুব কম ঘটনার একটি। রাজধানী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত টানা কয়েক...
    সুড়ঙ্গের শেষে আলো দেখা যাচ্ছে কি? যাঁরা দেশ চালান, তাঁদের কথা শুনলে মনে হয়, সব ঠিকঠাক চলছে। পত্রিকার পাতা ওলটালে ভয়ংকর সব খবর পাই। একদল হুমকি দিচ্ছে—তাদের কথামতো না চললে তারা দেশটা অচল করে দেবে। আরেক দল হম্বিতম্বি করছে—দেশটা তাদের; সুতরাং তাদের কথাই চূড়ান্ত। এদিকে অন্য একটি দল ঘোঁট পাকাচ্ছে—কিছুই হতে দেবে না। তারা গোলমাল পাকিয়ে সব গুবলেট করে দিতে চাচ্ছে। সব মিলিয়ে দেশে তৈরি হয়েছে একটি অস্থির অবস্থা, একটি যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব।আমাদের দেশের বয়স প্রায় ৫৫। প্রথম বছর গেল গোলার আওয়াজ আর বারুদের গন্ধে। তার পর থেকে সময়ের যে রেখাচিত্র দেখছি, তা কখনো সরলরেখায় চলেনি। কিছুদিন শান্তি তো তারপরই শুরু হয়ে যায় অশান্তি। মানুষ স্বস্তিতে ও নিরাপদে থাকতে চান। তাঁদের চাহিদা খুব অল্প; কিন্তু কিছু লোক সেটি কিছুতেই হতে...
    ইসলামের আলোকে নবীজির জীবন এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত। তিনি তো মানুষের মাঝে সর্বোত্তম আদর্শ। কিন্তু একটা প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরপাক খায়, যদি নবীগণ গুনাহ থেকে পবিত্র থাকেন, তাহলে কেন আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন? আর কেন তিনি দিনরাত এত বেশি ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করতেন?আজ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজব আমরা।আল্লাহ তায়ালা সুরা মুহাম্মাদে বলেছেন, ‘অতএব জেনে রাখো, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং তোমার গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো, আর মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদের জন্যও।’ (সুরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ১৯)এই আয়াতে নবীজিকে নিজের গুনাহের জন্য ইস্তিগফার করতে বলা হয়েছে। কিন্তু নবী তো গুনাহমুক্ত, তাহলে এর অর্থ কী?ইমাম কুরতুবি তাঁর তাফসিরে বলেছেন, এটা কয়েকভাবে বোঝা যায়। প্রথমত, এটা প্রতিরোধমূলক, অর্থাৎ, যেন আল্লাহ তাঁকে ভবিষ্যতে গুনাহ থেকে আরও সুরক্ষিত রাখেন। দ্বিতীয়ত, এটা উম্মতকে শেখানোর জন্য, যাতে আমরা বুঝি ইস্তিগফার কত জরুরি। তৃতীয়ত, নবীজি নিজে এটা করে...
    দেশের নাগরিক যখন কোনো সংস্থার কাছে থেকে ঋণ নেন, তখন তাঁর প্রয়োজন হয় জামিনদারের। আর যখন কোনো সংস্থা নাগরিকের কাছ থেকে আমানত নেয়, তখন? জামিনদারের ভূমিকায় তখন অবতীর্ণ হয় রাষ্ট্র। কারণ, সরকারি নিবন্ধন দেওয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্র নিশ্চিত করে সেই সংস্থার বৈধতা। জামালপুরে সমবায় সমিতির কাছে নিঃস্ব হওয়া মানুষের দায়িত্ব কি রাষ্ট্র নেবে না?প্রথম আলোর খবরে এসেছে, জামালপুরের মাদারগঞ্জে ২৩টি সমবায় সমিতি আমানতকারীদের হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে। মাদারগঞ্জে হাজারো আমানতকারী নিজের কষ্টার্জিত টাকা ফেরত পেতে টানা তিন দিন উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করে রেখেছেন। এই চিত্র শুধু মাদারগঞ্জের নয়, এটি বাংলাদেশের আর্থিক শৃঙ্খলার ভঙ্গুরতার চিত্রও বটে। কয়েক বছর ধরে ২৩টি সমবায় সমিতি উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে, অথচ ২০২২ সাল থেকে সেই টাকার...
    পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভির পদত্যাগ করা একটি বড় ধাক্কা। এটি এমন সময়ে প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ে শূন্যতা তৈরি করল, যখন নেতৃত্বের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল। ডেভি জোর দিয়ে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত একান্তই তাঁর নিজের; বোর্ড, ডানপন্থী রাজনীতিক ও সংবাদমাধ্যমের সমন্বিত আক্রমণে নেতৃত্ব দেওয়া অনেকেই এটি প্রত্যাশা করেনি। এখন ডেভি ও বিবিসি নিউজের সিইও ডেবোরাহ টারনেস—উভয়ের পদত্যাগ দেখিয়ে দিল, চাপ প্রয়োগ করলে ফল পাওয়া যায়।সবচেয়ে বিস্ময়ের বিষয় হলো, এই পুরো ঘটনা শুরু হয়েছিল মাত্র এক সপ্তাহ আগে, যখন টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত হলো মাইকেল প্রেসকটের তৈরি ১৯ পাতার একটি ‘বিধ্বংসী নথি’। প্রেসকট একজন সাবেক রাজনৈতিক সাংবাদিক, যিনি তিন বছর বিবিসির বাহ্যিক উপদেষ্টা ছিলেন। ওই নথিতে অভিযোগ করা হয়, বিবিসি প্যানোরামা ট্রাম্পের এক ভাষণকে এমনভাবে সম্পাদনা করেছে, যেন মনে হয় তিনি ৬...
    দ্য থার্ড ম্যান চলচ্চিত্রে হ্যারি লাইম চরিত্রে অভিনয় করেছেন অরসন ওয়েলস। ওই চলচ্চিত্রে তাঁর একটি সংলাপ ছিল এমন—‘ইতালিতে বোর্জিয়া পরিবারের শাসনের ৩০ বছরে যুদ্ধ, আতঙ্ক, হত্যা আর রক্তপাত চলেছিল, কিন্তু তারা তৈরি করেছিল মাইকেলেঞ্জেলো ও লেওনার্দো দা ভিঞ্চির মতো শিল্পী আর রেনেসাঁ। অন্যদিকে সুইজারল্যান্ডে ছিল ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ভালোবাসা, ৫০০ বছরের গণতন্ত্র ও শান্তি, অথচ তারা কী সৃষ্টি করল? কুকু ক্লক বা কোকিল ঘড়ি।’ঔপন্যাসিক গ্রাহাম গ্রিন এই চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যের সহলেখক ছিলেন। তাঁর ভাষায়, এটি এই চলচ্চিত্রের সেরা সংলাপ। আর তিনি দাবি করেন, সংলাপটি ওয়েলস নিজেই লিখেছিলেন।এই লাইন আজ এমন একটি ধারণার প্রতীক হয়ে উঠেছে যে দুঃখ, কষ্ট ও সামাজিক অস্থিরতার মধ্য থেকেই জন্ম নেয় শিল্প–সাহিত্য। আমি অবশ্য স্বীকার করব, আমিও একসময় একই মনোভাব নিয়েই এই উক্তি ব্যবহার করেছি।যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার (ব্রেক্সিট)...
    চীনের দক্ষিণাঞ্চলে মাছের একটি পুকুর এখন অনলাইনে ভাইরাল। পুকুরের মালিক জানিয়েছেন, তিনি প্রতিদিন তাঁর পুকুরের মাছগুলোকে নানা ধরনের ৫ হাজার কেজি মরিচ খাওয়ান। তাঁর দাবি, এতে মাছগুলো দেখতে আরও চকচকে হয় এবং স্বাদেও ভালো লাগে। এই পুকুরটি চীনের হুনান প্রদেশের চাংশায় অবস্থিত। এই এলাকা চীনের ঝাল খাবারের জন্য বিখ্যাত। সম্প্রতি এই পুকুরের মাছকে মরিচ খাওয়ানোর ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে এটি ভাইরাল হয়ে যায়। পুকুরটি দেখভাল করেন ৪০ বছর বয়সী মাছচাষি জিয়াং শেং ও তাঁর স্কুলজীবনের বন্ধু কুয়াং কে। কুয়াং বলেন, পুকুরটির আয়তন প্রায় ১০ একর। আর এখানে ২ হাজারের বেশি মাছ আছে। এসব মাছকে নিয়মিত নানা ধরনের মরিচ খাওয়ানো হয়।পুকুরের মালিক বলেন, ‘আমরা দিনে প্রায় ৫ হাজার কেজি মরিচ খাওয়াই। মানুষের খাওয়ার মতো একই মরিচই মাছকে খাওয়ানো যায়। এই মরিচের মধ্যে...
    কেন হয়, উপসর্গ কী এটা হওয়ার একটা কারণ ডিস্ক প্রোলাপ্স বা হার্নিয়েশন। অর্থাৎ হাড়ের মাঝখানের ডিস্ক ফুলে গিয়ে বা ছিঁড়ে স্নায়ুতে চাপ দেয়। দ্বিতীয়ত, হাড়ের স্পার বা অস্টিওফাইট। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ধারালো গজানো অংশ স্নায়ু চেপে ধরে। তৃতীয়ত, আঘাতজনিত পরিবর্তন। দুর্ঘটনা বা ট্রমায় স্নায়ুতে চাপ পড়তে পারে। চতুর্থত, খারাপ ভঙ্গি। দীর্ঘ সময় নিচু হয়ে মুঠোফোন দেখা বা একটানা ডেস্কে বসা।এ ব্যথার অন্যতম উপসর্গ ঘাড় থেকে কাঁধ হয়ে হাত ও আঙুল পর্যন্ত ছড়িয়ে যাওয়া। ঝিনঝিনে অনুভূতি, অবশ ভাব হয়। হাত বা বাহু দুর্বল হয়ে যায়। ঘাড় নড়াচড়া করলে ব্যথা বেড়ে যায়। কখনো হাতের গ্রিপ দুর্বল হয়ে যেতে পারে।আরও পড়ুনকোমর মোচড়ানো কি নিরাপদ, বিজ্ঞান কী বলে৬ ঘণ্টা আগেচিকিৎসা সম্পূর্ণ বিশ্রামের দরকার নেই। তবে অতিরিক্ত পরিশ্রম ও ভারী কাজ এড়িয়ে চলতে...
    চট্টগ্রামের অন্যতম শাস্ত্রীয় নৃত্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘ওডিসি অ্যান্ড ট্যাগোর ড্যান্স মুভমেন্ট সেন্টার’ সম্প্রতি উদ্‌যাপন করেছে তাদের ২৫ বছরের পথচলার উৎসব। ৮ ও ৯ নভেম্বর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নৃত্যালেখ্য ও ওডিশি নৃত্যকলার অনুপম পরিবেশনা প্রাণভরে উপভোগ করেছেন মুগ্ধ দর্শক। সিকি শতাব্দীর নিরন্তর সৃজনযাত্রার উৎসবে মঞ্চজুড়ে নবীন ও পুরোনো শিল্পীদের নৃত্যের তালে তালে নূপুরের শব্দ আর সুরের অনুরণনে সময় যেন থেমে ছিল। দর্শকেরা শুধু অনুষ্ঠান দেখছিলেন না, তাঁরা যেন প্রত্যক্ষ করছিলেন এক গৌরবময় ইতিহাস—চট্টগ্রামের বুকে জন্ম নেওয়া এক শিল্প আন্দোলনের অনন্য পর্ব।প্রথম দিন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে নৃত্যালেখ্য ‘বাঁশরী ও তূর্য হাতে কবি’ পরিবেশনায় কবির সাহিত্যের দ্রোহ, প্রতিবাদ, প্রণয়, আধ্যাত্মচেতনা, প্রকৃতিপ্রেম, সমসাময়িক গ্রামবাংলার চিত্র অনন্য মুদ্রায় আর শিল্পীদের দেহভাষায় ফুটে উঠেছে। দ্বিতীয় দিনের আকর্ষণ ছিল ‘ওডিশি নৃত্যকলা’। ওডিসি...
