2025-05-23@12:02:57 GMT
إجمالي نتائج البحث: 6

«ব স তবব দ»:

    উনিশ শতকের প্রথমার্ধ থেকেই আধুনিকতার আঁচ লাগতে শুরু করে পৃথিবীব্যাপী। আর তার সূতিকাগার ছিল ইউরোপ। শিল্প বিপ্লবোত্তরকালে সমগ্র ইউরোপ জুড়ে মানুষের চিন্তাভাবনা ও জীবনাচরণে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটতে থাকে। একসময় কল্পনার যে ভাবালু জগতে মানুষ বাস করত, সেখান থেকেও বেরিয়ে আসতে থাকে এই উনিশ শতকেই। ইউরোপব্যাপী সংঘটিত নব নব আবিষ্কার ও অনুসন্ধান মানুষকে পৌঁছে দেয় জীবনবোধের নতুন পর্যায়ে। এভাবেই মানুষ রোমান্টিসিজম থেকে বেরিয়ে এসে বাস্তববাদের দিকে ধাবিত হয়। উনিশ শতকের ৪৮ সালে কার্ল মার্ক্স ও ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস প্রকাশ করেন পৃথিবীব্যাপী সাড়া জাগানো ‘কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো’। শিল্প বিপ্লবোত্তরকালে ইউরোপের মানুষ যে গ্রামাঞ্চল ছেড়ে শহরের দিকে ক্রমশ ধাবিত হচ্ছিল, নতুনভাবে গড়ে ওঠা কলকারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজে নিযুক্ত হচ্ছিল; তাদের অধিকার ও দায়িত্ববোধ নিয়ে নতুন ভাবনার সঞ্চার করেছিল এই কমিউনিস্ট চিন্তাধারা। তখন এই নব্য শ্রমিক...
    দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক যেন কুয়াশার চাদরে ঢাকা এক অনন্ত যুদ্ধ। সম্প্রতি পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের পাকিস্তানের ওপর দায় চাপানোর প্রেক্ষাপটে নতুন করে দুই দেশ নতুন করে বিরোধে জড়ায়। এই উত্তপ্ত ভৌগোলিক পরিসরের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ একটি তুলনামূলক ছোট রাষ্ট্র হলেও কৌশলগত অবস্থান ও ভূরাজনৈতিক গুরুত্বের কারণে উপমহাদেশের রাজনীতিতে অনেক বড় জায়গা করে নিয়েছে।বাংলাদেশ তার কৌশলগত গুরুত্ব বুঝে আচরণ শুরু করে মূলত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় থেকে। তিনি এই সংঘাতের মধ্যে শান্তির পরিসর খুঁজে নিতে ছোট দেশগুলোর সমন্বয়ে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা ‘সার্ক’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের মধ্যেও ছোট দেশগুলো যেন নিজেদের স্বার্থ ও পরিচয় নিয়ে টিকে থাকতে পারে, সে লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিল সার্ক।পরবর্তী সময় নানা কারণে সেই...
    বিশ্ব রাজনীতি অনেক আগেই বুঝে গেছে, বাম আর ডান– এই দুই মেরুর সংঘাত কোনো বাস্তব সমাধান দিতে পারে না। নতুন শতাব্দীর চ্যালেঞ্জগুলো এতটাই জটিল, বাম বা ডান ঘরানার আদর্শিক কাঠামো দিয়ে উত্তর মেলে না। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রযুক্তিগত নির্ভরতা, তথ্যযুদ্ধ, গণমনস্তত্ত্বের অস্থিরতা– এসব একুশ শতকের এমন প্রশ্ন, যার উত্তর দিতে গেলে প্রয়োজন দেশকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের জন্যও সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক স্লোগান হতে পারে– ‘বাংলাদেশপন্থির হবে বাংলাদেশ’। বাম-ডানের ভাঙা আয়না রাজনৈতিক দর্শনে ‘বাম’ বলতে বোঝায় সমাজতান্ত্রিক, সমতানির্ভর, রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে। আর ‘ডান’ নির্দেশ করে ব্যক্তিস্বাধীনতা, মুক্তবাজার অর্থনীতি ও ঐতিহ্যভিত্তিক মূল্যবোধ। যদিও ফ্রেডরিক নিটশে বলেছিলেন, ‘সমস্ত সত্যই দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়’। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট ‘ইজম’ দিয়ে সব ব্যাখ্যা করা যায় না। বাংলাদেশের বাস্তবতা এই দার্শনিক সত্যটি আরও জীবন্ত করে তোলে। এখানে বামপন্থিরা বিপ্লবের...
