নারায়ণগঞ্জ শহরের অন্যতম প্রধান সরকারি ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট খানপুর হাসপাতালে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে দুই দালালকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, শহরের খানপুর এলাকার মোকসেদ আলীর ছেলে মোঃ মঞ্জু (৫৫) এবং গলাচিপা কলেজ রোড এলাকার মোতালেব হাওলাদারের ছেলে মো. মাসুদ হাওলাদার (৪২)।

শনিবার (৩ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.

মোনাববর হোসেনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোনাববর হোসেন বলেন, সরকারি আদেশ অনুযায়ী হাসপাতাল এলাকায় দালাল বা প্রতারক চক্রের কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু এই আদেশ অমান্য করে দুই ব্যক্তি সেখানে সক্রিয় ছিলেন। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় দুইজনকে তাৎক্ষণিক আটক করা হয়। 

সেই সাথে তাদের ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ প্রতারক চক্র এবং দালালদের বিরুদ্ধে আমাদের জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ধোনি-কোহলির শেষ লড়াইয়ে রেকর্ডের বন্যা

এমনিতেই ম্যাচটার উত্তাপ ছিল ভিন্ন। আইপিএলে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও বিরাট কোহলির শেষ মুখোমুখি লড়াই বলে কথা! ৪৩ বছর বয়সী ধোনীর যে আগামী মৌসুমে খেলার কোন সম্ভাবনাই নেই। ম্যাচটি ছিল রেকর্ডের মালা গাঁথা। এক বিরাট স্পর্শ করলেন ৬টি রেকর্ড। অন্যদিকে রোমারিও শেফার্ড করলেন এই মৌসুমের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। তাতেই শনিবার (৩ মে) ধোনীর চেন্নাই সুপার কিংসকে ২ রানে হারায় বিরাটের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় বেঙ্গালুরুকে। শনিবার রাতে ম্যাচের ১৭.৪ ওভার শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১৫৭ রান। এই সময় ক্রিজে আসেন শেফার্ড। বাদবাকি ১৪ বলের সবটাই এই ক্যারিবিয়ান একাই খেললেন। করলেন যৌথভাবে আইপিএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতক।

আরো পড়ুন:

চেন্নাইয়ের ঘরে বিষাদের বাজনা, ধোনির চোখে বিদায়ের আভা

ধোনি ম‌্যাজিকে পাঁচ ম‌্যাচ পর চেন্নাইয়ের জয়

সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড যশস্বী জয়সোয়ালের (১৩ বলে)। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে শেষ ২ ওভারে বেঙ্গালুরু তুলেছে ৫৪ রান। আইপিএলে ইনিংসের শেষ ২ ওভারে এত রান আগে কখনো হয়নি। একটা সময়ে ১৮০ হবে কি না সেই শঙ্কায় থাকা বেঙ্গালুরু তাতে পায় ২১৩ রানের বিশাল পুঁজি।

শেফার্ডের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে টিম ডেভিডের সঙ্গে ১৫ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়েছেন, যেখানে ক্যারিবিয়ানের অবদান ১৪ বলে ৫৩। এই জুটিতে মাত্র একটি বল খেলার সুযোগ পেয়েছেন ডেভিড। যেহেতু শেফার্ড বাকি থাকা ১৪টি বলই খেলেছেন, তাই সেটিও তার পাওয়ার কথা না। তবে ১৯তম ওভারে খলিল আহমেদের একটি নো বল করায় সেই সুযোগ পেয়েছেন।

চেন্নাইয়ের হয়ে শেষ দুই ওভার বোলিং করেছেন খলিল ও পাথিরানা। ইনিংসের ১৯তম ওভারে খলিলের এক ওভারেই শেফার্ড তোলেন ৩৩ (একটি নোসহ)। আইপিএলে চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা কোনো বোলারের করা এটিই সবচেয়ে খরুচে ওভার। এরপর পাতিরানার শেষ ওভারে দেন ২৪।

শেষ ২ ওভারে এদিন শেফার্ড নিয়েছেন ৫২। টি-টোয়েন্টিতে শেষ ২ ওভারে এর চেয়ে বেশি রান কেউ কোনো দিন নিতে পারেননি। সমান ৫২ রানই তুলেছিলেন নেপালের দীপেন্দ্র সিং ঐরি।

রান তাড়ায় ১৭ বছরের কিশোর আয়ুশ মাত্রের ৪৮ বলে ৯৪ রানের ইনিংস আর জাদেজার সঙ্গে তার ৬৪ বলে ১১৪ রানের জুটি পথে রাখে চেন্নাইকে। তবে সপ্তদশ ওভারে আয়ুশ ও ডেওয়াল্ড ব্রেভিসকে টানা দুই বলে ফেরান লুঙ্গি এনগিডি। তখন ক্রিজে যান ধোনি।

চেন্নাইয়ের সম্ভাবনা তখনও ভালোমতোই জিইয়ে আছে। ২১ বলে প্রয়োজন ৪২ রান। জাদেজা একটি ছক্কা মারেন ওই ওভারেই। ১৯তম ওভারে দারুণ এক শটে ছক্কা মারেন ধোনিও। তবে অন্য ডেলিভারিগুলোয় বড় শট খেলতে পারেননি চেন্নাই অধিনায়ক।

শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১৫ রানের। প্রথম দুই বলে জাদেজা ও ধোনি নিতে পারেন কেবল সিঙ্গেল। তৃতীয় বলে লো ফুল টস ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে যান ধোনি। ওই ছক্কার পরও ৮ বল খেলে কেবল ১২ রান করতে পারেন ৪৩ বছর বয়সী কিংবদন্তি। এরপর দায়ালের সে নো বলে ছক্কা, তবে এই পেসার শেষ তিন বলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান। বেঙ্গালুরুর জয় দুই রানে। বিফলে জাদেজার ৪৫ বলে ৭৭ রানের ইনিংস।

শীর্ষে থাকা বেঙ্গালুরুর সংগ্রহ ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট। অন্যদিকে সমান সংখ্যক ম্যাচে মাত ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে চেন্নাই।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