বন্দরে গাঁজাসহ সেলিম গ্রেপ্তার
Published: 5th, October 2025 GMT
বন্দরে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ সেলিম (৩২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক সম্রাট শিপলু (৩৩) কৌশলে পালিয়ে যায়।
ধৃত মাদক ব্যবসায়ী সেলিম বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ঘারমোড়া এলাকার গিয়াস উদ্দিন মিয়ার ছেলে। পলাতক মাদক সম্রাট শিপলু বন্দর থানার ১৯ নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ সৈয়ালবাড়ি ঘাট এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় বন্দর থানার এসআই ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে ধৃত ও পলাতক মাদক ব্যবসায়ীকে আসামী করে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে। যার মামলা নং- ৬(১০)২৫।
গ্রেপ্তারকৃতকে রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে উল্লেখিত মাদক মামলায় আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে গত শনিবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটায় বন্দর উপজেলার পুনাইনগরস্থ মাসুদ মিয়ার বাড়ি সামনে কাঁচা রাস্তার উপরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সাইফের ছক্কা বৃষ্টিতে আফগানিস্তান হোয়াইটওইয়াশ
ছোট লক্ষ্য। ভালো শুরুর পর একেবারেই ছন্দে বাংলাদেশ। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। এরপর তীব্র লড়াই। নখ কামড়ানো মুহূর্ত৷ স্নায়ুযুদ্ধ। শেষমেষ বিজয়ের হাসি।
শারজাহতে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রতিটির চিত্র একেবারেই একই রকম৷ প্রতিটি ম্যাচের রিপোর্টই যেন হুবহু আগের ম্যাচের মত। পার্থক্য থাকে কেবল ম্যাচের নায়কের।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানকে ৮৮ রানে হারাল ভারত
শেষ ম্যাচে ১৪৪ রানের টার্গেট দিল আফগানিস্তান
২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ আজ আফগানিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করার মিশনে মাঠে নামে। সেই লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে আজকেই। ৪ ও ২ উইকেটের পর বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে। সবচেয়ে বেশি ১২ বল হাতে রেখে আজকেই জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে। আগের দুই ম্যাচে বল বাকি ছিল যথাক্রমে ৮টি ও ৫টি।
বড় রান না হওয়াতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আমেজ ঠিক পাওয়া যায়নি৷ তিন ম্যাচেই আফগানিস্তান আগে ব্যাটিং পায়। দিনকে দিন রান কেবল কমেছে৷ প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটে ১৫১ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটে ১৪৭। আজ আরো ৪ রান কমেছে, ৯ উইকেটে ১৪৩।
বাংলাদেশের জয়ের নতুন নায়ক সাইফ হাসান ছক্কা বৃষ্টি নামান শারজাহতে। ৩৮ বলে ৭টি ছক্কা ও ২টি চারে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন সাইফ। দু-একটি শট এদিক-সেদিক হয়েছে। নয়তো পুরো ইনিংসই ছিল শিল্পীর আরাধ্য ক্যানভাস। যেখানে তুলির আঁচড় ছড়িয়ে সাইফ ছড়িয়েছেন মুগ্ধতা।
আগের দুই ম্যাচের মত আজও বোলিংয়ে বাংলাদেশ দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখিয়েছে। আফগানিস্তানের স্কোরবোর্ডের নাটাইটা এক মুহূর্তের জন্যও ছাড় দেননি বোলাররা। নিয়মিত উইকেট নিয়ে তাদেরকে থিতু হতে দেননি৷ সঙ্গে রানের চাকায় লাগাম টেনে রেখেছিলেন।
স্কোরবোর্ডে রান যখন ৯৮, আফগানিস্তানের ৮ ব্যাটসম্যান সাজঘরে। সেখান থেকে আফগানিস্তান ১৪৩ রান করবে সেটা কেউ কল্পনাও করেনি। বোলিংয়ে শেষ দিকে একটু ঢিলেমি দেওয়ায় কয়েকটি বাউন্ডারি এসেছে মুজিব ও দারউইসের ব্যাটে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন দারউইস। মুজিব ২৩ রান করে কিছুটা মান রাখেন।
সাইফুদ্দিন তিন ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ছিলেন বাংলাদেশের সেরা। দুইটি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব।
ঢাকা/ইয়াসিন