পুলিশের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং জনবান্ধব পুলিশ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে র‌্যাবের অতীত কার্যক্রম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পর্যালোচনা করে এর প্রয়োজনীয়তা পুনর্মূল্যায়নের সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন।

সফর রাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ সংস্কার কমিশন আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের সংস্কারের সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনে এ সুপারিশ রয়েছে।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তের জন্য সরাসরি সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওপর ন্যস্ত করার জন্য পুলিশ সংস্কার কমিশনের তরফ থেকে জোর সুপারিশ করা হয়েছে।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারা বা তাদের প্ররোচনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে, সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রধান নিজেই যাতে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধান কার্যালয়েও একটি মানবাধিকার সেল কার্যকর থাকার বিষয়ে কমিশন সুপরিশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দোষী না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তকে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করা যাবে না। সংবিধান, বিভিন্ন আইন এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনা পুলিশ কর্তৃক অমান্যের দ্বারা মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে তাৎক্ষণিক প্রতিকার পাওয়ার জন্য নতুন হেল্প লাইন চালু করা কিংবা ৯৯৯ কর্তৃক সেবার মধ্যে এ ধরনের অপরাধ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। ভুক্তভোগী ও সাক্ষী সুরক্ষার জন্য একটি সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা উচিত, যা জনবান্ধব পুলিশিং নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও আহত করার জন্য দোষী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য আইন প

এছাড়াও পড়ুন:

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা: আরো দুই আসামি গ্রেপ্তার

রাজধানীর মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আরো দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে সোহাগ হত্যায় মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

রবিবার (১৩ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘‘সোহাগ হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি রয়েছেন ১৯ জন। এর মধ্যে, এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। সিসিটিভি ফুটেজ ও গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের পেছনের মোটিভ (উদ্দেশ্য) জানার চেষ্টা চলছে।’’

আরো পড়ুন:

বিল্লালের দোষ স্বীকার, আশঙ্কামুক্ত চাঁদপুরের সেই খতিব

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ

ডিসি তালেবুর রহমান আরো বলেন, ‘‘ঘটনার দিন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় প্রধান অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান মহিনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে মহিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত তারেক রহমান রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’’

উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে লালচাঁদ ওরফে সোহাগ নামের ওই ব্যবসায়ীকে একদল সন্ত্রাসী পিটিয়ে ও পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করেন। পরদিন নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঢাকা/এমআর/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