ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে পড়ে আছে এক নারীর লাশ
Published: 11th, January 2025 GMT
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে এক নারীর লাশ পড়ে আছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার রামের খোলা এলাকার উড়ালসড়কের নিচে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় লোকজন।
লাশের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন সিরাজদিখান সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ বিল্লাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আজ সকাল আটটার দিকে আমরা বিষয়টি জানতে পারি। পরে সেখানে যাই। লাশটি কয়েক দিন আগের। লাশের গায়ে পচন ধরেছে। লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য চেষ্টা চলছে। লাশ এখনো এক্সপ্রেসওয়ের পাশে পড়ে আছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত উদ্ঘাটনের জন্য বিশেষজ্ঞ দল ডাকা হয়েছে।’
সিরাজদিখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় এক্সপ্রেসওয়েতে ২২ বছর বয়সী এক তরুণীর গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে ছিল। এ ঘটনা তদন্তের চার দিনের মাথায় জানা যায়, ওই তরুণীকে তাঁর প্রেমিক তৌহিদ শেখ ওরফে তন্ময় (২৩) থানা থেকে লুট করা অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করেছেন।
আরও পড়ুনমুন্সিগঞ্জে এক্সপ্রেসওয়ের পাশে পড়ে আছে নারীর গুলিবিদ্ধ লাশ৩০ নভেম্বর ২০২৪উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হবিগঞ্জে স্কুলছাত্রী অপহরণ-ধর্ষণ, মূল আসামি গ্রেপ্তার
র্যাবের অভিযানে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থেকে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি বাদল মিয়া (২০) গ্রেপ্তার হয়েছে। তিনি জেলার মাধবপুর উপজেলার কবিলপুর গ্রামের বাসিন্দা। অপহৃত স্কুলছাত্রীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৯ সিলেটের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ।
এর আগে রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ সিপিসি-৩ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরের জগদীশপুর ইউনিয়নের সন্তোষপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামি বাদল মিয়া গ্রেপ্তার হয়। উদ্ধার করা হয় অপহৃত স্কুলছাত্রীকেও।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়- ভিকটিম একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে যাওয়া আসার পথে বাদল ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন অশ্লীল কথাবার্তা বলতো ও কুপ্রস্তাব দিত। স্কুলছাত্রী বিষয়টি তার বাবাকে জানায়। মেয়েটির বাবা বাদলকে জিজ্ঞাসা করলে সে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়।
এর জের ধরে ১৩ নভেম্বর বাদলসহ আরো দুজন মিলে ওই স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে। বিষয়টি জানার পর পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও স্কুলছাত্রীকে পায়নি।
পরবর্তীতে তার পিতা বাদী হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে আসামিদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে সফল হয়।
ঢাকা/মামুন/এস