    ইরানি সুফি দার্শনিক শামস তাবরিজি বিশ্বের মানুষের কাছে জালাল উদ্দিন রুমির আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত। তার গভীর জ্ঞান এবং দর্শন রুমির জীবন ও কবিতাকে আমূল বদলে দিয়েছিল। শামস তাবরিজির বিখ্যাত ১০টি উক্তি নিচে দেওয়া হলো— এক. আল্লাহ ভালোবেসেই আমা‌দেরকে সৃ‌ষ্টি ক‌রে‌ছেন, তাই আমা‌দের উ‌চিত আল্লাহকে ভা‌লোবাসা। আরো পড়ুন: শীতের লিপস্টিক কেমন হওয়া উচিত কী কী আছে মরুভূমি সাহারায়? দুই. ভবিষ্যতে স্বর্গ এবং নরক খুঁজো না। দুটোই এখন বর্তমান। যখনই আমরা প্রত্যাশা, হিসাব-নিকাশ, আলোচনা ছাড়াই ভালোবাসতে পারি, তখনই আমরা প্রকৃতপক্ষে স্বর্গে থাকি। তিন. যে রাস্তা খোদার কাছে গেছে তা বুদ্ধির নয়; তা হৃদয়ের মেহনতের রাস্তা। মন নয়, হৃদয়কেই তুমি সারথি বানাও। চার. কৃতজ্ঞ হও! তুমি যা চাও তা পাওয়ার পর শুকরিয়া করা তো সহজ,...
    নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা যেখানে খুবই প্রিয়, সেখানে একদিন কঠিন পরিণতির মুখোমুখি হতে হয়। সত্যকে দমন করতে যে শক্তি একসময় বাইরের সমালোচকদের মুখ চেপে ধরত, সেই শক্তিই এ সময় গ্রাস করতে শুরু করে ‘ভেতরের’ মানুষদেরও। বিশেষ করে বিবেকবানদের। এমন মুহূর্ত সাধারণত বিস্ফোরণ বা বিদ্রোহের মতো দামামা বাজিয়ে আসে না। আসে নীরবে। ইসরায়েল এখন এমনই এক মুহূর্তের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। দেশটির সামরিক প্রধান প্রসিকিউটর ইয়িফাত তোমের-ইরুশালমির গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি নাকি এক ফিলিস্তিনি বন্দীকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস করেছিলেন। ব্যাপারটা ইসরায়েলের জন্য শুধু আইনি কেলেঙ্কারির বিষয় নয়। সেই ভিডিওর মাধ্যমে তৈরি হয়েছে এমন এক আয়না, যেখানে একটি জাতি নিজের মুখোমুখি দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছে। তোমের-ইরুশালমি কোনো বহিরাগত বা শত্রু ছিলেন না। এই নারী ছিলেন ইসরায়েলের সবচেয়ে সুরক্ষিত কেন্দ্রের অংশ। ছিলেন সেই আইন ও সামরিক কাঠামোর অংশ, যা...
    নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব এড. আবুল আল ইউছুফ  খান টিপু বলেন খুনি ফেসিদ হাসিনার অবৈধ লকডাউনেরবিরুদ্ধে আমরা নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান সড়কে পদক্ষিণ করলাম কিন্তু কোথাও ছাত্রলীগ যুবলীগ আওয়ামী লীগ খুঁজে পাই নাই। ‘‘খুনি আছি ১৬ বছর বাংলার মানুষকে শান্তিতে থাকতে দাও নাই বাংলার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছো মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছো মানুষ অধিকার কেড়ে নিয়েছো ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছো। অজস্র ভাই বোনকে হত্যা করেছ। বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে মানবতাবিরোধী গণহত্যার রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউনের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্ত্যবে তিনি এ কথা বলেন।  এ বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক অতিক্রম করে। মিছিলে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শত শত নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।...
    মানুষের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ইলা মিত্রকে কিংবদন্তিতে পরিণত করেছিল। তিনি যে সাম্যবাদী আদর্শে বিশ্বাস করতেন, তা নিজের জীবনাচরণে পরিণত করেছিলেন। যে দৃষ্টান্ত তিনি স্থাপন করেছেন বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণের জন্য, তা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকব বলে আলোচকেরা মন্তব্য করেছেন।আজ বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত ‘তেভাগা আন্দোলনের বিপ্লবী নেত্রী ইলা মিত্রর জন্মশতবর্ষ পালন’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আলোচকেরা এ মন্তব্য করেন। মহিলা পরিষদ তাদের সেগুনবাগিচা কার্যালয়ের আনোয়ারা বেগম-মুনিরা খান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মহিলা পরিষদের নেত্রীরা ইলা মিত্রের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তাঁর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র রানিমা প্রদর্শন করা হয়। সেখানে ইলা মিত্র এক সাক্ষাৎকারে বলছিলেন, জীবনের যত নির্যাতন, লাঞ্ছনা-বঞ্চনা সহ্য করেছেন, এসব নিয়ে তাঁর কোনো আফসোস নেই।...
    ‘অবৈধ’ বলে হকার উচ্ছেদের যৌক্তিকতা কতটুকু, তা নিয়ে লিখেছেন মোশাহিদা সুলতানা২০০০-এর দশকে পেরুভিয়ান অর্থনীতিবিদ হার্নান্দো দে সোতো ক্যারিশম্যাটিক বক্তা হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন। তিনি মনে করতেন, পুঁজিবাদী অর্থনীতির পূর্ণাঙ্গ বিকাশ অর্থাৎ ব্যক্তিমালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলেই উন্নয়নশীল বিশ্বে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত ৮০ শতাংশের বেশি। তাই ব্যক্তিমালিকানা নিশ্চিত হলেই উন্নয়ন হবে।বাংলাদেশেও অনেক মানুষ ব্যক্তিমালিকানাকে বৈধতার মাপকাঠি মনে করেন। যখন দে সোতোকে শ্রোতারা প্রশ্ন করতেন, ভূমিসংকটে নিমজ্জিত শহরে, খাসজমিতে এই যে ভাসমান মানুষ এদিক–সেদিক ছড়িয়ে আছে, রাস্তায় দোকান খুলে বসেছে, তাদের কিসের ভিত্তিতে মালিকানা দেওয়া হবে? তিনি তাদের গল্প শুনিয়ে কিছু দিকনির্দেশনা দিতেন।তাঁর গল্পটা ছিল এ রকম: একদিন তিনি ইন্দোনেশিয়ার বালিতে একটা গ্রামের ধানখেতের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। হাঁটার সময় বোঝা যাচ্ছিল না কোন খেতের মালিক কে। তিনি দেখলেন কিছু দূর পরপর ভিন্ন ভিন্ন...
    মুসলিম সভ্যতায় ছিল শিক্ষাব্যবস্থার বৈচিত্র্য ও উন্মুক্ততা। এই ব্যবস্থার জোরেই মুসলিমরা একদিন দুনিয়ার সব শহরের সেরা হয়ে উঠেছিল, জ্ঞান আর চিন্তার জগতে। যেকোনো সাংস্কৃতিক জাগরণের তো মূল ভিত্তিই তো জ্ঞান ও শিক্ষা।ইসলামই হলো জ্ঞানচর্চার প্রথম এবং প্রধান অনুপ্রেরণা। ইসলাম জ্ঞান অর্জনের কথা বলে। জ্ঞান সঞ্চয়ের জন্য উৎসাহ দেয়। সেই জ্ঞান লিখে রাখতে আর ছড়িয়ে দিতে প্রেরণা জোগায়। আবার জ্ঞানকে লুকিয়ে রাখাকেও সে পাপ বলে মনে করে। ইসলামের বারবার বলা হয়েছে জ্ঞান, শিক্ষা আর শেখানোর গুরুত্বের কথা; ইহকালে ও পরকালে তার সম্মান ও মর্যাদার কথা।এই গুরুত্বের দিকটা মাথায় রেখেই, মুসলিমরা জ্ঞান অর্জনে আশ্রয় নিয়েছে বিচিত্র পদ্ধতির। কোনো একটা নির্দিষ্ট শিক্ষাক্ষেত্র, শিক্ষাধারা বা সিলেবাসে আবদ্ধ থাকেনি। এ জন্য মুসলিমদের জ্ঞান–বিজ্ঞানের স্বর্ণযুগে বিভিন্ন ধরনের উন্মুক্ত শিক্ষালয় দেখা যায়। স্বতন্ত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে যেসব শিক্ষাক্ষেত্র...
    ‘সাংস্কৃতিক বৈষম্য’ কোনো শব্দবন্ধ হিসেবে কতটা দরকারি, তা নির্ভর করে আপনি কীভাবে সংস্কৃতিকে সংজ্ঞায়িত করছেন, তার ওপর। সংস্কৃতিকে আপনি যদি স্রেফ শিল্প, সাহিত্য, সংগীত—এ রকম কিছু কর্মকাণ্ডে আটকিয়ে ফেলেন, তখন হয়তো বৈষম্য জিনিসটার প্রায়োগিক মানে দাঁড়ায়। কিন্তু সংস্কৃতি যদি হয় গণমানুষের সাবজেক্টিভিটিকে আমূল বদলে দেওয়ার চর্চা, সেখানে ‘বৈষম্য’ প্রত্যয়টার অর্থ আলাদাভাবে বোধগম্য নয়। ওই জায়গায় সাংস্কৃতিক বৈষম্য জিনিসটাকে বুঝতে হবে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও ঐতিহাসিকভাবে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পটভূমি দিয়ে।সব মিলিয়েই আমিআমরা যার যার কুঠুরির মধ্যে বাস করতে পছন্দ করি। এটাকে সাংস্কৃতিক কুঠুরি বলা যায়। আমার অভ্যাস, আমার প্রার্থনা, আমার গান, আমার আচার, আমার বিশ্বাস—এসব মিলিয়েই আমি। অন্য থেকে নিজেকে আলাদা করার মাধ্যমে আমি আমার সংস্কৃতিকে চিনতে ও চেনাতে পারি—দেরিদার ভাষায় যাকে বলে ‘ডিফার’ ও ‘ডেফার’ করা। আত্ম-আবিষ্কারের এই যে নিরন্তর পিচ্ছিল...
