চার মাস পর চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হচ্ছে
Published: 4th, May 2025 GMT
নাব্যতা–সংকটে চার মাস বন্ধ থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হচ্ছে। এ জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
এ বিষয়ে আজ রোববার সকালে বিআইডব্লিউটিসি চিলমারীর ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ‘নাব্যতা–সংকটে চার মাস ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। সম্প্রতি ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং খননের ফলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। গতকাল থেকে কদম ও কুঞ্জলতা নামের দুইটা ফেরি ঘাটে প্রস্তুত আছে। দীর্ঘদিন এই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রাক কিছুটা কম। পণ্যবাহী পরিবহন এলেই ফেরি ছেড়ে দেওয়া হবে।’
এর আগে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা–সংকটের মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে নৌপথের খননকাজ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এরপর চার মাস থেকে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চলাচলের উদ্বোধন করা হয়। এর পর থেকে এই নৌপথে কুঞ্জলতা ও কদম নামের দুটি ফেরি ট্রাকসহ যাত্রী পারাপার করে আসছিল। ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্যতা-সংকটের কারণে গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে ওই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করতে বিআইডব্লিউটিএ ব্রহ্মপুত্র নদের ২২ কিলোমিটারে খনন শুরু করে।
আরও পড়ুননাব্যতা–সংকটে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ, ভোগান্তি০৯ নভেম্বর ২০২৪বিআইডব্লিউটিএর চিলমারী নৌবন্দরের দ্বায়িত্বরত উপসহকারী প্রকৌশলী মো.
নতুন করে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হওয়ার সাধারণ যাত্রী ও পণ্য পরিবহনকারীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে পাথর পরিবহনকারী ট্রাকচালক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘পুনরায় ফেরি চালু হচ্ছে। রংপুর দিয়ে ঘুরে ময়মনসিংহ যেতে সময় ও অর্থ দুটোই বেশি লাগে। এখন অনেক সাশ্রয় হবে। তবে শুধু ফেরি চালু করলেই হবে না; ফেরির সিডিউল ঠিক করতে হবে। সিডিউল ঠিক না থাকার কারণে ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ব যত
এছাড়াও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পড়ে যুবক নিখোঁজ
মুন্সীগঞ্জ শহরের হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকায় লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে ধলেশ্বরী নদীতে পড়ে এক যুবক নিখাঁজ হয়েছেন। রবিবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। সোমবার (১৬ জুন) দুপুর পর্যন্ত ওই যুবকের সন্ধান মেলেনি।
নিখোঁজ যুবককে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জের সহকারী পরিচালক মো. কামরুল হাসান।
নিখোঁজ যুবকের নাম রফিকুল ইসলাম (৩০)। তিনি ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার দেওয়ানপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
দীঘিনালায় নদীতে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীতে থিম ওমর প্লাজায় অগ্নিকাণ্ড
স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোলার তজুমদ্দিন থেকে ঢাকা সদরঘাটের দিকে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী লঞ্চ ফারহান-৩। রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে যাত্রা বিরতিতে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাট নোঙর করে লঞ্চটি। সোহেল নামে এক যাত্রীকে এগিয়ে দিতে লঞ্চ থেকে ঘাটে নামেন নিখোঁজ রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন। তাকে এগিয়ে দিয়ে লঞ্চে উঠার সময় রফিকুল পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যান।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “আজ সকাল থেকে নিখোঁজের সন্ধানে ডুবুরি দল কাজ করছে। উদ্ধার অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ যুবকের সন্ধান মেলেনি।”
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ শাখার সহকারী পরিচালক মো. কামরুল হাসান বলেন, “প্রত্যক্ষদর্শীদের দেখানো জায়গায় বিআইডব্লিউটিএ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। নদীর গভীরতা প্রায় ১২০ ফিট এবং তীব্র স্রোত থাকায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। নিখোঁজ যুবকের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে।”
ঢাকা/রতন/মাসুদ