2025-07-08@02:19:04 GMT
إجمالي نتائج البحث: 10
«আম র ফলন»:
দেশে সাধারণত এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুলাইয়ের প্রথমার্ধ পর্যন্ত আমের ভরা মৌসুম ধরা হয়। এ সময়ের মধ্যে গোপালভোগ, হিমসাগর, আম্রপালি, ল্যাংড়া, নাকফজলি ও হাঁড়িভাঙার মতো জনপ্রিয় জাতের আম বাজারে পাওয়া যায়। একসঙ্গে বাজারে অধিক পরিমাণে আমদানি হওয়ায় তখন অনেকে কাঙ্ক্ষিত দাম পান না।বেশির ভাগ আমের জোগান যখন শেষ হয়, তখনই পাকতে শুরু করে নাবি (বিলম্ব) জাতের আম। বারি আম-৪, বারি আম-১২ (গৌড়মতি) ও আশ্বিনার মতো এসব আম মৌসুমের শেষ দিকে বাজারে আসায় দাম বেশি পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। ফলন ও লাভ বেশি হওয়ায় নওগাঁয় নাবি জাতের আমবাগানের সংখ্যা বাড়ছে।নাবি জাতের আমের মধ্যে জেলায় সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে গৌড়মতি ও বারি আম-৪। স্বাদ, মিষ্টতা ও ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকেরা এখন এই আম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। যাঁরা বারি আম-৪ ও গৌড়মতি আম চাষ...
মিঠাপুকুর উপজেলার তেকানী গ্রাম। সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের জায়গীর বাসস্ট্যান্ড থেকে পশ্চিমে রানীপুকুর-এরশাদ মোড় সড়ক ধরে গেলেই গ্রামটির অবস্থান। এখানকার প্রয়াত নফেল উদ্দিনের হাত ধরে প্রায় ২০ বছর আগে হাঁড়িভাঙা আম বাজারে আসে। পরে সুস্বাদু ফলটির আবাদ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এরপর সুনাম ছড়িয়েছে সারাদেশে। আজ রোববার থেকে বাজারে আসছে সারাদেশে মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা ‘হাঁড়িভাঙা’ আম। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। এবার উপজেলায় ২৬ হাজার টন আম অন্তত ১৫০ কোটি টাকায় বিক্রি হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের। ভারত, জার্মানি ও মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হবে ২০ থেকে ৩০ টন। গত বছর ১ হাজার ২০৮ হেক্টরে উৎপাদন হয় ২৫ হাজার টন। বিক্রি হয়েছিল ১৩৫ কোটি টাকায়। তিন দেশে গতবারও রপ্তানি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে পাইকাররা বাগান...
অম্বিকার দেখা মিলল যশোরের হর্টিকালচার সেন্টারে। আমের এই জাতকে বলা হয় আম্রপালির কন্যা। আম্রপালির মতো স্বাদ ও ঘ্রাণ—সবই আছে এতে। আর গায়ের রং? অম্বিকা নজরকাড়া লাল রংটা পেয়েছে জনার্দন পছন্দ থেকে। এই আমকে বলা হচ্ছে অম্বিকার বাবা।আম্রপালি, অম্বিকা ও জনার্দন পছন্দ—তিনটিই ভারতের জনপ্রিয় আমের জাত। মূলত আম্রপালি ও জনার্দন পছন্দ—এই দুই জাতের সংকরে অম্বিকার জন্ম। এ কারণেই আম দুটিকে অম্বিকার মা-বাবা বলা হয়। উন্নত জাতের এই আম ২০০০ সালে উদ্ভাবন করে ভারতের কৃষি গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা।১৫ মে যশোরের হর্টিকালচার সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, অম্বিকা ও বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম হিসেবে পরিচিত জাপানের ‘সূর্যডিম’-এর গাছ একেবারে পাশাপাশি। দুই আমের রংও প্রায় কাছাকাছি। সূর্যডিমের রং উজ্জ্বল লালচে আর অম্বিকার রং সেই তুলনায় একটু হালকা। দুটিই নজরকাড়া।হর্টিকালচার সেন্টারে অম্বিকার এক বছরের একটি...
গাছে গাছে ঝুলছে আম— নানা রঙের, নানা আকার-আকৃতির। কিছু আম ফ্রুট ব্যাগে মোড়ানো। ছোট্ট ছোট্ট আমগাছের মাঝে আছে পোকা-মাকড় দমনে ব্যবহৃত পাত্র; আমকে বিষমুক্ত ও নিরাপদ রাখতেই এ উদ্যোগ। শনিবার (৩১ মে) দুপুরে চাঁদপুর সদরের শাহতলীতে ফ্রুটস ভ্যালি অ্যাগ্রোতে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। এই আমবাগানের উদ্যোক্তা সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন। ডাকাতিয়া নদীর তীরে পরিত্যক্ত এক ইটভাটায় বালুর ওপর উর্বর মাটি ফেলে উচ্চ মূল্যের ৫৭ জাতের বিদেশি আম চাষ করে নজর কাড়ছেন হেলাল উদ্দিন। এ আমবাগানে নানা জাতের আম চাষ নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি। এখানে বর্তমানে ২৫০-এর বেশি জাতের আমগাছ আছে। ভালো ফলন হচ্ছে কি না এবং লাভজনক কি না, সেটাই পরীক্ষা করছেন হেলাল। হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, তার বাগানে ভ্যালেন্সিয়া প্রাইড, লেমনযেস্ট, বেইলি মার্বেল, রোসারোসা, সানসেট, আতাউল্ফ,...