    এশিয়া থেকে আফ্রিকা, ইউরোপ থেকে লাতিন আমেরিকা—বিশ্বজুড়ে যখন জাতিগত ও ভূরাজনৈতিক সংঘাতের উত্তেজনা প্রবল, এমন সময়ে মানুষে মানুষে সহমর্মিতা, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং বিভেদ দূরীকরণে চলচ্চিত্রের অন্তর্নিহিত শক্তির ওপর গুরুত্ব দিয়ে শেষ হলো ৩৮তম টোকিও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (টিফ ২০২৫)। এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী এই আয়োজনের মূল বার্তাই ছিল—চলচ্চিত্র শুধু বিনোদন নয়, বরং বোঝাপড়ার ও ঐক্যের মাধ্যম।টোকিওর হিবিয়া, মারুনোচি, ইউরাকুচো ও গিনজা এলাকায় অনুষ্ঠিত এই উৎসবে গত ২৭ অক্টোবর পর্দা ওঠে এবং ১০ দিনব্যাপী প্রদর্শিত হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট ১৮৪টি চলচ্চিত্র। লালগালিচার জাঁকজমক থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রবিষয়ক সেমিনার, রেট্রোস্পেকটিভ প্রদর্শনী, মাস্টারক্লাস ও আন্তর্জাতিক সংলাপে মুখর ছিল গোটা উৎসব প্রাঙ্গণ।৫ নভেম্বর হিবিয়ার তোহো সিনেমায় আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, তারকা ও সমালোচকদের উপস্থিতিতে ঘোষণা করা হয় বিজয়ীদের...
    জনসংযোগ বা Public Relations এই দুটি শব্দ অনেকেই আজও সমার্থকভাবে ব্যবহার করেন প্রচারণা বা ‘ইমেজ ম্যানেজমেন্ট’র সঙ্গে। কিন্তু জনসংযোগ আসলে তার চেয়ে অনেক বেশি গভীর, মানবিক ও সূক্ষ্ম এক শিল্প। এটি এমন এক প্রক্রিয়া, যেখানে যোগাযোগ কেবল বার্তা বিনিময় নয়, বরং বোঝাপড়া, বিশ্বাস ও সম্পর্ক গড়ার এক দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলন। আধুনিক বিশ্বে তথ্যের বিস্ফোরণ ঘটেছে। সংবাদ, মতামত, ছবি, ভিডিও সবকিছুই মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ছে কোটি মানুষের মধ্যে। এমন বাস্তবতায় প্রতিষ্ঠান, সংগঠন কিংবা সরকার সকলেই চায় জনগণের কাছে তাদের ভাবমূর্তি ইতিবাচক রাখার নিশ্চয়তা। কিন্তু এই প্রতিযোগিতার ভিড়ে মানুষ আজ আর শুধুই বার্তা শুনতে চায় না; তারা খোঁজে সত্যতা, আন্তরিকতা ও সহমর্মিতা। যোগাযোগের আসল সার্থকতা তখনই আসে, যখন তা কেবল বলা নয়, বোঝানোর ক্ষমতা অর্জন করে। এ কারণেই জনসংযোগের সূক্ষ্মতা লুকিয়ে আছে সেই...
    অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছেন বলিউড তারকা ধর্মেন্দ্র। আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কবি–চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারসহ বিভিন্নজন শোকবার্তাও দেন। এসবের ভিত্তিতে অন্য দেশগুলোর সংবাদমাধ্যমেও খবর আসে। ৮৯ বছর বয়সী ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবরে যখন গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সয়লাব, তখন তাঁর মেয়ে এষা দেওল জানান, তাঁর বাবা এখনো বেঁচে আছেন।ভারতের বিভিন্ন সংবাদপত্রের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই খবরটি প্রথম আসে সোমবার দিবাগত রাত তিনটা দশ মিনিটে। ইন্ডিয়া টুডে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে পোস্ট দেয়—‘বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র মঙ্গলবার মারা গেছেন বলে তাঁর টিম নিশ্চিত করেছে।’এখানে ইন্ডিয়া টুডে সূত্র হিসেবে ‘ধর্মেন্দ্রর টিম’কে ব্যবহার করলেও কারও নাম উল্লেখ করেনি।এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ‘আজ তক’ মিডিয়া তাদের প্ল্যাটফর্মে একই সংবাদ প্রকাশ করে। তবে...
    সমুদ্রের ঢেউ পাড়ে আছড়ে পড়ার মধ্যে অল্প হলেও একটি বিরতি থাকে। একটি ঢেউয়ের পর আরেকটি ঢেউয়ের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয়। চাইলে কেউ ঢেউগুলো গুনতেও পারেন। কিন্তু আমরা এখন এমন এক যুগে ঢুকে পড়েছি, যেখানে খবরের সমুদ্রে ঢেউগুলোর মধ্যে সময়ের কোনো বিরতি নেই। এই ঢেউয়ের ঝাপটায় আমরা যেন বিপর্যস্ত, আমাদের এখন অনেকটাই খেই হারানোর দশা। অথচ আমাদের খবর বা সংবাদ জানা এবং সংবাদপত্র পড়ার অভিজ্ঞতা শুরু হয়েছিল কত ভিন্নভাবে! সত্তরের দশকের শেষের দিকে যখন পত্রিকা হাতে নিতে শুরু করি, তখন সংবাদপত্রই ছিল আমার কাছে খবরের একমাত্র সূত্র। আমার বেড়ে ওঠা ঢাকা শহরে। বাসায় তখন একটি পত্রিকাই রাখা হতো। একাধিক পত্রিকা রাখার আর্থিক সংগতি তখন ছিল না। বাবা তত দিনে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। তিনি দিনের প্রথম ভাগের সময় কাটাতেন মূলত...
    অজু অনেক ইবাদতের পূর্বশর্ত। আমরা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের জন্য অজু করি। এ ছাড়া কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, জানাজা, তিলাওয়াতের সেজদা ও শোকরের সেজদার জন্যও অজু করা আবশ্যক।অজু আমাদের বাহ্যিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে পরিচ্ছন্ন করে, শরীরের ক্লান্তি দূর করে, প্রোডাকটিভিটি বৃদ্ধি করে, পাশাপাশি হৃদয়কেও পবিত্র করে।১. ক্ষমা লাভের কারণ পাপ আমাদের হৃদয়কে ভারী করে তোলে এবং আত্মিক প্রশান্তি কেড়ে নেয়। পাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হৃদয় কালিমায় ছেয়ে যায়। অজু সেই পাপকে দূর করে আত্মিক প্রশান্তি বয়ে আনে।আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন কোনো মুসলমান বা মুমিন বান্দা অজু করে, তখন মুখ ধোয়ার সঙ্গে (অথবা পানির শেষ ফোঁটার সঙ্গে) তার সেসব গুনাহ বের হয়ে যায়, যার দিকে তার চোখের দৃষ্টি গিয়েছিল।অজু অনেক ইবাদতের পূর্বশর্ত। অজু আমাদের...
    কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের ৪৩ শতাংশ, জাতীয় পার্টির (জাপা) শতাংশ, আমাদের আছে শতাংশ ভোট। যদি আওয়ামী লীগের ভোটাররা ভোট দিতে না পারে, যদি জাতীয় পার্টি ও বামপন্থী ১৪ দলীয় জোটকে নির্বাচনের বাইরে রাখা হয়, তাহলে আমি গামছা নিয়ে ভোটে যাব না। আমরা জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই। শুধু বিএনপি, শুধু জামায়াত নির্বাচন করলে নির্বাচনে আসব, তা হবে না।’টাঙ্গাইলের সখীপুরে বহেড়াতৈল ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ইউনূস সাহেবকে অনেক বড় মানুষ ভাবছিলাম। শেখ হাসিনা যখন আপনাকে সুদখোর বলত, তখন আমি আপনার পাশে ছিলাম। আপনি খোদার ঘর বাইন্ধা আসেন নাই। গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ...
    জনসংখ্যা, উন্নয়ন ও বৈষম্য গভীরভাবে সম্পর্কিত। সাধারণত জনসংখ্যা বলতে আমরা বুঝি একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে নির্দিষ্ট সময়ে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা। আর বৈষম্য হলো রাষ্ট্র ও সমাজস্থ এসব মানুষের মধ্যে সম্পদ, সুযোগ, আয় ও মর্যাদার অসম বণ্টন।লক্ষণীয় যে জনসংখ্যার আকার, বৃদ্ধি হার, ঘনত্ব ও গঠন (বয়স, জেন্ডার/লিঙ্গ, পেশা, অঞ্চল, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, উপগোষ্ঠী ইত্যাদি) সমাজের উন্নয়ন ও বৈষম্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে থাকে। এটি সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে যেমন প্রভাবিত করে, তেমনি বৈষম্যের মাত্রাকেও নির্ধারণ করে।জনসংখ্যার যেমন পরিমাণগত দিক রয়েছে, তেমনই রয়েছে গুণগত দিক, যা আইসিপিডি, ১৯৯৪ (জনসংখ্যা ও উন্নয়নবিষয়ক আন্তর্জাতিক সন্মেলন, কায়রো, মিসর) থেকে স্বীকৃত। আইসিপিডি জনসংখ্যা ও উন্নয়ন আন্তসম্পর্কে একটি প্যারাডাইম শিফট (চালচিত্র পরিবর্তন)।২.এ ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্য হলো, সব মানুষের জীবনের গুণগত উন্নয়ন, যেখানে মানব উন্নয়নের কেন্দ্রে রয়েছে পছন্দকে বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা,...
    ‘এতটুকু তো আমি আশা করতেই পারি…’, মুখে একটা মুচকি হাসি রেখে কথাটা বললেন নাজমুল হোসেন। তা বাংলাদেশ অধিনায়কের কী সেই আশা? টেস্ট ক্রিকেটের প্রচারটা যেন আরেকটু বেশি হয়!প্রচারের জন্য যে মাঠের পারফরম্যান্সও দরকার, তা অজানা নয় নাজমুলের। সাংবাদিকদের কাছে লাল বলের ক্রিকেটের প্রচার বাড়ানোর অনুরোধের আগে তাই তিনি এই সংস্করণে পিছিয়ে থাকার দায়টাও তুলে নিয়েছেন নিজের কাঁধেই।আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট সিরিজের প্রথমটি আজ শুরু হচ্ছে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। টেস্টের প্রতিপক্ষ হিসেবে আয়ারল্যান্ড খুব একটা সবল নয়। ২০২৩ সালে দুই দলের মুখোমুখি হওয়া একমাত্র টেস্টে জিতেছিল বাংলাদেশই। কিন্তু অস্বস্তিটা প্রথম টেস্টের ভেন্যু নিয়ে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এর আগে খেলা ৪ টেস্টের তিনটিতেই যে হেরেছে বাংলাদেশ!টেস্টে সিলেট স্টেডিয়ামে স্মৃতিটা ভালো নয় বাংলাদেশের
    সন্ত রবিদাস (রইদাস, রবিদাসজি) পঞ্চদশ থেকে ষোড়শ শতকের এক মহান ভারতীয় সাধক, কবি ও সমাজসংস্কারক। উত্তর ভারতের ভক্তি আন্দোলনের তিনি অন্যতম পুরোধা। তাঁর অনুসারীরা রবিদাসিয়া নামে পরিচিত। তাঁর কাব্য ও শিক্ষা বর্ণভেদপ্রথার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং এক ঈশ্বরপ্রেমমূলক, সমতাভিত্তিক সমাজের স্বপ্ন দেখায়। পাঞ্জাবি, হিন্দি ও ব্রজ ভাষায় রচিত তাঁর বহু পদ ‘গুরু গ্রন্থ সাহিব’-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা তাকে শিখধর্মের মধ্যেও বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে।সন্ত রবিদাসজির জন্ম ১৪৫০ সালের আশপাশে (কিছু মতে ১৩৭৭/১৩৮৮) বর্তমান উত্তর প্রদেশের বারানসি (কাশী) শহরের কাছে সীর গোবর্ধনপুর গ্রামে এক চর্মকার পরিবারে। তাঁর পিতা সন্তোক দাস ও মাতা কলসী দেবী ছিলেন সমাজে নিম্নবর্ণভুক্ত। পিতার পেশা ছিল চর্মশিল্প। রবিদাস ছোটবেলা থেকেই আধ্যাত্মিক ভাবধারায় আকৃষ্ট হন। সংসারধর্মে অত আগ্রহ ছিল না তাঁর।সন্ত রবিদাস (রইদাস, রবিদাসজি) পঞ্চদশ থেকে ষোড়শ শতকের এক...
    জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন অজুহাত তুলে দেশকে একটা অস্থিতিশীল অবস্থার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার বরদ্বেশ্বরী বাজার ও রুহিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে থানা বিএনপির আয়োজনে ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।মতবিনিময় সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটি দেশ তখনই উন্নয়নে যেতে পারে, যখন জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়। যখন জনগণ চায়, আমরা উন্নতি করব। জনগণের মধ্যে সারাক্ষণ দ্বন্দ্ব-বিবাদ, ফেতনা, ঝগড়াঝাঁটি যদি থাকে, তাহলে কি উন্নতি হতে পারে? যখন গণ-অভ্যুত্থান হলো, তখন আমরা ভেবেছিলাম, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারব। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, আমরা দেখলাম কিছু কিছু দল বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, আজকে জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন অজুহাত তুলে দেশকে একটা অস্থিতিশীল অবস্থার...
    ১. আপনার শক্তিতীব্র বেদনা, হতাশা, বিষণ্নতা আমাদের ভেতর থেকে চুরমার করে দেয়। সেই সঙ্গে নিজেকে নতুন করে চিনতেও শেখায়। বেঁচে থাকার সংগ্রাম আপনার নিজেরই এমন এক সংস্করণের মুখোমুখি দাঁড় করায়, যাকে আপনি চিনতেন না। আপনার ভেতরে যে সেই সত্তা সুপ্ত ছিল, আপনি কখনো জানতেন না। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে থাকার লড়াইয়ে আপনি কখনো জানতেন না—এই তুমুল স্রোতের বিপরীতে আপনি এভাবেও প্রতিরোধ গড়ে টিকে থাকতে পারতেন।এটাই খারাপ সময়ের সৌন্দর্য, নিজের ভেতরের শক্তি বের করে আনে। আপনার সঙ্গে যখন আপনার পদ, পদবি, সম্পদ, সম্পর্ক, স্বস্তি—কিছুই থাকে না, তখন আপনি সত্যিকারের ‘আমার আমি’র মুখোমুখি হন। নিজের সঙ্গে আপনার নিজের বোঝাপড়া দৃঢ় হয়। এ জন্যই বলা হয়—‘লুজ এভ্রিথিং টু ফাইন্ড ইয়োরসেলফ’। আপনি কি সব হারিয়ে নিজেকে পাওয়ার জন্য প্রস্তুত?২. কেউ কাউকে উদ্ধার করতে আসে নাআপনি...
    নিজের প্রয়াত বাবা মির্জা রুহুল আমিনকে নিয়ে ‘গুজব ও মিথ্যাচার’ করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (১০ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে পবিত্র কোরআনের একটি আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে সতর্ক করেন মির্জা ফখরুল। বিএনপির মহাসচিবের স্ট্যাটাসটি রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো- আরো পড়ুন: পাকিস্তানি হানাদারদের সহযোগীরা দেশের স্বাধীনতাকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা করছে জুলাই সনদের যে পাতায় সই করেছি, তা বাদ দিয়ে অন্য পাতা ঢোকানো হয়েছে: ফখরুল মির্জা ফখরুল লিখেছেন, আমি গত দুদিন ধরে ঠাকুরগাঁওয়ে আছি! কিছু কথা বলা খুব জরুরি, আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ তরুণ প্রজন্মের জন্য! এসব কথা বলার কখনো প্রয়োজন মনে করিনি! জীবনের এই প্রান্তে দাঁড়িয়ে যখন দেখি সমাজে...
    প্রখ্যাত নির্মাতা-সাহিত্যিক শহীদ জহির রায়হান ও কিংবদন্তি অভিনেত্রী কোহিনূর আক্তার সুচন্দার ছেলে তপু রায়হান আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।  রবিবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তপু রায়হানের পাশে ছিলেন তার মা সুচন্দা। সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে সুচন্দা ফিরে যান জীবনের দুঃসহ সময়ে—সংগ্রাম, ত্যাগ আর অভাবের দিনে। আবেগভরা কণ্ঠে বললেন, “নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই। আমার ছেলে, জহির রায়হানের ছেলে যেন মানুষের জন্য, দেশের জন্য কাজ করে—এটাই আমার কামনা। আজ ওর বাবা বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই খুশি হতেন। আমি মা হয়ে বলতে পারি, তপুর ভেতরে মানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসা আছে।”  আরো পড়ুন: বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে জুবিন গার্গের শেষ সিনেমা বাবার নির্বাচনি প্রচারে নেহা শর্মা স্বাধীনতার স্মৃতি টেনে সুচন্দা বলেন, “স্বাধীনতার জন্য...
    ১. শহর এক রূপকথা আমার ধারণা কাজটা অর্ফিয়ুস করেছিল ইচ্ছা করেই। মৃত্যুর জগৎ থেকে ইউরিডিসকে নিয়ে যখন সে ফিরে আসছিল জীবন আর আলোর জগতে, তার মাথার ওপরে হেডিসের সেই শর্ত যে পেছন ফিরে তাকানো যাবে না।তবু অর্ফিয়ুস ফিরে তাকিয়েছিল, যদিও তখনো সে ভুলে যায়নি যে পেছনে ফিরে তাকালেই তার আর ইউরিডিসকে নিয়ে ফেরা হবে না, ইউরিডিস তখনই অদৃশ্য হয়ে যাবে, থেকে যাবে মৃত্যুর জগতে। তারপরও, সচেতনভাবেই, ইচ্ছা করেই অর্ফিয়ুস ফিরে তাকাল পেছন দিকে।পুরো ঘটনার মধ্যে শেষে এসে শুধু পেছন ফিরে তাকানোর কারণে অর্ফিয়ুসের ইউরিডিসকে মৃত্যুর জগৎ থেকে ফিরিয়ে আনতে আনতেও আর ফিরিয়ে আনা হলো না। শুধু ওইটুকু, ওই অনুশোচনা করবে বলে, ওই আফসোস যুগ যুগ ধরে চলবে বলে অর্ফিয়ুস ইচ্ছা করেই পেছনে তাকিয়েছিল। একটা অনুতাপবিহীন, অনুশোচনাবিহীন জীবন আর কে চায়!...
    কিছু মৌলিক বিষয় ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো অনেক বিষয়েই একমত ছিল। কিন্তু বাস্তবায়নের জায়গায় এসে নিজেদের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় কিছুটা হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের এখন করণীয় হলো সবদিক বিবেচনা করে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া। সরকার হয়তো শেষ মুহূর্তে বিবদমান পক্ষগুলোর সঙ্গে একান্তে আরেকবার কথা বলে দেখতে পারে। অহংবোধে ভোগা দলগুলো যদি শেষ পর্যন্ত সরকারের চূড়ান্ত ফয়সালা না মানে, তাহলে সরকারের উচিত হবে পদত্যাগ করে দলগুলোর কাছে গ্রহণযোগ্য কাউকে ক্ষমতা অর্পণ করার প্রস্তাব দেওয়া।আরও পড়ুনন্যূনতম ঐক্য না হলে নির্বাচন শঙ্কায় পড়বে২ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনায় না বসে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়ে রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। এটি খুবই দুঃখজনক। এটা নিছক পুরোনো ধাঁচের রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। দলগুলো যখন একান্তে মিলিত হয়, তখন একে অপরের প্রতি যথেষ্ট হৃদ‍্যতাপূর্ণ সহমর্মী আচরণ করে। কিন্তু...
    প্রিয় মানুষের কথা মনে পড়লে চোখ ভিজে আসে। প্রিয় বইয়ের পাতা উল্টালে মন ভালো হয়ে যায়। ভালোবাসা এমনই—যা ভালোবাসি, তার সঙ্গে সময় কাটাতে চাই, তার কথা শুনতে চাই, তাকে জানতে চাই।আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের সবচেয়ে বড় ভালোবাসা ছিল কোরআন। এটা কোনো বাড়িয়ে বলা কথা নয়—তাঁর পুরো জীবনই এর সাক্ষী।রাতের নামাজে কান্নাভেজা কণ্ঠ রাত যখন গভীর হতো, মানুষ যখন ঘুমে আচ্ছন্ন থাকত, তখন নবীজি (সা.) উঠে দাঁড়াতেন নামাজে। শুধু দাঁড়াতেন না—দীর্ঘ সময় ধরে কোরআন পড়তেন, এত ধীরে, এত গভীরভাবে যে পা ফুলে যেত।কখনো একটি আয়াত পড়তে পড়তে থেমে যেতেন। সেই আয়াত নিয়ে ভাবতেন, কাঁদতেন, বারবার পড়তেন। তাঁর দাড়ি ভিজে যেত অশ্রুতে। সহিহ বুখারি, হাদিস: ৪৭৬৩কখনো একটি আয়াত পড়তে পড়তে থেমে যেতেন। সেই আয়াত নিয়ে ভাবতেন, কাঁদতেন, বারবার পড়তেন। তাঁর...
    বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা গোবিন্দ। ব্যক্তিগত জীবনে সুনীতা আহুজার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। ৩৭ বছরের দাম্পত্য জীবন পার করছেন এই যুগল। দীর্ঘ এই পথচলায় তাদের দুই সন্তান— মেয়ে টিনা ও ছেলে যশবর্ধন। কয়েক মাস আগে খবর চাউর হয়, ভেঙে যাচ্ছে গোবিন্দ-সুনীতা দম্পতির সংসার। কারণ হিসেবে গোবিন্দর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। তবে সব ভুলে একসঙ্গে সংসার করছেন তারা। কয়েক দিন আগে পিঙ্কভিলাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সুনীতা আহুজা। এ আলাপাচারিতায় ব্যক্তিগত জীবনের নানা বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি। আরো পড়ুন: রেকর্ড গড়বে শাহরুখের ‘কিং’? শাকিবের ‘প্রিন্স’ সিনেমার জন্য অমিতাভ বচ্চনের শুভেচ্ছা স্বামী গোবিন্দর ভুল নিয়ে সুনীতা আহুজা বলেন, “নিজেকে সামলে রাখা উচিত। যৌবনে মানুষ ভুল করে, আমি করেছি, গোবিন্দও করেছে। কিন্তু যখন নির্দিষ্ট একটি বয়সে...
