১৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো পঞ্চগড় সদর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন। এতে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আবু দাউদ প্রধান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মাহফুজুর রহমান (বাবু)। আবু দাউদ আগের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মাহফুজুর সদস্য ছিলেন।

গতকাল শনিবার রাতে পঞ্চগড় সরকারি অডিটরিয়ামে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ভোটের মাধ্যমে এ কমিটি গঠিত হয়। ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন। এর আগে দুপুরে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় অডিটরিয়াম চত্বরের মুক্তমঞ্চে। জাতীয় সংগীত, দলীয় সংগীত পরিবেশনা ও পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো.

আওরঙ্গজেব ও রবিউল ইসলাম। চার সদস্যের এ কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে ১০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যালটের মাধ্যমে হওয়া এ নির্বাচনে ৬৬২ জন ডেলিগেট ও কাউন্সিলর ভোট দেন।

প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নওশাদ জমির। প্রধান বক্তা ছিলেন ফরহাদ হোসেন।

২০০৯ সালের সম্মেলনে আবু দাউদ সভাপতি ও আনোয়ার হোসেন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ২০২০ সালে আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। আহ্বায়ক হন আনোয়ার হোসেন এবং সদস্যসচিব সেকেন্দার আলী।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র উপজ ল সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাধীনতা হবে শর্তসাপেক্ষ, এমন পৃথিবী দেখতে চাই না: বাঁধন

ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি রাজপথেও সরব ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। এরপর কয়েক মাস নিজেকে আড়াল করে নিয়েছিলেন। তবে আবারও সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি নারীর অবমাননা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাঁধন। যেখানে তিনি বলতে চেয়েছেন, স্বাধীনতা হবে শর্তসাপেক্ষ- এমন পৃথিবী কখনো দেখতে চান না তিনি।

বাঁধন লিখেছেন, ‘আমি পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বসবাস করি, কিন্তু আমি সেখানে মরতে রাজি নই। আমি এমন পৃথিবী দেখতে চাই না, যেখানে অধিকার নির্ধারিত হবে ক্ষমতার ভিত্তিতে, আর স্বাধীনতা হবে শর্তসাপেক্ষ। আমি এমন ভবিষ্যতে বিশ্বাস করি, যেখানে প্রতিটি মানুষের কথা বলার অধিকার থাকবে, থাকবে নিজের জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা, যা কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারো নেই।’

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি স্ট্যাটাসেই উঠে এসেছে বাঁধনের প্রতিবাদী কণ্ঠ। হঠাৎ কেন এমন উপলব্ধি তার? অভিনেত্রী জানালেন, ‘এটা হঠাৎ কোনো উপলব্ধি নয়, বরং বহুদিনের ভাবনা। আমি এমন পরিবারেই বড় হয়েছি, যেখানে পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার ছাপ স্পষ্ট। আমার নিজের বাবাও সেই ব্যবস্থার অংশ ছিলেন।’

এর আগেও এক স্ট্যাটাসে বাঁধন লিখেছেন, ‘আমি এখানে কারও নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য আসিনি। আমার জীবন, আমার নিয়ম-আমি কী করব, কীভাবে বাঁচব, আর কী হব, তা একমাত্র আমিই ঠিক করি। আমার পথ আমি নিজেই বেছে নিই, আমার সিদ্ধান্ত আমার নিজের।’

তিনি আরও লেখেন, ‘কারও অনুমতি, প্রশংসা কিংবা স্বীকৃতির প্রয়োজন নেই আমার। আমি শুনি যখন চাই, করি যখন মন চায়, আর যে যা-ই বলুক, নিজের অবস্থানে অটল থাকি। আমাকে নিয়ন্ত্রণ করবে? কখনও না, কোনোদিন না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