কুষ্টিয়ায় দুই পুলিশ সদস্যকে আসামির হাতুড়িপেটা
Published: 3rd, May 2025 GMT
কুষ্টিয়ার মিরপুরে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় দুই পুলিশ সদস্যকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছেন এক আসামি। বর্তমানে ওই আসামি পুলিশি হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম।
শুক্রবার (২ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর উপজেলার পালপাড়া বাজারের কাছে আসামি আসিমি আশিক (২৫) দুই পুলিশের উপর এই হাতুড়ি হামলা চালায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে উপজেলার আমলা এলাকা থেকে সন্দেহভাজন আসামি আশিককে আটক করে মোটরসাইকেলে মিরপুর থানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন আমলা পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম ও কনস্টেবল রুস্তম আলী। থানায় যাওয়ার আগেই পালপাড়া বাজারের কাছে পৌঁছালে আশিক চিৎকার করে মোটরসাইকেল থামাতে বলেন। এ সময় চালক এসআই মনিরুল গাড়ি থামানোর সঙ্গে সঙ্গে মাঝে থাকা আসামি কোমর থেকে হাতুড়ি বের করে তার মাথায় আঘাত করেন। এতে মাথায় থাকা হেলমেট ভেঙে যায়। এরপর মোটরসাইকেলের পেছনে বসা কনস্টেবল রুস্তম আলীর মাথায়ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
পরে ঘটনাস্থলে থানা-পুলিশ উপস্থিত হয়ে কনস্টেবল রুস্তমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, “একটি মামলার সন্দেহভাজন এক আসামিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার সময় ওই আসামি হামলা করে। এতে এক কনস্টেবল আহত হয়েছে। আসামি পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু: সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে মো. আবদুল্লাহ (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মহিম উদ্দিনকে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়ি ও গুইমারার পরিস্থিতি থমথমে, নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর
ঠাকুরগাঁওয়ে মা-মেয়ের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে মারা যান আব্দুল্লাহ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফাঁড়িতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নির্যাতন করা হয় আবদুল্লাহকে।
মারা যাওয়া আবদুল্লাহ বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে।
সূত্র জানায়, সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামে একটি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজন হিসেবে স্থানীয়রা আব্দুল্লাহকে আটক করে মারধর করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফাঁড়িতে সোপর্দ করার পর পুলিশ তার ওপর আরো নির্যাতন চালায়। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে আবদুল্লাকে চারদিন আটকে রাখা হয়। ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মহিম উদ্দিন এ ঘটনা নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কিংবা থানার ওসিকে অবগত করেনি।
আব্দুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় তার ছোট ভাই সাকিল মিয়া বাদী হয়ে সোমবার নবীনগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সলিমগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিম উদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা তবি মিয়া, আলামিন, আয়নাল হককে আসামি করা হয়। ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত এসআই মহিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