    গত ২২ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার সবচেয়ে বড় দুটি তেল কোম্পানি রোসনেফট ও লুকঅয়েলকে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনেন। এটি ছিল মস্কোর প্রতি স্পষ্ট বার্তা যে ওয়াশিংটন চাপ বাড়াচ্ছে।এর ধাক্কা কেবল রাশিয়াতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। এটি পৌঁছে গেছে সরাসরি নয়া দিল্লিতে। ভারত রাশিয়ার তেলের অন্যতম বড় ক্রেতা, এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ভারত খুব নীরবে রাশিয়ার অন্যতম প্রধান তেল সরবরাহকারী দেশ হয়ে উঠেছে। ২০২২ সালের শুরুতে রাশিয়া থেকে ভারতে অপরিশোধিত তেলের আমদানি দিনে ১ লাখ ব্যারেলের কম ছিল। এ বছর সেটা প্রায় ১৮ লাখ ব্যারেল হয়েছে।রাশিয়ার তেলের প্রতি ভারতের এই আকর্ষণের কারণটা স্পষ্ট। রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আন্তর্জাতিক দামের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি ১০ থেকে ২০ ডলার সস্তা। এতে প্রতি তিন মাসে ভারতের কয়েক বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হয়। এটি...
    বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মনেই থাকে উজ্জ্বল এক স্বপ্ন। উচ্চশিক্ষা, স্বাধীনতা আর নতুন জীবনের উত্তেজনায় তারা পা রাখে নতুন পরিবেশে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই স্বপ্নের দীপ্তি ম্লান হয়ে যায় অনেকের কাছেই। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বহু শিক্ষার্থীর গল্পেও আছে সেই বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছে রাইজিংবিডি। জানা গেছে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে মানসিকভাবে ভীষণ চাপে আছেন। কেউ চাপ সামলাতে পারছেন, কেউ আবার চুপচাপ ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়ছেন। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি। আরো পড়ুন: বাঁচতে চান কুবি শিক্ষার্থী প্রভা ‘প্রভোস্টের ছাত্রী’র ত্রাসে কাঁপছে জবির হল যবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের এই গল্পগুলো শুধু ব্যক্তিগত নয়, এগুলো পুরো প্রজন্মের সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। যেখানে একদিকে স্বপ্ন ভেঙে পড়ছে বাস্তবতার চাপে।...
    অ্যান্টার্কটিকা সফর শেষে জাহাজ থেকে নেমেই জানতে পারলাম, যে এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে আর্জেন্টিনা থেকে কানকুন হয়ে আমার দেশে ফেরার কথা, সেটি দেউলিয়া হয়ে গেছে। সেই রাতে দিশাহারা হয়ে বিমানবন্দরের মেঝেতেই ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম ভাঙলে দেখি, হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ—আমার অ্যান্টার্কটিকা অভিযানের গল্প পাঠকদের শোনাতে চায় প্রথম আলো। নানান হাঙ্গামার পর ফেরার অনিশ্চয়তা যখন কেটে গেল, তখন জনমানবহীন মহাদেশ ভ্রমণের সামান্য অভিজ্ঞতা লিখে পাঠিয়ে দিলাম। ততক্ষণে আমেরিকায় পৌঁছে গেছি। এক নির্জন সন্ধ্যায় ল্যাপটপে প্রথম আলো খুলে দেখি, পর্দায় নিজের নাম আর বরফে মোড়ানো আমার সেই দুঃসাহসিক যাত্রার ছবি! দেশে ফেরার আগেই অভিযানের গল্প প্রকাশিত হলো ‘ছুটির দিনে’য়, প্রথম আলোর পাতায়।এ ঘটনার বছর তিনেক আগের কথা। করোনা যখন খুব জেঁকে বসছে, চারদিক স্থবির, সে সময় ঘরে বসে অফিস করছি আর অবসরে আগের ভ্রমণগল্পগুলো লিখছি।...
    ‘বাবুডাইং’ ছবির মতো সুন্দর এক ছিমছাম গ্রাম, যার অবস্থান কাগজে-কলমে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদরই এখানকার নিকটবর্তী নাগরিক লোকালয়। এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ জাতিতে কোল ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্য, তাঁরা কথাও বলেন কোল ভাষায়। অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষার সঙ্গে বাংলা ভাষার একটা বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে দেশি শব্দের উৎস হিসেবে। এই ভাষার সংরক্ষণের কাজের সুবাদেই কোলভাষীদের সঙ্গে জানাশোনা বেশ লম্বা সময়ের। বাবুডাইং ও এর আশপাশের আরও কিছু গ্রামেই বসবাসরত বেশ কিছু কোল পরিবার মিলিয়ে এই ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সংখ্যা প্রায় হাজার তিনেক। মাটির একদম কাছাকাছি এসব মানুষ নিখাদ নির্বিরোধী।ক্ষেত্রবিশেষে আমাদের শহুরে বুদ্ধির হিসেবে এতই সরল যে, আমরা নির্দ্বিধায় তাঁদের বোকা বলে বসতে পারি। যেমন সমতলের এমন ভূমিপুত্রদেরই এক মানুষের পিতা–মাতার নামের স্থানে লেখা হয় ‘মনে নাই’; কিংবা কারও নাম বিবিজানের বদলে লেখা...
    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) ৫ শতাংশ শিক্ষকের মনোনয়ন চায় শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট। বিশেষ করে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ত্যাগী, স্বচ্ছ, হামলা-মামলার শিকার ও কারাভোগকারী শিক্ষক নেতৃবৃন্দকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি ২৩৭টি মনোনয়ন ঘোষণা করলেও এখনও সুযোগ রয়েছে শিক্ষক সমাজকে মূল্যায়ন করার। আমরা আশা করবো বিএনপি দীর্ঘদিনের নির্যাতিত ত্যাগী শিক্ষকদের মনোনয়নের মাধ্যমে মূল্যায়ন করবে।’’ তিনি আরো বলেন, ‘‘শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষক মর্যাদা রক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ঐক্যজোট সবসময় প্রগতিশীল ভূমিকা পালন করেছে। যখন গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ ছিল, তখনও আমরা থেমে থাকিনি। ‘আমরা বাংলাদেশী’ এবং ‘প্রফেশনাল মুভমেন্ট’-এর মতো নতুন প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি করে জনগণের অধিকার...
    এ দেশে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া নতুন কোনো ঘটনা নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এ–সম্পর্কিত পরিসংখ্যান একটি ভয়াবহ বাস্তবতা তুলে ধরছে—অনেক ক্ষেত্রে মানুষের জীবন-মৃত্যু নির্ধারণ করছে মব বা উচ্ছৃঙ্খল জনতা। অপরাধ প্রমাণের তো প্রশ্নই নেই, অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়েরও প্রয়োজন দেখা হচ্ছে না; শুধু সন্দেহবশত মব তৈরি করে কিংবা গণপিটুনি দিয়ে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।মাগুরার মহম্মদপুরে মো. ইসরাফিলকে মুঠোফোন ও টাকা চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার ভাই মামলা করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পুলিশ বলছে, ঘটনা ‘জটিল’ ও ‘স্পর্শকাতর’। প্রশ্ন হলো, একজন মানুষ হত্যার পর জটিলতার অজুহাত কেন? অপরাধী শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত ‘নীরব’ থাকা কি আদৌ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ?প্রথম আলোর বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১৩ মাসে গণপিটুনিতে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। ৪৬টি ঘটনায় মামলা হলেও...
    অসময়ের বৃষ্টিতে যখন শ্রাবণের ভরা বর্ষা মনে পড়ে, তখন বুঝতে হবে প্রকৃতির রোষ কতটা অপ্রতিরোধ্য হতে পারে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থার’ প্রভাবে গত সপ্তাহে যে ভারী বর্ষণ হয়েছে, তা যেন সেখানকার কৃষকের ওপর নেমে আসা ‘বিনা মেঘে বজ্রপাত’। আগাম ভালো দামের আশায় যে আলু, শর্ষে বা পেঁয়াজের বীজ কৃষক বুনেছিলেন, মাত্র দুই দিনের আকস্মিক বন্যায় তা পচে গেছে। আমাদের কৃষকদের সুখের দিন আজীবন যেন অধরাই থেকে গেল।কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, এই অপ্রত্যাশিত দুর্যোগে রাজশাহী জেলার ৩০৮ হেক্টরের বেশি জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১০ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এই ক্ষতি কেবল অর্থের নয়, এটি সেখানকার ৪ হাজার ২০০ কৃষকের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ও শ্রমের অপমৃত্যু। রাজশাহীর কৃষকেরা সাধারণত নভেম্বর মাসকে শুষ্ক মৌসুম হিসেবেই জানেন, যখন...
    সাতসকালে ফোন পেয়ে মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল। দুটি কারণে। প্রথমত, লেট নাইট করে বাসায় এসে ঘুমিয়েছি সকাল সাড়ে ছয়টায়। যদিও লেট নাইট ডিউটি রাত ২টা পর্যন্ত; কিন্তু আমাকে বাসায় আসতে হয় সকালে, কারণ এত রাতে বাসার গেট খোলে না। তাই বাধ্য হয়ে অফিসে থেকে যেতে হয় এবং কাকডাকা ভোরে অফিস থেকে বাসায় ফিরতে হয়। চোখটা কেবল লেগেছে এর মধ্যেই ফোন। পরের কারণটা হলো ফোনটা যিনি করেছেন তিনি আমার দুলাভাই। প্রশ্ন আসতে পারে দুলাভাইয়ের ফোন পেয়ে মেজাজ খারাপ হওয়ার কী আছে? আছে। ব্যাপারটা বরং খুলেই বলি। দুই মাস ধরে দুলাভাই আমার মাথা খাচ্ছেন ওনার একটা কাজ করে দেওয়ার জন্য। অফিসে ওনার একটা ঝামেলা হয়েছে। প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে লোন নিতে গিয়ে শুনলেন তিনি নাকি আগেই ওই ফান্ড থেকে টাকা তুলেছেন। শুনে তিনি...
    ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্বে কথার আগল খুলে দিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। অন্তরঙ্গ এই সাক্ষাৎকারে রোনালদো তাঁর ক্যারিয়ার, অর্জন, অবসর এবং ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে কথা বলেছেন। একই সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় অংশেও সামনে এসেছে ‘সিআর সেভেনের’ চমকপ্রদ সব মন্তব্য। যেখানে তিনি দিয়েগো জোতার শেষকৃত্যে না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যার পাশাপাশি কথা বলেছেন নিজের গোল করার ক্ষমতা, সৌদি ফুটবল ও বিশ্বকাপ নিয়েও।লিভারপুল ও পর্তুগালের ফরোয়ার্ড দিয়োগো জোতা এবং তাঁর ভাই আন্দ্রে সিলভা গত জুলাই মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মারা যান। ক্লাব ও জাতীয় দলের বেশ কিছু সতীর্থ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত জোতা ও তাঁর ভাইয়ের শেষকৃত্যে যোগ দিলেও রোনালদো ছিলেন অনুপস্থিত। রোনালদো বলেছেন, তিনি জোতার শেষকৃত্যে যাননি। কারণ, তিনি চাননি বিষয়টা ‘একটা সার্কাস’–এ পরিণত হোক।আরও পড়ুনবিশ্বকাপ জিতলেই কি ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় হয় কেউ—প্রশ্ন...
    নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির জয়ের খবর কয়েক হাজার মাইল দূরে ভারতের মুম্বাই ও দিল্লিতেও ধাক্কা দিয়েছে।একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি যখন বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ও যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম শহরের মেয়র নির্বাচিত হন, তখন ভারতের রাজনীতিবিদদের মধ্যে ও সংবাদমাধ্যমে সেটি উদ্‌যাপনের কারণ হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক।জোহরান মামদানি শুধু ভারতীয় নন; গুজরাটি বংশোদ্ভূতও, যেমন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ ও পরিণামগত পার্থক্য রয়েছে। জোহরান মামদানি একজন মুসলিম এবং ভারতের শাসক হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপির কঠোর সমালোচক।জোহরান মামদানির জয়ের পর ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপগুলোয় দেখা গেছে, ৩৪ বছর বয়সী এই ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট ও নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি সদস্য তাঁর বিজয় ভাষণে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর উদ্ধৃতি দিচ্ছেন।কিছু আন্তর্জাতিক শহরের রং পরিবর্তিত হচ্ছে। যদি কেউ মুম্বাইতে খান বসাতে চান, তা সহ্য করা হবে না!অমিত সাতম,...
    জুমার দিন—মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ বরকতময় দিন।এটি শুধু সাপ্তাহিক নামাজের দিন নয়, বরং আত্মশুদ্ধি, সামাজিক সংহতি ও আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের মহান সুযোগ।নবীজি (সা.) বলেছেন—“জুমার দিনই দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনেই আদম (আ.) সৃষ্টি হয়েছেন, এ দিনেই জান্নাতে প্রবেশ করেছেন, এবং এ দিনেই পৃথিবীতে প্রেরিত হয়েছেন।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮৫৪)অতএব, জুমা শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়—এটি ইসলামি সভ্যতার একটি কেন্দ্রবিন্দু।এই দিনে কিছু কাজকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে, আবার কিছু কাজ থেকে কঠোরভাবে বারণ করা হয়েছে।আরও পড়ুনইসলামোফোবিয়া মোকাবিলায় মুসলিম নারীর করণীয়২৬ আগস্ট ২০২৫জুমার দিনের করণীয়১. গোসল করানবীজি (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমার দিনে গোসল করে, উত্তমভাবে পবিত্রতা অর্জন করে, তারপর মসজিদে আসে, নীরবে খুতবা শোনে ও নামাজ পড়ে, তার এক জুমা থেকে পরের জুমা পর্যন্ত গুনাহ মাফ করা হয়।” (সহিহ বুখারি, হাদিস:...
    ‘‘উনি (মঞ্জুরুল ইসলাম) একদিন আমার কাছে আসলো, আমার কাঁধে হাত রেখে বলতেছে, তোর পিরিয়ডের কতদিন চলতেছে। পিরিয়ড শেষ হলে বলিস, আমার দিকটাও তো দেখতে হবে। পিরিয়ড শেষ হলে, যখন ডাকবো চলে আসিস।’’ কথা গুলো বলছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম। শুধুমাত্র বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু নয়, বিসিবির নারী বিভাগের প্রয়াত সাবেক ইনচার্জ তৌহিদুর রহমানের বিরুদ্ধেও যৌন হয়রানির অভিযোগ জাহানারার। ক্রীড়া সাংবাদিক রিয়াসাদ আজিমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন অস্ট্রেলিয়ায় থাকা পেসার জাহানারা। আরো পড়ুন: অভ‌্যন্তরীণ আলোচনার পর সালাহউদ্দিনকে নিয়ে মন্তব‌্য: বিসিবি বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ হলেন আশরাফুল ম্যাচ শেষ হওয়ার পর সাধারণত দুই দলের খেলোয়াড় কোচরা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলান। তবে...
    ইতিহাসের কিছু মুহূর্ত আসে যখন নীরবতা ভেঙে যায় এবং ক্ষমতা তার নিজের তৈরি করা আয়নার মুখোমুখি দাঁড়ায়। ক্ষমতাচ্যুত, পলাতক এবং নিজ দেশের শত শত মানুষকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত একজন নেতা যখন নির্বাসন থেকে কথা বলেন, তখন প্রতিটি শব্দ কেবল আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা থাকে না, তা হয়ে ওঠে ক্ষমতার মনস্তত্ত্ব, দায়বদ্ধতার সংকট এবং ইতিহাসের সঙ্গে এক অসম লড়াইয়ের দলিল।সম্প্রতি ভারতে বসে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের তিনটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম—রয়টার্স, এএফপি ও দ্য ইন্ডিপেনডেন্টকে প্রায় একই সুরে, একই ভাষায় ই-মেইলের মাধ্যমে যে সাক্ষাৎকারগুলো দিয়েছেন, তা সম্ভবত এই ঐতিহাসিক সত্যকেই উন্মোচিত করে। এই সাক্ষাৎকারগুলোর ছত্রে ছত্রে তিনি জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার ওপর চালানো নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দায় অস্বীকার করেছেন এবং সেই দায়টি সযত্নে চাপিয়ে দিয়েছেন তারই দেড় দশকের ক্ষমতার প্রধান খুঁটি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষত...
    তার সময়কার প্রায় প্রত‌্যেকেরই দাবি, সময়ের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। উইকেটের চারিপাশে শট খেলার দক্ষতা, চোখ জুড়ানো একেকটি শট হৃদয়ে গেঁথে থাকতো লম্বা সময়। বোলারকে বুঝতে পারা, ম‌্যাচ পরিস্থিতি পড়তে পারার সামর্থ‌্য অন‌্যদের থেকে তাকে আলাদা করেছিল। বল বয় থেকে মুহূর্তেই হয়ে গিয়েছিলেন দেশের ক্রিকেটের পোস্টারবয়। কিন্তু এক আকাশ আক্ষেপ, অভিমান ছিল সব সময়ই। আশরাফুল এক ম‌্যাচে রান করবেন তো, কয়েক ম‌্যাচ আড়ালে থাকবেন। যা ভক্তদের পোড়াতো বেশ। সমর্থকদের হৃদয়ে বাড়াত কষ্ট। ভুগতো দলও। তার অভাব অনুভূত হতো বেশ। ফলে তার ব‌্যাটিং পরিসংখ‌্যানও থাকত তলানিতে। অথচ শক্তি, সামর্থ‌্য, প্রতিভা, যোগ‌্যতা যে মানের ছিল তাতে তিনি হতে পারতেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার, বিশ্ব ক্রিকেটের অন‌্যতম সেরা ব‌্যাটসম‌্যান। আরো পড়ুন: টানা দুই জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত...
    আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের প্রায় এক বছর পর ২০২৫ সালের ১৭ জুলাই সাভারের নিজ বাড়ি থেকে নিশান মোহাম্মদ ওরফে দুলালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সাজ্জাদ হোসেন নামের একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় তিনি জড়িত।১১ মাস আগে সাভার মডেল থানায় নিহত সাজ্জাদের বাবা মোহাম্মদ আলমগীরের করা ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (এফআইআর) বা এজাহারে ৩২১ জনের মধ্যে দুলালের নাম ছিল।এজাহারে বলা হয়, ঘটনার দিন দুলালসহ ‘আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা’ সাভার বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করেন, নির্বিচারে মারধর করেন এবং তাঁরা ‘গুলিও চালান’।সাজ্জাদ ওই বিক্ষোভে অংশ নেননি। তিনি বাজার করতে গিয়েছিলেন। সেখানে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাঁকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখানে তিনি মারা যান।ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো প্রতিবেদনে পুলিশ লিখেছে, ‘প্রাথমিক তদন্তে দেখা...
    ৩০ ছক্কা, ২৪ চার, ৪১১ রান—অকল্যান্ডে চার-ছক্কায় ভরপুর নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির শেষটাও হলো নাটকীয়। ২০৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রায় জিতেই গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু শেষ বলে ছক্কার সমীকরণ মেলাতে না পেরে ৩ রানে হেরে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১২ ওভারে স্কোর ৮১/২। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের স্কোরটা এমনই ছিল। সেখান থেকেই আজ ২০ ওভার শেষে কিউইদের রান ৫ উইকেটে ২০৭। শেষ ৮ ওভারে ১২৬ রান!রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসেও একই গল্প। ১৪তম ওভারে ১০০ ছোঁয়ার পরই হঠাৎ করেই যেন ক্যারিবীয়দের মনে পড়ল ম্যাচটা তাঁদের জিততে হবে। এরপর ইডেন পার্কে ঝড় আবারও চার-ছক্কার ঝড় এবং দলটি প্রায় জিতেই গিয়েছিল। শেষ বলে ম্যাথু ফোর্ড ছক্কা মারলেই তো অবিশ্বাস্য এক জয় পেয়ে যেত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৬...
    ভাষ্য‘লেট আস গো দ্যান, ইউ অ্যান্ড আই, হোয়েন দ্য ইভনিং ইজ স্প্রেড আউট এগেইনস্ট দ্য স্কাই লাইক আ পেশেন্ট ইথারাইজড আপন আ টেবল...’—এই তিনটি চরণ, বলা চলে, রোমান্টিকতার স্বপ্ন ভেঙে ইংরেজি কবিতাকে দিয়েছিল নতুন যাত্রাপথের দিশা। অন্যভাবে বলা যায়, এই ত্রিচরণ ইংরেজি কবিতার বড় পালাবদলের যাত্রাবিন্দু। ‘দ্য লাভ সং অব জে আলফ্রেড প্রুফ্রক’ নামের এই কবিতা এমন সব উপাদান, এমন সব দৃশ্য ও চিত্রকল্প, এমন সব বিষয় ও ভাব-অভিভাব নিয়ে বিশ্বকবিতায় হাজির হয়েছিল, যা এককথায় যুগান্তকারী আর বৈপ্লবিক।কবিতাটি লেখা হয়েছিল বহুশংসিত আলোচিত ‘দ্য ওয়্যাস্ট ল্যান্ড’ কবিতারও ঢের আগে। ‘দ্য লাভ সং অব জে আলফ্রেড প্রুফ্রক’ নামের কবিতাটিকে বলা যেতে পারে ‘দ্য ওয়্যাস্ট ল্যান্ড’ কবিতারই মনোবীজ। অবশ্য এলিয়ট প্রথমে এর নাম দিয়েছিলেন ‘প্রুফ্রক অ্যামাং দ্য উইমেন’।১৯১৫ সালে ‘পোয়েট্রি’ ম্যাগাজিনে এটি প্রথম...
    আমার ছোট বোন টেপরি যখন জন্ম নিল, তখন বাংলা সিনেমার চিরায়ত সেই দুটি অপশন আমাদের সামনে চলে এল। ‘আম্মা নাকি টেপরি?’ অর্থাৎ সেদিন হাসপাতালে কোনো টেরিবেরি হয়ে গেলে আজ টেপরির জন্মদিনটাই আম্মার নিরস মৃত্যুবার্ষিকীতে পরিণত হতে পারত। জন্মের সময় টেপরির নাক প্রচলিত অর্থে বোঁচা ছিল। এই কারণেই আমি এই নাম রেখেছিলাম দুষ্টামি করে। জন্মের পর ওর গায়ের রং শ্যামলা ছিল, চুল ছিল কোঁকড়ানো। এই তথ্য গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পর দাদি মরাকান্না জুড়িয়ে দিলেন। আমরা বুঝতেই পারছিলাম না, দাদির এই কান্নার কারণ কী! তারপর জানা গেল, ‘শ্যামলা মেয়েকে কেউ বিয়ে করে না’; ‘কোঁকড়ানো চুলের মেয়েদের স্বামীকপাল মন্দ হয়’...মূলত এসব ছাইভষ্ম ভেবে দাদি গঙ্গাকে আরও জলবতী করবার ব্রত নিয়েছিলেন।মেয়ে ‘কালো’ নাকি ফরসা—এই বিষয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালের ১১৪ নম্বর কেবিনের আশেপাশে ঘোরাফেরা করা কয়েক...
