2025-10-16@20:16:48 GMT
إجمالي نتائج البحث: 11

«ব স তবব দ»:

    চিত্রকলার দুনিয়ায় সালভাদর দালিকে পাবলো পিকাসো ও অঁরি মাতিসের সঙ্গে স্মরণ করা হয়। তবে স্পেনে জন্মগ্রহণকারী এই শিল্পী অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম ছিলেন, বিশেষ করে চিন্তাভাবনা ও আঁকাআঁকির ক্ষেত্রে। সিগমুন্ড ফ্রয়েডের মনঃসমীক্ষণ ও পরাবাস্তববাদী প্রভাবের কারণে নিজের চিন্তার জগতের মতো দালির শিল্পের জগৎও স্বতন্ত্র ছিল। কৈশোরে দালির মা মারা যান, তাই বাপের কাছে মানুষ হয়েছিলেন অভিমানে, অনুরাগে ও বিরাগে। পেশায় নোটারি আর ধর্মে অবিশ্বাসী বাপের প্রভাব তাঁর মনন গঠনে বড় ভূমিকা রাখে। যদিও ‘পৈতৃক কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ করে আর জয়ী হয়, সে-ই প্রকৃত বীর’—ফ্রয়েডের এ কথা কখনো ভুলতেন না দালি। কৈশোরেই জ্ঞানের প্রতি সতৃষ্ণ দালি বাবার লাইব্রেরিতে নন্দনতত্ত্বের বই বেশি নাড়াচাড়া করতেন আর তাতে লক্ষ করতেন ঈশ্বরের অস্তিত্বহীনতার নানা প্রমাণ। স্কুলের সেই প্রথম বছরে শিক্ষক দন ত্রায়েতের দালিকে বলেছিলেন, ‘ধর্ম...
    সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে গ্যালাপের এক জরিপে জনমতের বড় পরিবর্তন ধরা পড়েছে। দেখা গেছে, এখন মাত্র ৫৪ শতাংশ মার্কিন পুঁজিবাদকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন, যা এই জরিপ শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে কম। অন্যদিকে সমাজতন্ত্রের প্রতি সমর্থন বেড়েছে। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের মধ্যে সমাজতন্ত্রের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব বেড়েছে। বামপন্থার উত্থানের প্রতীক হয়ে উঠেছেন নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে এগিয়ে থাকা প্রার্থী জোহরান মামদানি। নিজেকে তিনি বলছেন ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’। ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে জয়ী হয়ে মামদানি হয়ে উঠেছেন অভিবাসী সমাজ ও শহরের নিম্নবিত্ত মানুষের কণ্ঠস্বর।বিভাজনটা স্পষ্ট; রিপাবলিকানরা যেখানে পুঁজিবাদের পক্ষপাতী, ডেমোক্র্যাটরা তুলনামূলকভাবে সমাজতন্ত্রের দিকে ঝুঁকছেন। তবে গভীরে আছে প্রজন্মভিত্তিক ক্ষোভ। তরুণ মার্কিনদের অনেকের কাছে পুঁজিবাদ মানে এক বিশেষ সুবিধাভোগী ব্যবস্থা। তাঁরা মনে করেন, পুঁজিবাদ কেবল ধনীদের জন্য, সাধারণ মানুষের জন্য নয়।এ বিতর্ক শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু তার প্রতিধ্বনি...
