কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ রোববার রাত আটটার দিকে ইউনিয়নের লিংকরোডের বিসিক শিল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিএনপি নেতা ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, দুটি মোটরসাইকেলে চার যুবক এসে ঘরে ঢুকে লিয়াকতকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন লিয়াকতকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে রাত ১০টার দিকে তাঁকে (লিয়াকত) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

হত্যার উদ্দেশ্যে লিয়াকতকে গুলি করা হয়েছে দাবি করে কক্সবাজার সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল্লাহ নুর প্রথম আলোকে বলেন, লিয়াকত আলী লিংকরোড এলাকায় চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় স্থানীয় সন্ত্রাসী আবদুল খালেকের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা লিয়াকতকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকে গুলি করেছে। ঘটনার পরপর শহর ও ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। লিয়াকতের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

গুলিতে বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

ইলিয়াস খান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি নেতা লিয়াকত আলীর সঙ্গে আবদুল খালেকের বিরোধ রয়েছে। দুজন পাল্টাপাল্টি মামলার আসামি। দুর্বৃত্তের গুলিতে আবদুল খালেকের স্ত্রী খুন হয়েছিলেন। লিয়াকত আলীকে গুলির ঘটনার পেছনে অন্য কিছু আছে কি না, পুলিশ অনুসন্ধান করছে। ঘটনার পরপর পুলিশ বিসিক এলাকায় পৌঁছে সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে। তবে রাত ১১টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি, মামলাও হয়নি।

ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাশেদ উল্লাহ ও স্থানীয় যুবদল নেতা জয়নাল আবেদীন বলেন, দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে লিয়াকতকে গুলি করার পাশাপাশি ঘরের এক নিরাপত্তাকর্মীর পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

লিয়াকত আলীকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে স্থানীয় বিএনপি-যুবদলের নেতা-কর্মীরা রাত ৯টার দিকে লিংকরোড এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঘটন র প ল য় কতক ব এনপ র এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টি উপেক্ষা করে কলকাতায় জমজমাট ‘দুর্গাপূজা কার্নিভ্যাল’

কলকাতার ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপূজাকে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ইউনেসকো ‘ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। পূজার আয়োজনকে আরও আকর্ষণীয় করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৬ সাল থেকে দুর্গাপূজা শেষে কলকাতা ও শহরতলির সেরা প্যান্ডেল ও প্রতিমাগুলোকে নিয়ে বর্ণাঢ্য কার্নিভ্যালের আয়োজন করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও কলকাতার রেড রোডে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণাঢ্য কার্নিভ্যাল। রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় এ কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কার্নিভ্যালে দুর্গা প্রতিমা নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই বছরের কার্নিভ্যালে অংশ নিয়েছে শ্রীভূমি স্টেটিং ক্লাব, সন্তোষ মিত্র স্কয়ার, কলেজ স্কয়ার, কুমারটুলী পার্ক, আহিরীটোলা সর্বজনীন, দেশপ্রিয় পার্ক, সুরুচি সংঘ, যোধপুর পার্ক, হাতিবাগান সর্বজনীন, সিংহী পার্ক, শিয়ারদহ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন, বাগবাজার সর্বজনীন, শোভাবাজার রাজবাড়ি, সিকদার বাগান দুর্গোৎসব, নাকতলা উদয়ন সংঘ, বোসপুকুর শতিলা মন্দির, বাদামতলা আষাঢ় সংঘ, মহম্মদ আলি পার্ক সর্বজনীন, শিবমন্দির পূজা কমিটি, দমদম পার্ক তরুণ সংঘ, মানিকতলা চালতাবাগান সর্বজনীন, চেতলা অগ্রণী ক্লাবসহ মোট ১১৬টি পূজা কমিটি।

কার্নিভ্যালে কলকাতার বাসিন্দাদের পাশাপাশি বিদেশি দূতাবাসের কূটনীতিক এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করেন। ইউনেসকো ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, নেপাল, চীন, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও ভুটানের কূটনীতিকেরা এদিন উপস্থিত ছিলেন।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই বছরের কার্নিভ্যালে অংশ নেন নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ। ৫ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