    চট্টগ্রামে ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলাকে গুলি করার তিন দিন আগে তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন আরেক ‘সন্ত্রাসী’ মো. রায়হান। ওই সময় সরোয়ারকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, তাঁর সময় শেষ, যা খাওয়ার যেন খেয়ে নেন। সরোয়ারের বাবা আবদুল কাদের প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।গতকাল বুধবার রাতে আবদুল কাদেরের সঙ্গে নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর চালিতাতলী এলাকার খন্দকারপাড়া এলাকার বাড়িতে কথা হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ছেলেকে তিন দিন আগে গত রোববার মুঠোফোনে হুমকি দিয়েছিলেন সন্ত্রাসী রায়হান। বলেছিলেন, “তোর সময় শেষ, যা খাওয়ার খেয়ে নে।”’গতকাল নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলীর খন্দকারপাড়া এলাকায় নির্বাচনী জনসংযোগ করছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ। জনসংযোগের বহর এগোতে এগোতে চলছিল স্লোগান। হঠাৎ গুলির শব্দ। ছত্রভঙ্গ হয়ে যান নেতা-কর্মীরা। ঘটনাস্থলেই গুলিতে মারা যান সরোয়ার। গুলিবিদ্ধ...
    আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি টেসলার বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। খবর হিসেবে এটা বিশেষ কিছু নয়। কিন্তু বিশেষ এক কারণে টেসলার এবারের এজিএম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শুনুন তাহলে, এবারের এজিএমের আগে কোম্পানির মূল বার্তা হলো—‘আমাদের বসের মূল্য এক লাখ কোটি ডলার’।একজন মানুষের বেতন কত হতে পারে। বেসরকারি খাতে বেতনের সীমা সেভাবে নির্ধারিত নেই। কোম্পানির প্রতি কর্মীর অবদান বা তাঁর যোগ্যতার ভিত্তিতে সাধারণত বেতন নির্ধারিত হয়। কিন্তু টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের যে বার্ষিক বেতন–ভাতা প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতে অনেকেরই চোখ কপালে উঠতে পারে—ওয়ান ট্রিলিয়ন বা এক লাখ কোটি মার্কিন ডলার। খবর বিবিসির।এজিএমে প্রস্তাবটির প্রতি শেয়ারহোল্ডারদের রাজি করাতে টেসলা ডিজিটাল বিজ্ঞাপন দিয়েছে। এর লক্ষ্য হলো ইলন মাস্কের প্রস্তাবিত বিশাল বেতনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা। ওয়েবসাইট ভোতেৎসলা ডট কমে আছে...
    ২০০৬ থেকে অভিনয় করছি। প্রচুর নাটকে কাজ করেছি। তারপর তো চলচ্চিত্রে এলাম। নাটক করতে করতে নাটকের অবস্থাটা বুঝেছি। তারপর যখন সিনেমা করতে শুরু করলাম, সিনেমার পরিস্থিতিটাও আমার কাছে পরিষ্কার হয়েছে। এত বছরের পেশাজীবনে যে উপলব্ধিটা হয়েছে, সেটা হলো বাংলাদেশে নারীপ্রধান গল্পে কাজ হয় খুবই কম। এই কম হওয়ার পেছনে ইন্ডাস্ট্রির কিছু গাফিলতি আছে। এখানে যাঁরা টাকা লগ্নি করেন, সেই মানুষগুলোর মনমানসিকতারও কিছু সমস্যা আছে। দর্শক চান না, প্রযোজকও বানান নাসুপারস্টারের ওপর লগ্নি করলে টাকা ফেরত আসে। তাই পুরুষপ্রধান চরিত্রের সিনেমার ওপর প্রযোজকেরা বেশি টাকা লগ্নি করেন। দায়বদ্ধতার বিষয়টা তাঁরা মাথায় রাখেন না। তাঁরা কিন্তু এটা মনে করেন না যে তাঁদেরও সমাজের জন্য কিছু করার আছে। আমি এখানে প্রযোজকদের বেশি করে সামনে আনতে চাই। কারণ আমি মনে করি, বাংলাদেশে প্রচুর মেধাবী...
    এ বছর সোনার দামের যে উল্লম্ফন দেখা গেছে, তা আমাকে একরকম দ্বিধায় ফেলেছে। দাম হু হু করে বাড়ল, আবার হঠাৎ করেই কমে গেল। এই উত্থান-পতনের ভেতর দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে, হয়তো এই পতনই সোনার উড়ানের শেষ পর্বের শুরু।আবার একই সঙ্গে মনে হয়, এটা কেবল সাময়িক একটা বিরতি। এরপর এক ধাক্কায় দাম আরও ওপরে উঠতে পারে। কারণ, বিশ্ব অর্থব্যবস্থা এখন এমন এক জটিল পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে, যার প্রতিফলন স্বাভাবিকভাবেই পড়ছে সোনার দামে।অনেকের মতে, সোনার দাম এখন একধরনের বুদ্‌বুদের আচরণ করছে। বিগ টেক কোম্পানিগুলোর উত্থান টপকে এখন এটি নাসডাক সূচককেও পেছনে ফেলেছে। দাম বাড়ছে, তাই মানুষ আরও কিনছে—আবার কিনছে বলে দাম আরও বাড়ছে। এই চক্রটা তৈরি করেছে ‘ফোমো’ (ফিয়ার অব মিসিং আউট) বা সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার ভয়। ফলে তুচ্ছ খবরও এখন বাজারে...
    আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ ছেড়ে নির্বাচনে অংশ নিবেন। বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে তিনি এ কথা জানান। আরো পড়ুন: টাঙ্গাইল-৩: প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ জোট গঠন করবে না জামায়াত: শফিকুর রহমান অ্যাটর্নি জেনারেল ঝিনাইদহ–১ (শৈলকূপা) আসনে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, “আমি এখনো অ্যাটর্নি জেনারেল আছি। তবে আমি জাতীয় নির্বাচনে ভোট করব, যখন সময় হবে বিস্তারিত জানাব।” পরবর্তী অ্যাটর্নি জেনারেল কে হবেন-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ যাকে মনে করবে তিনি হবেন অ্যাটর্নি জেনারেল।” অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “ঝিনাইদহ-১ থেকে আমি নমিনেশন চেয়েছি। আমি আশাবাদী মনোনয়ন পাব। যখন সময় হবে তখন পদত্যাগ করে বিএনপির মনোনয়ন...
    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জোহরান মামদানি। এ বিজয়ের মাধ্যমে নিউ ইয়র্ক প্রথমবারের মতো একজন মুসলিম মেয়র পাচ্ছে। ৩৩ বছর বয়েসি এ যুবকের সঙ্গে ভারতের যোগসূত্র রয়েছে। কারণ তার বাবা-মা। জোহরান মামদানির মা মীরা নায়ার ভারতীয় চিত্রপরিচালক। আর বাবা মাহমুদ মামদানি ভারতীয় বংশোদ্ভুত লেখক-শিক্ষাবিদ।   মীরা নায়ারের জন্ম, বেড়ে ওঠা ও স্কুলের পড়াশুনা বাংলা লাগোয়া ওড়িশাতে, যেখানে তার অনেক বাঙালি বন্ধুবান্ধব ছিল। তার গানের শিক্ষকও ছিলেন একজন বাঙালি। ফলে নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বাঙালি সংস্কৃতি যা পেয়েছেন, তার পুরোটার কৃতিত্ব মা মীরা নায়ারের।   মীরা নায়ার একজন সমাজকর্মী ও চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯৮৮ সালে মুক্তি পায় ‘সালাম বোম্বে’ সিনেমা। মুম্বাইয়ের পথশিশুদের নিয়ে এটি তৈরি করেন মীরা। এ সিনেমার সূত্র ধরেই মীরা নায়ার আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি পান। সেরা বিদেশি সিনেমা ক্যাটাগরিতে...
    জোহরান মামদানির জীবনাচারে ভারতীয় টান বেশ প্রবল। ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এ তরুণ রাজনীতিক। বিজয় ভাষণেও ভারতীয় রেশ রাখলেন তিনি। বক্তব্য শেষে স্ত্রী আর মা–বাবাকে যখন মঞ্চে ডেকে নেন, তখন বাজছিল বলিউডের জনপ্রিয় ‘ধুম মাচালে’ গানটি।নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার মেয়র নির্বাচনে ভোচ গ্রহণ হয়। এবারের নির্বাচনে বাঘা রাজনীতিক আর সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পছন্দের প্রার্থী। ট্রাম্পের সমর্থন পাওয়া সেই কুমোকে হারিয়ে বাজিমাত করেন জোহরান মামদানি।আরও পড়ুনমীরা নায়ারের সেই ছেলেটি কোন কোন ক্ষেত্রে প্রথম হিসেবে নিউইয়র্কের মেয়র হলেন১ ঘণ্টা আগেগতকালই নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে সমর্থকদের উদ্দেশে বিজয় ভাষণ দেন জোহরান মামদানি। বক্তব্যে তিনি সমর্থকদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি ট্রাম্পকে খোঁচা দেন।বক্তব্য শেষে হাত নেড়ে সমর্থকদের অভিবাদন জানান জোহরান মামদানি। স্ত্রী সিরীয় বংশোদ্ভূত...
    এ কথা আমরা জানি যে সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। কিন্তু অনেকে জানতে চান, কখন রোদে থাকতে হবে, কীভাবে ও কতটুকু রোদ লাগাতে হবে। অনেকে জানতে চান, সপ্তাহের ছয় দিন রোদে গেলে কি সারা বছরের জন্য ডি সঞ্চয় হয়ে যাবে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানার আগে চলুন জেনে নিই ভিটামিন ডি কী।ভিটামিন ডিএটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন, যা রক্তের ক্যালসিয়াম শোষণ করে পরিমাণ ঠিক রাখে। পেশি দৃঢ় করে, হাড় ও দাঁত মজবুত রাখে, সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ও কিছু বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে। রোদ থেকে পাওয়া ভিটামিনের আরেক নাম সানশাইন ভিটামিন। কারণ, সূর্যের আলো থেকে আমরা ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি পেয়ে থাকি। সূর্যের আলো যখন আমাদের ত্বকে লাগে, তখন ত্বকে জমে থাকা কোলেস্টেরল থেকে ভিটামিন ডি...