    ধূমপানমুক্ত হওয়ার খুব কাছাকাছি পর্যায়ে চলে এসেছে নিউজিল্যান্ড। ২০১৫ সালে দেশটিতে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ধূমপায়ীর হার ছিল ১৩.৩ শতাংশ, যা বর্তমানে কমে হয়েছে ৬.৯ শতাংশ। অন্যদিকে, বাংলাদেশে এই হার ২৩ শতাংশ থেকে কমে মাত্র ১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ‘টেল অব টু নেশনস: বাংলাদেশ ভার্সেস নিউজিল্যান্ড’ শিরোনামের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘স্মোক ফ্রি সুইডেন’ সম্প্রতি একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গবেষণা প্রতিবেদনটির কথা তুলে ধরেছে। বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের ধূমপানবিরোধী নীতির তুলনামূলক বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে এতে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউজিল্যান্ডের এই সাফল্যের মূল কারণ হলো তাদের বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি ও তামাক নিয়ন্ত্রণে ক্ষতি হ্রাস কৌশলের অন্তর্ভুক্তি। দেশটি ভেপিংয়ের মতো বিকল্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দিয়ে ধূমপায়ীদের ধূমপান ছাড়ার জন্য কার্যকর নীতি প্রণয়ন করেছে।  অন্যদিকে, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে ক্ষতি হ্রাসকেন্দ্রিক কৌশলের...
    জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে নানামুখী আয়োজন চলছে। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এ তিন বিষয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলো ঐকমত্যে পৌঁছায়। বিভিন্ন কমিশনের সুপারিশ ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তাব নিয়ে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে’ আলোচনার দ্বিতীয় ধাপে সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদে প্রয়োজনীয় সংযোজনের বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে। কমিশনগুলোর অধিকাংশ সুপারিশেও রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতি। অন্যান্য বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা বা বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে।এ দীর্ঘ আলোচনাকে দর-কষাকষির ক্ষেত্র হিসেবে দেখলে চলবে না। এটা ‘হাউস অব কার্ডস’ বা জয়–পরাজয়ের যুদ্ধ নয়, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব দর্শন রয়েছে। এর ভিত্তিতে দলগুলোর ভিন্ন ভিন্ন ইতিহাস, কর্মসূচি ও কৌশল রয়েছে। এ কারণেই সব বিষয়ে মতৈক্যের আশা ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের’ নীতির সঙ্গে যায় না।মতৈক্য হয়নি এক বিষয়; সংশয় তৈরির অপচেষ্টা রাজনৈতিক দলসহ সবার কাছেই অনাকাঙ্ক্ষিত। উসকানিমূলক ভাষার ব্যবহার গণতন্ত্র উত্তরণের গতি রোধ করে। জনতা রাজনৈতিক দলগুলোর...
    তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন আদর্শবাদী নেতা। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন বাস্তববাদী। আদর্শিক দিক থেকে তিনি মানুষের মুক্তির কথা ভেবেছেন। এমন মুক্তি, যেখানে মানুষ শোষণ, বঞ্চনার শিকার হবে না। সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছেন। আর বাস্তববাদী ছিলেন বলেই তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে গিয়েছিলেন। তাঁর দলের ভেতরের অনেক বিরোধিতা সত্ত্বেও নেতৃত্ব দিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন।আজ বুধবার স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের শততম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক, প্রাবন্ধিক ও চিন্তক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। সাহিত্য–সংস্কৃতির পত্রিকা কালের ধ্বনি বিকেলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য সারথী: শতবর্ষে তাজউদ্দীন আহমদ’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য দেন ইমেরিটাস অধ্যাপক, প্রাবন্ধিক ও চিন্তক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
    উনিশ শতকের প্রথমার্ধ থেকেই আধুনিকতার আঁচ লাগতে শুরু করে পৃথিবীব্যাপী। আর তার সূতিকাগার ছিল ইউরোপ। শিল্প বিপ্লবোত্তরকালে সমগ্র ইউরোপ জুড়ে মানুষের চিন্তাভাবনা ও জীবনাচরণে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটতে থাকে। একসময় কল্পনার যে ভাবালু জগতে মানুষ বাস করত, সেখান থেকেও বেরিয়ে আসতে থাকে এই উনিশ শতকেই। ইউরোপব্যাপী সংঘটিত নব নব আবিষ্কার ও অনুসন্ধান মানুষকে পৌঁছে দেয় জীবনবোধের নতুন পর্যায়ে। এভাবেই মানুষ রোমান্টিসিজম থেকে বেরিয়ে এসে বাস্তববাদের দিকে ধাবিত হয়। উনিশ শতকের ৪৮ সালে কার্ল মার্ক্স ও ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস প্রকাশ করেন পৃথিবীব্যাপী সাড়া জাগানো ‘কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো’। শিল্প বিপ্লবোত্তরকালে ইউরোপের মানুষ যে গ্রামাঞ্চল ছেড়ে শহরের দিকে ক্রমশ ধাবিত হচ্ছিল, নতুনভাবে গড়ে ওঠা কলকারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজে নিযুক্ত হচ্ছিল; তাদের অধিকার ও দায়িত্ববোধ নিয়ে নতুন ভাবনার সঞ্চার করেছিল এই কমিউনিস্ট চিন্তাধারা। তখন এই নব্য শ্রমিক...
    দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক যেন কুয়াশার চাদরে ঢাকা এক অনন্ত যুদ্ধ। সম্প্রতি পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের পাকিস্তানের ওপর দায় চাপানোর প্রেক্ষাপটে নতুন করে দুই দেশ নতুন করে বিরোধে জড়ায়। এই উত্তপ্ত ভৌগোলিক পরিসরের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ একটি তুলনামূলক ছোট রাষ্ট্র হলেও কৌশলগত অবস্থান ও ভূরাজনৈতিক গুরুত্বের কারণে উপমহাদেশের রাজনীতিতে অনেক বড় জায়গা করে নিয়েছে।বাংলাদেশ তার কৌশলগত গুরুত্ব বুঝে আচরণ শুরু করে মূলত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় থেকে। তিনি এই সংঘাতের মধ্যে শান্তির পরিসর খুঁজে নিতে ছোট দেশগুলোর সমন্বয়ে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা ‘সার্ক’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের মধ্যেও ছোট দেশগুলো যেন নিজেদের স্বার্থ ও পরিচয় নিয়ে টিকে থাকতে পারে, সে লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিল সার্ক।পরবর্তী সময় নানা কারণে সেই...
    বিশ্ব রাজনীতি অনেক আগেই বুঝে গেছে, বাম আর ডান– এই দুই মেরুর সংঘাত কোনো বাস্তব সমাধান দিতে পারে না। নতুন শতাব্দীর চ্যালেঞ্জগুলো এতটাই জটিল, বাম বা ডান ঘরানার আদর্শিক কাঠামো দিয়ে উত্তর মেলে না। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রযুক্তিগত নির্ভরতা, তথ্যযুদ্ধ, গণমনস্তত্ত্বের অস্থিরতা– এসব একুশ শতকের এমন প্রশ্ন, যার উত্তর দিতে গেলে প্রয়োজন দেশকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের জন্যও সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক স্লোগান হতে পারে– ‘বাংলাদেশপন্থির হবে বাংলাদেশ’। বাম-ডানের ভাঙা আয়না রাজনৈতিক দর্শনে ‘বাম’ বলতে বোঝায় সমাজতান্ত্রিক, সমতানির্ভর, রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে। আর ‘ডান’ নির্দেশ করে ব্যক্তিস্বাধীনতা, মুক্তবাজার অর্থনীতি ও ঐতিহ্যভিত্তিক মূল্যবোধ। যদিও ফ্রেডরিক নিটশে বলেছিলেন, ‘সমস্ত সত্যই দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়’। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট ‘ইজম’ দিয়ে সব ব্যাখ্যা করা যায় না। বাংলাদেশের বাস্তবতা এই দার্শনিক সত্যটি আরও জীবন্ত করে তোলে। এখানে বামপন্থিরা বিপ্লবের...
