ছুটি শেষে জাবি শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে ফেরা নিশ্চিতে কন্ট্রোল রু
Published: 5th, October 2025 GMT
দুর্গাপূজার ছুটি শেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে ক্যাম্পাসে ফিরে আসা নিশ্চিত করতে একটি কন্ট্রোল রুম চালু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি প্রধান জাবির তিনটি গেইটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
রুয়েটে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি
রাবির ভর্তি পরীক্ষায় থাকবে না সিলেকশন
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত প্রান্তিক গেইট সংলগ্ন ওভারব্রিজ এলাকায় দুইজন, প্রধান গেইটের (ডেইরি গেইট) ওভারব্রিজ এলাকায় দুইজন এবং মীর মশাররফ হোসেন হল গেট এলাকায় দুইজন করে অতিরিক্ত আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে।
জরুরি প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা নিচের নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করতে পারবেন। প্রধান গেইট- ০১৭৭৫ ২৩৪৩৯৮, প্রান্তিক গেইট- ০১৭৬৫ ৩৩৩৯৫৭, মীর মশাররফ হোসেন হল গেইট- ০১৩৪৫ ৭২৮৬৬৫, কন্ট্রোল রুম- ০১৭৬৫ ৩৩৩৯৫৮।
দুর্গাপূজা, বিজয়া দশমী, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহাম ও লক্ষীপূজার ছুটি শেষে আগামী ৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস কার্যক্রম শুরু হবে। ইতোমধ্যে রবিবার (৫ অক্টোবর) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, ৩ কিশোর গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এক নারীকে (২১) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তিন কিশোরের বিরুদ্ধে। ওই নারীর মা বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় মামলা করার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই তিন কিশোর অপরাধ স্বীকার করেছে।
গৃহবধূর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী গ্রামে ছাগল লালন-পালন করেন। গত বৃহস্পতিবার বেলা তিনটা থেকে বিকেল চারটার দিকে তিন কিশোর ওই নারীর কাছে গিয়ে বলে, তাঁর (নারী) ছাগল চুরি হয়েছে। ছাগল পেতে হলে গৃহবধূকে তাদের সঙ্গে যেতে বলে। এরপর তারা ওই নারীকে একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ওই নারী তাঁর মাকে জানান। মা শুক্রবার রাতেই নাসিরনগর থানায় মামলা করেন। মামলা আমলে নিয়ে নাসিরনগর থানা–পুলিশ শুক্রবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করে। তাদের আদালতের মাধ্যমে টঙ্গীর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
ওই নারীর মা বলেন, এক মাস আগে তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের কয়েক সপ্তাহ না যেতেই দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্বামী তাঁকে ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেন। এর পর থেকে মেয়ে তাঁর বাড়িতে থাকেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত তিন কিশোরের পরিবারের সদস্যদের দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে তাঁদের ছেলেরা কোনোভাবেই জড়িত নয়। কী কারণে তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করা হয়েছে, সেটা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
নাসিরনগর থানার ওসি মাকছুদ আহাম্মদ শনিবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। কাছের জিনিস কিছুটা ঝাপসা দেখতে পেলেও দূরের কিছুই দেখতে পারেন না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে।