মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আমাকে থামাতে পারবে না: ফ্রান্সেস্কা আলবানিজ
Published: 13th, July 2025 GMT
অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেস্কা আলবানিজ বলেছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আমাকে থামাতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা নিষেধাজ্ঞাকে ‘অশ্লীল ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। আলজাজিরাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এটিকে গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধের সমালোচনার প্রতিশোধ বলে উল্লেখ করেন।
আলবানিজ বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা আমাকে থামাতে পারবে না। ইসরায়েল যে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ চালাচ্ছে, তা বলতে আমি অব্যাহত থাকব। তিনি এটিকে ‘মাফিয়াদের ভয়ভীতির কৌশল’ বলে আখ্যায়িত করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আলবানিজের বিরুদ্ধে ‘ইসরায়েলবিরোধী রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ চালানোর অভিযোগ এনেছিলেন। জবাবে তিনি বলেন, আমি শুধু আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে কথা বলছি। গাজার ভয়াবহতা শুধু ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফল নয়, বরং এসব থেকে লাভবান কোম্পানিগুলোর জন্যও।
রয়টার্স জানায়, আলবানিজের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। শুক্রবার সংস্থাটির এক মুখপাত্র এ কথা বলেন। ইইউর নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র আনুয়ার এল আনুউনি বলেছেন, ফ্রান্সেস্কা আলবানিজের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমরা হতাশ। জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থার ওপর ইইউর জোরালো সমর্থন রয়েছে বলেও যোগ করেন তিনি।
দ্য আরব নিউজ জানায়, দখলদার ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের সঙ্গে গত সপ্তাহে দেখা করেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ১৫ জন কথিত ইমাম। এ ছাড়া দখলদার ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনা ঘুরে দেখেন তারা। ইমামদের এ দলটি এখনও ইসরায়েলে অবস্থান করছে। তারা দাবি করছেন, মুসলিম ও ইহুদিদের মধ্যে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতে তারা ইসরায়েলে গেছেন। তবে সুন্নি মুসলিমদের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় এই ইমামদের কার্যকলাপের নিন্দা জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, ইউরোপের এই কথিত ইমামরা মুসলিমদের প্রতিনিধি নয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদাবাজি সন্ত্রাস দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: নাহিদ ইসলাম
চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, লড়াই এখনো শেষ হয়নি। দেশের মৌলিক সংস্থার ও জুলাই সনদ নিয়ে লড়াই এখনো চলছে। একটি মহল নানা তালবাহানা করছে। আমরা আপনাদের বলতে চাই, এ ব্যাপারে সোচ্চার হোন। আপনার এলাকায় চলমান চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সরব হোন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মাগুরায় পদযাত্রায় অংশ নিয়ে শহরের ভায়না মোড়ে আয়োজিত পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এনসিপির প্রধান এই নেতা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মাগুরায় যারা শহীদ হয়েছেন; সেই রক্তের মর্যাদা দিতে হবে। বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের লড়াই জারি রাখতে হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে যে সংকটগুলো চলমান, গণঅভ্যুত্থানের পরেও আমরা নতুন সংবিধানের অভাবে সেই সমস্যার সমাধান করতে পারছি না। ফলে আমাদের একটি নতুন সংবিধান প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে করতে হলে ফ্যাসিজমের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল; তাদের বিচার এবং মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন। পাশাপাশি ভিনদেশী আধিপত্য ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশপন্থী একটি রাজনীতি দাঁড় করাতে হবে।
এ সময় পথসভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. তাসনিম জারা, নুসরাত তাবাসসুমসহ প্রমুখ।
পথসভার আগে পদযাত্রাটি শহরের ভায়না মোড় থেকে শুরু হয়ে চৌরঙ্গী মোড়, ঢাকা রোড হয়ে আবার ভায়না মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।