    সম্প্রতি চিত্রনায়িকা বর্ষা ঘোষণা দেন, “ছেলেরা বড় হচ্ছে, বড় হয়ে তারা যদি দেখে, তার মা সিনেমার নায়িকা, তখন কী ভাববে? এসব চিন্তা করেই সিনেমা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”  বর্ষার এই বক্তব্য নিয়ে শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এবার সেই তালিকায়  দেরিতে হলেও যুক্ত হলো চিত্রনায়িকা পরীমনির নাম। এই চিত্রনায়িকা নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক দীর্ঘ পোস্টে বর্ষার নাম উল্লেখ না করেই সমালোচনা করেছেন। একের পর এক প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন।  পরীমনি লিখেছেন, ‘‘জি ছোট্ট আপা, একদম ঠিক! সঠিক বলেছেন আপনি।একটা সময় থাকে দেখতে নায়িকা নায়িকা লাগে (আপনার ভাস‍্যমতে) দেখতে সুন্দর লাগে পর্দাতে। ওকে! কিন্তু আপা, আপনার বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে পর্দাতে হিরোইন লাগার কোন ব্যাপারই নেই। কারণ আপনি এটা করার অপচেষ্টা যে করে গেছেন সেটা আজীবনই রয়ে...
    মার্কিন কথাসাহিত্যিক জয়েস ক্যারল ওটস ১৯৩৮ সালের ১৬ জুন নিউইয়র্কের লকপোর্টে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৩ সালে লেখালেখির শুরু, কলম আজও চলছে। নারীবাদ, সাম্যবাদ, যুদ্ধ ও সহিংসতাবিরোধী চিন্তার জন্য তিনি, বিশেষত পশ্চিমাবিশ্বে, সুবিদিত। ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর সর্বশেষ গল্পগ্রন্থ ‘জিরো-সাম’। নাইনটিন্থ নিউজের প্রতিবেদক জেনিফার গারসন, ২৪ আগস্ট ২০২৩ তাঁর একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। ওটস সেখানে বর্তমান আমেরিকায় নারীবিরোধী অবস্থান, শ্বেতাঙ্গ খ্রিষ্টান আধিপত্যবাদ প্রভৃতি নিয়ে খোলামেলা মন্তব্য করেছেন। অনুবাদ করেছেন হামিম কামাল জেনিফার গারসন: আপনার সর্বশেষ গল্পগ্রন্থ ‘জিরো-সাম’। দেখিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন সংকটময় পরিস্থিতিতে নারী কেমন আচরণ করে ও পায়, লড়ে ও বেঁচে থাকে। আপনি দীর্ঘ জীবন পেয়েছেন। এই সময়ের ভেতর নারীর লড়াইয়ে কোনো বিবর্তন, পরিবর্তন কি আপনার চোখে পড়েছে? আপনার লেখক-জীবনের পরিপ্রেক্ষিতেও এ নিয়ে কী ভাবছেন জানতে চাই।  জয়েস ক্যারল ওটস: যদিও আমি নিজেকে নারীবাদী...
    নয়াবাস্তববাদী সিনেমার কল্যাণে দুনিয়াজুড়ে তখন পরিচিত এক নাম রবার্তো রসেলিনি। একই সঙ্গে তিনি হলিউড অভিনেত্রী ইনগ্রিড বার্গম্যানের স্বামী, যাঁর অভিনয় আর রূপে মুগ্ধ সারা বিশ্ব। সেই রবার্তোই ভারতে একটা ছবির কাজ করতে এসে এক বাঙালি গৃহবধূর প্রেমে পড়লেন! ২৭ বছর বয়সী এই তরুণীর নাম সোনালী দাশগুপ্ত, স্বামী চিত্রপরিচালক হরিসাধন দাশগুপ্ত। তাঁদের দুই শিশুসন্তান—রাজা ও অর্জুন। সেই সময়ে কলকাতা থেকে রোম, হলিউড থেকে বলিউড—সর্বত্র দারুণ আলোড়ন তুলেছিল এই সাহসী প্রেম। ১৯৫৭ সালে বিশ্ব মিডিয়ায় প্রায় নিয়মিত ছাপা হতো এই ‘নিষিদ্ধ’ প্রেমাখ্যান। যে ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও তাঁর কন্যা ইন্দিরা গান্ধী পর্যন্ত।রবার্তোর ভারতযোগ জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে ভারত তখন ব্রিটিশ বিদায়ের এক দশক পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ভারত নিয়ে ছবি বানাতে ১৯৫৬ সালের শেষ দিকে...
۱