    প্রথম আলো : ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি বরাবরই সমাজের অসংগতি ও ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন—এই ভাবনা কীভাবে তৈরি হয়েছিল?হানিফ সংকেত: টেলিভিশনের আগে স্কুল এবং কলেজজীবনে আমি লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। একসময় জাতীয় পত্রিকায় ছোটদের পাতায়ও লিখতাম। তখনো আমি চারপাশের অসংগতি নিয়ে লিখতে চেষ্টা করেছি। কারণ, আমি বিশ্বাস করি, অসংগতি-অনিয়ম দূর হলেই সমাজ শুদ্ধ হবে। এই ভাবনা থেকেই ইত্যাদিতেও অনিয়ম ও অসংগতি তুলে ধরি এবং এর বিপরীতে বিভিন্ন আলোকিত মানুষদের তুলে আনি।ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি সমাজে কী ধরনের পরিবর্তন আনতে চেয়েছেন?হানিফ সংকেত: ইত্যাদির প্রতিবেদন যেমন বহুমুখী তেমনি সমাজসচেতনতায়ও বহুমাত্রিক। বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক ক্ষেত্রে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিবেদিতপ্রাণ মানুষের অনুসন্ধানে আমরা ছুটে বেড়াই সারা দেশে। তুলে আনি প্রচারবিমুখ, সৎ, সাহসী ও জনকল্যাণে নিয়োজিত মানুষদের। তাঁদের মধ্যে অনেকেই পেয়েছেন সামাজিক...
    বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের ক্রিকেটার জাহানারা আলম অস্ট্রেলিয়াতে থিতু হয়েছেন। সিডনিতে খেলার পাশাপাশি কোচিংয়েও হাত পাকাচ্ছেন। এরই মধ্যে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া থেকে লেভেল ২ কোচিং কোর্স সম্পন্ন করেছেন। যা নিঃসন্দেহে নারী ক্রিকেটের জন্য বিরাট খবর।  কিন্তু হঠ্যাৎ তাকে নিয়ে আলোচনার কারণ বাংলাদেশের ক্রিকেট। সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির বিরুদ্ধে দলে আধিপত্য বিস্তার, সিন্ডিকেট তৈরি, ক্রিকেটারদের মারধর করা, জুনিয়র ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করাসহ নানা অভিযোগ করেছেন। ড্রেসিং রুমে ভয়ের পরিবেশ বিরাজ করছে এবং নানা শঙ্কায় অনেকে মুখ খুলতে পারছেন না বলেও দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে তাকে পরিকল্পিতভাবে বাদ দেওয়া এবং তীর্যক মন্তব্য ও অভিযোগ করেছেন নির্বাচক, অধিনায়ক, স্টাফদের নিয়ে। তার দেওয়া সাক্ষাৎকার নজরে এসেছে বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। যা কোনোভাবেই...
    বাংলাদেশের সংগীতের ইতিহাসে এক অনন্য নাম এন্ড্রু কিশোর। পেশাদার জীবনে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি গানে—এর মধ্যে অসংখ্য গান আজও কালজয়ী। এ জন্য শ্রোতারা ভালোবেসে তাঁকে ডেকেছেন ‘প্লেব্যাক–সম্রাট’ বলে। চলচ্চিত্রের গানে এন্ড্রু কিশোরের অন্যতম সহশিল্পী ছিলেন জনপ্রিয় গায়িকা কনকচাঁপা। তাঁরা জুটি বেঁধে উপহার দিয়েছেন অগণিত জনপ্রিয় গান। আজ মঙ্গলবার, কিংবদন্তি শিল্পীর জন্মদিনে ফেসবুকে এক আবেগমাখা পোস্টে তাঁকে স্মরণ করেছেন কনকচাঁপা।কনকচাঁপা লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন, হে তরল সোনা মাখানো কণ্ঠের রাজা এন্ড্রু কিশোর দাদা! আমরা গর্বিত, আমাদের এন্ড্রু কিশোর আছেন! আছেন বলছি, কারণ তিনি এখনো আমাদের জীবনের অংশ—আরও বেশি আপন ও প্রয়োজনীয়।’ ফেসবুক পোস্টে কনকচাঁপা আরও লেখেন, ‘একজন এন্ড্রু কিশোর—একটি কণ্ঠ, একটি গলিত সোনার নদী। সিনেমা হলে তাঁর গান বাজলেই পুরো হল ভরে যেত আবেগে। তাঁর কণ্ঠে ছিল জাদু—যা মানুষকে ভাসাতে,...
    বাংলাদেশের ক্রিকেটে লেগ স্পিনার হওয়া মানেই বিশাল এক যুদ্ধর মধ‌্য দিয়ে ক‌্যারিয়ার গড়া। শুরুতে একটু নাক সিটকানো, এরপরও অবহেলা। এরপর সামান‌্য সুনজর পাওয়ার পরও সুযোগের অপেক্ষায় কেটে যায় অনেক প্রহর। সব অবজ্ঞা পেরিয়ে, কন্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে যখন কেউ লাইমলাইটে চলে আসেন তার ওপর থাকে রাজ‌্যের চাপ। সেই চাপ সামলে নিতে পারেন খুব কম জনই। রিশাদ হোসেন কাঁটা বিছানো সব পথ পেরিয়ে রঙিন পোশাকে নিজের উজ্জ্বল ক‌্যারিয়ারের ঝলক দেখিয়েছেন। শুরুতে টি-টোয়েন্টিতে নিজের জায়গা পাকাপাকি করেছেন। ওয়ানডেতে ছিলেন আসা-যাওয়ার মধ‌্যে। এখন সেখানেও নিজের অবস্থান তৈরি করে ফেলেছেন রিশাদ।  লেগ স্পিনের সঙ্গে গুগলির মিশেলে রিশাদ এখন নিজের আক্রমণ সাজিয়েছেন দারুণভাবে। এখন সেই অস্ত্র ভান্ডারে যোগ করেছেন ফ্লিপার ও স্লাইডার। বাংলাদেশের স্পিনিং কোচ মুশতাক আহমেদের কাছে রিশাদ পাঠ নিচ্ছেন ফ্লিপার ও...
    দেশভাগের পর দেশমাতৃকার সঙ্গে নাড়িছেঁড়ার স্মৃতি নিয়ে পূর্ববঙ্গ থেকে কলকাতার এক প্রান্তে গিয়ে আশ্রয় নেয় নীতার পরিবার। সেখানে আরও অনেক উন্মূল মানুষের ভিড়। তারা গঠন করে কলোনি। কলোনির সবাই জানে নীতা অতি নম্র ও পরিশ্রমী মেয়ে। যে টিউশনির সামান্য টাকায় মা-বাবাসহ একাই চার ভাইবোনের সংসার চালায়। দারিদ্র্য তাদের নিত্যসঙ্গী। কলোনির গরিব মুদিদোকানি তাদের পছন্দ করে, কিন্তু বাকিতে সদাই দিতে দিতে সে–ও ক্লান্ত ও অসহায়। দেনার পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। তাই দুটো কথা শুনিয়ে দেয় দোকানি। পায়ে থাকা নিতান্ত চপ্পলও যেন শ্রান্ত নীতার অপমান সইতে পারে না, ফটাস করে ছিঁড়ে যায় ফিতা। ভাগ্যের এমন নির্মম পরিহাস ও নীরবে তা সহ্য করে নিতে নিতে একদিন হারিয়ে যায় নীতা। কিন্তু সর্বত্র সে ছড়িয়ে দিয়ে যায় বাঁচার আকুতি। তবে কে তাকে মেরে ফেলল? নিষ্ঠুর...
    পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে মানুষের মানসিকতায়। একসময় বেবি বুমার (জন্ম: ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৪) প্রজন্মের মানুষেরা মনে করতেন, অফিসে বেশি সময় কাজ করা ও বাড়তি টাকা উপার্জন করা মর্যাদার প্রতীক; কিন্তু সেই দিন আর নেই। পশ্চিমা দেশে এই প্রবণতা আগেই শুরু হয়েছে। সম্প্রতি বিমা কোম্পানি মেটলাইফের এক জরিপেও দেখা গেল, দেশের মানুষের মধ্যেও এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের কর্মীদের বড় অংশ (৭৮ শতাংশ) বর্তমানে নিজেদের চাকরিতে সন্তুষ্ট; কিন্তু তারপরও বড় একটি ফাঁক রয়ে গেছে। সেটি হলো চাকরিতে সন্তুষ্ট হলেও নিয়োগদাতাকে অনুমোদন বা সুপারিশ করার বেলায় তারা পিছপা হচ্ছেন। মাত্র ৪২ শতাংশ কর্মী সক্রিয়ভাবে তাঁদের নিয়োগকর্তার বিষয়ে সুপারিশ করবেন। অর্থাৎ আনুগত্যের ক্ষেত্রে বড় ফাঁক আছে। বোঝা যায়, কোম্পানির বিদ্যমান সুবিধা ও আধুনিক কর্মিসমাজের পরিবর্তনশীল প্রত্যাশার মধ্যে বড় অসংগতি আছে।এই বৈপরীত্য থেকে...
    বাংলা গানের প্রয়াত সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। ২০২০ সালের ৬ জুলাই পরপারে পাড়ি জমান এই কিংবদন্তি শিল্পী। জীবদ্দশায় ১৫ হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। তার গাওয়া কালজয়ী গানের সংখ্যাও কম নয়।  প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোরের সহশিল্পী ছিলেন শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী কনক চাঁপা। জুটি বেঁধে তারা বহু গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) এন্ড্রু কিশোরের জন্মদিন। এ উপলক্ষে প্রিয় শিল্পী, প্রিয় সহকর্মীকে স্মরণ করেছেন কনকচাঁপা। আরো পড়ুন: অস্কার মনোনীত অভিনেত্রী ডায়ান মারা গেছেন ঋত্বিক ঘটক কীভাবে বিধু বিনোদ চোপড়ার নাম রাখেন? কনকচাঁপা তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। লেখার শুরুতে এ শিল্পী বলেন, “শুভ জন্মদিন হে তরল সোনা মাখানো কণ্ঠের রাজা এন্ড্রু কিশোর দাদা! আমরা গর্বিত আমাদের এন্ড্রু কিশোর আছেন! আছেন বলছি এজন্য যে, শারীরিকভাবে না থাকলেও তিনি আগের...
    আজ আমার প্রিয় পত্রিকা প্রথম আলোর জন্মদিন। এটি আমার জন্য শুধু একটি তারিখ নয়, এটি অনুপ্রেরণার দিন। আমি ঠিক করেছি, শুধু শুভেচ্ছা নয়; আমার রোবটদের সঙ্গে বন্ধুত্বের গল্প, গল্প লেখার গল্প আর ভবিষ্যতের স্বপ্নের গল্প বলব। এখন আমার বয়স ৯ বছর, প্রথম আলো আমার কাছে শুধু একটি খবরের কাগজ নয়, বরং আমার প্রতিদিনের সঙ্গী, কৌতূহল মেটানোর বন্ধু, স্বপ্ন দেখার ক্যানভাস এবং স্বপ্নপূরণের অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখি।আমি অনেক ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করি। পত্রিকার পাতায় আমার প্রথম গল্প ছাপা হয়, যখন আমার বয়স পাঁচ বছরের কম। খোঁজ নিতে থাকি ছোটরা আর কোথায় লেখালেখি করে। খোঁজ পাই কিশোর আলোর। প্রতি মাসে যখন কিশোর আলো হাতে পেতাম, এর গল্প, কমিকস আর ফিচারগুলো আমাকে এক অন্য জগতে নিয়ে যেত। পড়তে পড়তে আমার আরও লিখতে ইচ্ছা...