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাগানগুলোতে এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে আম। গত কয়েক বছরের মতো চলতি মৌসুমেও গাছ থেকে আম নামানোর সময়সীমা নির্ধারণ করেনি প্রশাসন। তবে ধারণা করা হচ্ছে কিছুদিন পরেই পরিপক্ব আম বাজারজাত করতে পারবেন বাগান মালিকরা। গতবারের তুলনায় এবছর আমের ফলন ‘কিছুটা’ ভালো হওয়ায় লাভের আশায় বুক বেঁধেছেন তারা। এ মৌসুমে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভবনা দেখছেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা। কৃষি সম্প্রসারণের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় ১০০ হেক্টর কমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমিতে আম চাষাবাদ হচ্ছে। পাঁচ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আম চাষ হয়েছে শিবগঞ্জে। এখানে ২০ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আম গাছ রয়েছে। এছাড়া ভোলাহাট উপজেলায় ৩ হাজার ৬৩৪ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। যা উপজেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে...
গুটি আম নামানোর মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে শুরু হয়েছে মধুমাস আমের মৌসুম। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম দিন এসব গুটি আম বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার টাকা মণ দরে। মৌসুমজুড়ে রাজশাহী জেলায় বিক্রির আশা ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার আম। জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত ম্যাংগো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে সব ধরনের গুটি আম নামানোর ঘোষণা ছিল। সে অনুযায়ী চাষিরা সকালে আম নামিয়ে রাজশাহীর বৃহত্তম আমের হাট বানেশ্বরে আনতে শুরু করেন। নিম্নমানের এসব গুটি আম খুব একটা সুস্বাদু হয় না। ফলে আচারের কাজেই বেশি ব্যবহার হয়। চাষি ও ব্যবসায়ীরা জানান, গুটি আমের মাধ্যমে আম বাজারজাত শুরু হলো। এর পর পর্যায়ক্রমে ২২ মে গোপালভোগ, ২৫ মে লকনা বা লক্ষ্মণভোগ ও রানীপছন্দ, ৩০ মে হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাতি, ১০ জুন ল্যাংড়া ও ব্যানানা ম্যাংগো, ১৫...
রাজশাহীর বিখ্যাত আমের জন্য অপেক্ষার অবসান হলো। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল থেকে নগর ও আশপাশের উপজেলার বাগানগুলোতে শুরু হয়েছে গাছপাকা গুটি আম নামানোর কার্যক্রম। পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে নামানো হবে হিমসাগর, গোপালভোগ, আম্রপালি, ল্যাংড়া, ফজলি, আশ্বিনাসহ বিভিন্ন জাতের আম। বাগানিদের মতে, এবার আমের ফলন গতবারের চেয়ে কিছুটা বেশি হলেও বাজারমূল্য তুলনামূলক কম। তবে সময়মতো আম পাড়ার সুযোগ পাওয়ায় সন্তুষ্ট তারা। গত আট বছরের মতো এবারও অপরিপক্ক আম বাজারজাতকরণ ঠেকাতে জাতভেদে আম নামানোর নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণা করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। এই সময়সূচিই ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ নামে পরিচিত। সেই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী শুক্রবার (১৫ মে) থেকে গুটি আম পাড়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী নগর, পুঠিয়া ও বাঘা উপজেলার বিভিন্ন বাগানে গিয়ে দেখা যায়, আমচাষিরা গাছপাকা গুটি আম নামিয়ে বানেশ্বর...
আর এক সপ্তাহ পর ১৫ মে থেকে আমের মৌসুম শুরু হচ্ছে রাজশাহীতে। ওইদিন থেকে সব ধরনের গুটি আম গাছ থেকে নামিয়ে বাজারজাত করতে পারবেন চাষিরা। গুটি আম কিছুটা টক-মিষ্টি স্বাদের হয়। রাজশাহীর সবচেয়ে জনপ্রিয় আম হলো হিমসাগর বা খিরসাপাত ও ল্যাংড়া। এ দুটি আম পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু দিন। ৩০ মে হিমসাগর এবং ১০ জুন আসবে ল্যাংড়া আম। মোটামুটি ভালো জাতের আম গোপালভোগ আসবে ২০ মে থেকে। বুধবার দুপুরে রাজশাহী জেলার আম নামানোর সময়সীমা নির্ধারণ নিয়ে আম সংগ্রহ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এই ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার। অপরিপক্ক আম নামানো, কেমিকেল দিয়ে পাকানো এবং বাজারজাত ঠেকাতে কয়েক বছর ধরেই ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার ঘোষণা করছে জেলা প্রশাসন। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ...
দেশের অন্যতম আম উৎপাদকারী জেলা নওগাঁয় গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার আমের মুকুল বেশি এসেছে। বাতাসে মুকুলের ম-ম ঘ্রাণ। কয়েক দিনের কুয়াশা ছাড়া আবহাওয়া আমের অনুকূলে। মুকুলের আধিক্য দেখে বাম্পার ফলনের আশা করছেন আমচাষি।বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষিবিদরাও। তাঁরা বলছেন, এখন পর্যন্ত আবহাওয়া আম চাষের অনুকূলে রয়েছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে। এবার গত বছরের চেয়ে ২০০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান বেড়েছে। আশা করা হচ্ছে, গত বছরের চেয়ে এবার ২৫ হাজার টন ফলন বাড়তে পারে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সাধারণত ধরা হয় দীর্ঘস্থায়ীভাবে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে আমের মুকুল ধরতে চায় না। তবে এবার জানুয়ারি মাসে দুয়েক দিন করে শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ ছিল না। গড়...