উড়োজাহাজের টিকিটের বাজার আবার সিন্ডিকেটের দখলে চলে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।

শনিবার (১২ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আটাব জানায়, গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা থেকে রিয়াদ, জেদ্দা, মদিনা ও দাম্মাম রুটে টিকিটের মূল্য ‘গ্রুপ নামেই’ প্রায় ১ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। আর ‘কম্পিউটার সিস্টেমে’ এটা উঠে যায় ১ লাখ ৭০ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনো কোনো এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের যাত্রীদের টিকিট বিদেশি এজেন্সির কাছে নাম ছাড়া ব্লক করে দিয়ে আসন সংকট সৃষ্টি করছে। বিদেশি এজেন্সিরা দেশের কিছু সিন্ডিকেট এজেন্সি ও দালালের মাধ্যমে এসব টিকিট বিক্রয় করে টাকা হুন্ডি করে বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ফ্লাইট কমানোর ফলে আসনও কমে গেছে, যা টিকিটের মূল্যবৃদ্ধির আরেকটি কারণ।

আটাব বলছে, সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে এয়ারলাইন্স, গ্লোবাল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) ও টিকিট সিন্ডিকেট চক্র যাত্রীর নামবিহীন অগ্রিম ‘গ্রুপ বুকিং’ করছে এবং পুনরায় এয়ার টিকিট মার্কেট তাদের সিন্ডিকেশনের দখলে নিয়ে কৃত্রিম আসন সংকট তৈরি করেছে। এতে এয়ার টিকিটের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। এর ফলে যাত্রী ও ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট খাতের সবাই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আইনিব্যবস্থা না নেওয়ায় টিকিটের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শ্রমিক ও যাত্রীদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

এ অবস্থা চলতে থাকলে দাম আরো বাড়বে বলেও আশঙ্কা করছে আটাব।

বাংলাদেশের এয়ার টিকিটের উচ্চমূল্য কমানো এবং এ খাতে শৃঙ্খলা আনার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় গত ১১ ফেব্রুয়ারি একটি পরিপত্র জারি করে। তাতে যাত্রীর নাম, পাসপোর্টের বিবরণ ও পাসপোর্টের ফটোকপি দিয়ে টিকিট বুকিং করার নির্দেশনা দেওয়া ছিল। এতে টিকিটের মূল্য কমে আসে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি ‘বাজেট’ এয়ারলাইন্স ও সিন্ডিকেট চক্র পুনরায় সক্রিয় হতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে আটাব।

তারা বলছে, কোনো কোনো এয়ারলাইন্স ভুয়া নাম দিয়ে টিকিট বুকিং করে রাখে। ভুয়া নামে বুকিং করা টিকিটগুলো ফ্লাইটের এক-দুই দিন আগে নাম পরিবর্তন করে বিক্রি করা হয়।

ঢাকা/হাসান/ইভা

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক উপাচার্য হাসিবুরসহ পলাতক ২৪ আসামিকে আত্মসমর্পণে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

রংপুরের আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মো. হাসিবুর রশীদসহ পলাতক ২৪ আসামিকে আত্মসমর্পণ করার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবু সাঈদ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ। তিনি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ আজ রোববার এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল বলেন, এর আগে ১০ জুলাই এই মামলার ২৬ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে পরে জানতে পারেন এই মামলার দুজন আসামি ইতিমধ্যে অন্য দুটি মামলায় গ্রেপ্তার আছেন। সে কারণে ট্রাইব্যুনালে মৌখিকভাবে আদেশ দিলেও তাতে সই করেননি।

ট্রাইব্যুনাল আরও বলেন, তবে আগের আদেশ উপেক্ষা করা যাবে না। অবশ্য আগের আদেশ পরিমার্জন করা হলো। সেই ২৬ আসামির মধ্যে যে দুজন গ্রেপ্তার আছেন, তাঁদের জন্য সেই আদেশ প্রযোজ্য নয়। তাঁদের আগামী ২২ জুলাই ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে হবে। সেই দুই আসামি হলেন রাফিউল হাসান রাসেল ও মো. আনোয়ার পারভেজ। পলাতক ২৪ আসামিকে হাজির হওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হলো।

আবু সাঈদের মামলায় মোট ৩০ আসামি। এর মধ্যে চারজনকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। তাঁরা হলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী ওরফে আকাশ।

অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকা রাফিউল হাসান ও আনোয়ার পারভেজ নামের দুই আসামিকে ট্রাইব্যুনালের এই মামলায় হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মো. হাসিবুর রশীদসহ পলাতক ২৪ আসামিকে আত্মসমর্পণ করতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে আজ।

লাশ পোড়ানোর মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ জুলাই

গণ–অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় ছয় তরুণের লাশ পোড়ানোর মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ১৬ জুলাই ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল-২।

এই মামলার শুনানি করেন প্রসিকিউটর মো. সাইমুম রেজা তালুকদার। শুনানিতে তিনি বলেন, পলাতক আট আসামির গ্রেপ্তার বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় প্রয়োজন। তখন সময় দিয়ে ট্রাইব্যুনাল ১৬ জুলাই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন।  

এই মামলার ১৬ জন আসামি। এর মধ্যে গ্রেপ্তার আট আসামিকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