    সম্প্রতি চিত্রনায়িকা বর্ষা ঘোষণা দেন, “ছেলেরা বড় হচ্ছে, বড় হয়ে তারা যদি দেখে, তার মা সিনেমার নায়িকা, তখন কী ভাববে? এসব চিন্তা করেই সিনেমা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”  বর্ষার এই বক্তব্য নিয়ে শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এবার সেই তালিকায়  দেরিতে হলেও যুক্ত হলো চিত্রনায়িকা পরীমনির নাম। এই চিত্রনায়িকা নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক দীর্ঘ পোস্টে বর্ষার নাম উল্লেখ না করেই সমালোচনা করেছেন। একের পর এক প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন।  পরীমনি লিখেছেন, ‘‘জি ছোট্ট আপা, একদম ঠিক! সঠিক বলেছেন আপনি।একটা সময় থাকে দেখতে নায়িকা নায়িকা লাগে (আপনার ভাস‍্যমতে) দেখতে সুন্দর লাগে পর্দাতে। ওকে! কিন্তু আপা, আপনার বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে পর্দাতে হিরোইন লাগার কোন ব্যাপারই নেই। কারণ আপনি এটা করার অপচেষ্টা যে করে গেছেন সেটা আজীবনই রয়ে...
    মার্কিন কথাসাহিত্যিক জয়েস ক্যারল ওটস ১৯৩৮ সালের ১৬ জুন নিউইয়র্কের লকপোর্টে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৩ সালে লেখালেখির শুরু, কলম আজও চলছে। নারীবাদ, সাম্যবাদ, যুদ্ধ ও সহিংসতাবিরোধী চিন্তার জন্য তিনি, বিশেষত পশ্চিমাবিশ্বে, সুবিদিত। ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর সর্বশেষ গল্পগ্রন্থ ‘জিরো-সাম’। নাইনটিন্থ নিউজের প্রতিবেদক জেনিফার গারসন, ২৪ আগস্ট ২০২৩ তাঁর একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। ওটস সেখানে বর্তমান আমেরিকায় নারীবিরোধী অবস্থান, শ্বেতাঙ্গ খ্রিষ্টান আধিপত্যবাদ প্রভৃতি নিয়ে খোলামেলা মন্তব্য করেছেন। অনুবাদ করেছেন হামিম কামাল জেনিফার গারসন: আপনার সর্বশেষ গল্পগ্রন্থ ‘জিরো-সাম’। দেখিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন সংকটময় পরিস্থিতিতে নারী কেমন আচরণ করে ও পায়, লড়ে ও বেঁচে থাকে। আপনি দীর্ঘ জীবন পেয়েছেন। এই সময়ের ভেতর নারীর লড়াইয়ে কোনো বিবর্তন, পরিবর্তন কি আপনার চোখে পড়েছে? আপনার লেখক-জীবনের পরিপ্রেক্ষিতেও এ নিয়ে কী ভাবছেন জানতে চাই।  জয়েস ক্যারল ওটস: যদিও আমি নিজেকে নারীবাদী...
    নয়াবাস্তববাদী সিনেমার কল্যাণে দুনিয়াজুড়ে তখন পরিচিত এক নাম রবার্তো রসেলিনি। একই সঙ্গে তিনি হলিউড অভিনেত্রী ইনগ্রিড বার্গম্যানের স্বামী, যাঁর অভিনয় আর রূপে মুগ্ধ সারা বিশ্ব। সেই রবার্তোই ভারতে একটা ছবির কাজ করতে এসে এক বাঙালি গৃহবধূর প্রেমে পড়লেন! ২৭ বছর বয়সী এই তরুণীর নাম সোনালী দাশগুপ্ত, স্বামী চিত্রপরিচালক হরিসাধন দাশগুপ্ত। তাঁদের দুই শিশুসন্তান—রাজা ও অর্জুন। সেই সময়ে কলকাতা থেকে রোম, হলিউড থেকে বলিউড—সর্বত্র দারুণ আলোড়ন তুলেছিল এই সাহসী প্রেম। ১৯৫৭ সালে বিশ্ব মিডিয়ায় প্রায় নিয়মিত ছাপা হতো এই ‘নিষিদ্ধ’ প্রেমাখ্যান। যে ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও তাঁর কন্যা ইন্দিরা গান্ধী পর্যন্ত।রবার্তোর ভারতযোগ জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে ভারত তখন ব্রিটিশ বিদায়ের এক দশক পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ভারত নিয়ে ছবি বানাতে ১৯৫৬ সালের শেষ দিকে...
۱