বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদমান আবদুল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহতাপ ইসলাম।

গতকাল রোববার রাতে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান আগামী এক বছরের জন্য এই কমিটির অনুমোদন দেন।

আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে আরও বলা হয়, এক মাসের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।

সাদমান আবদুল্লাহ সলিমুল্লাহ মুসলিম হল সংসদের নির্বাচিত জিএস। আর মাহতাপ ইসলাম ডাকসু নির্বাচনে সদস্য পদে নির্বাচন করেন।

কমিটিতে ‘জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক’ ও ‘রাজনৈতিক শিক্ষা পাঠচক্র সম্পাদক’ নামে দুটি পদ সৃষ্টি করেছে সংগঠনটি। এই দুই পদে দায়িত্ব পেয়েছেন যথাক্রমে মোফাচ্ছেল হক ও ওমর ফারুক। কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন গাজী।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ খান আদিব, সহসভাপতি সুমাইয়া মোস্তারী রিস্তী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান সাদমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.

নাজিম উদ্দীন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফাতেমা তুজ সামিয়া, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল আলম রুদ্র, সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল্লাহ নোমান, অর্থ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাহিন।

এ ছাড়া সমাজসেবা সম্পাদক ইসতিয়াক আহম্মেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, সাহিত্য সম্পাদক কৌফিক আদির, আইনবিষয়ক সম্পাদক মুনতাসীর রহমান, ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক ফারহাত খান টুলকি এবং কার্যকরী সদস্য হিসেবে কমিটিতে আছেন মুরাদ হাসান।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ ল ল হ

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই জাতীয় সনদে ২৪ দলের সই

নানা অনিশ্চয়তা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সই হয়েছে নতুন রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে তৈরি এই সনদে শুক্রবার সই করেছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল ও জোট। পাশাপাশি সনদে সই করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা।

তবে জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা তরুণদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অনুষ্ঠানে যায়নি, সনদে সইও করেনি। এ ছাড়া চারটি বাম দল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ জুলাই সনদে সই করেনি। আর গণফোরাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও সই করেনি সনদে। অবশ্য দলগুলো চাইলে পরেও সনদে সই করতে পারবে।

এদিকে বেলা একটার দিকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয় দিয়ে একদল লোক অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাঁদের সরিয়ে দেয়। এরপর সংসদ ভবন এলাকার আশপাশে পুলিশ ও ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ মধ্যে সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

সরকার–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ ঘটনার পর সরকারের উপদেষ্টাদের কেউ কেউ অনুষ্ঠান করা যাবে কি না, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। তবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অনুষ্ঠান করার ব্যাপারে শক্ত অবস্থান নেন। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজও অনুষ্ঠান করার পক্ষে দৃঢ় থাকেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

দুপুরে সংঘর্ষের পর বিকেলে বৃষ্টি, কয়েকটি দলের অনুপস্থিতির মধ্যে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শুরু হয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষরকে ‘নতুন বাংলাদেশের সূচনা’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে ঐক্যে জুলাই সনদে সই হলো, এই ঐক্যের সুরই দেশকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাবে। জুলাই জাতীয় সনদের মতো রাজনীতি ও নির্বাচনের বিষয়েও রাজনৈতিক নেতাদের বসে একটি সনদ তৈরি করার পরামর্শ দেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বিকেল সোয়া চারটার দিকে সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মঞ্চে আসেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মঞ্চে আসেন প্রধান উপদেষ্টা ও ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর বিএনসিসি, স্কাউট সদস্যদের কুচকাওয়াজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানানো হয়।

বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। তাঁর বক্তব্যের পর বিকেল পাঁচটার দিকে দলগুলোর প্রতিনিধি ও ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা সনদের অঙ্গীকারনামা অংশে সই করেন। মঞ্চে থাকা প্রতিটি দলের দুজন করে প্রতিনিধি সই করেন।

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এই অনুষ্ঠান হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদ স্বাক্ষরকারীরাও সেই কলম পেতে পারেন
  • জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম, অন্যদেরও সই করার আহ্বান
  • নিঝুম দ্বীপ থেকে বালু তোলার অভিযোগ, সাবেক ইউপি সদস্যসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
  • কৌশলী ছাত্রশিবিরের সামনে ছিল অগোছালো ছাত্রদল
  • জুলাই জাতীয় সনদে ২৪ দলের সই