১৯৯৯ সালে ক্যারিয়ার তুঙ্গে থাকাকালীন হঠাৎ করেই বিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। আমেরিকার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করার পর হঠাৎ করেই বলিউডের ঝলমলে দুনিয়া থেকে দূরে সরে যান মাধুরী। মাধুরীর এইভাবে হঠাৎ বিয়ে করে বিদেশে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা শুনে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। যদিও এখন তাঁরা দুজনেই ভারতে ফিরে এসেছেন এবং মাধুরী পুনরায় ফিরেছেন বলিউডে।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। বলিউডের বিনোদনভিত্তিক সাইট কইমই সেই সাক্ষাৎকার ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে মাধুরী বলেন, "আমি কখনো ভাবিনি যে বিয়ে করার মানেই সব কিছু ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু আমি এমন একজনকে বিয়ে করেছি, যার সঙ্গে আমি জীবনের সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা যাত্রায় পা রাখলাম।"

তিনি আরও জানান, “আমি তখন বলিউডের শীর্ষে ছিলাম, কিন্তু জীবনে আরও অনেক কিছু আছে, যেগুলো আমি অনুভব করতে চেয়েছিলাম। পরিবারের গুরুত্ব, ব্যক্তিগত শান্তি – এই সব কিছুর মাঝেই আমি নিজের আরেকটা পরিচয় খুঁজে পাই।”

তবে বলিউড ছাড়লেও, দর্শকদের ভালোবাসা এবং নিজের শিল্পীসত্ত্বা তাকে বেশিদিন দূরে থাকতে দেয়নি। ২০০৭ সালে 'আজা নাচলে' সিনেমার মাধ্যমে আবারও রূপালি পর্দায় ফিরেন মাধুরী দীক্ষিত। এরপরও তিনি অভিনয়, টেলিভিশন ও নাচের মাধ্যমে নিজের অনন্য উপস্থিতি বজায় রেখেছেন।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আইএমএফ-এডিবি সহায়তা না দিলে নিজেদের মতো করে বাজেট: অর্থ উপদেষ্টা

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে চলতমান ঋণ কর্মসূচি চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির সমাধানে এডিবি তাগিদ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এডিবিসহ অন্যান্য দাতা সংস্থা বাজেট সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির বিষয়টি আমলে নেয়। তবে আইএমফের শর্ত মানা হবে না। এমনকি আইএমএফ ও এডিবি কেউ বাজেট সহায়তা না দিলেও নিজেদের মতো করে বাজেট দেওয়া হবে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা।

আজ রোববার ইতালির মিলানে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বার্ষিক সভার ফাঁকে সংস্থাটির দক্ষিণ, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইংমিং ইয়াংয়ের সঙ্গে সাইডলাইন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো ভিডিও বার্তা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির পর্যালোচনা করতে আইএমএফের একটি মিশন দুই সপ্তাহের জন্য ঢাকা ঘুরে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে ২১ এপ্রিল শুরু হয়ে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত বসন্তকালীন বৈঠকের ফাঁকে এ বিষয়ে আইএমএফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সাইডলাইনে আলাদা বৈঠক হয়। কিন্তু ঢাকা বা ওয়াশিংটন—কোথাও আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচি থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ পাওয়া নিয়ে ইতিবাচক কোনো বার্তা পাওয়া যায়নি। 

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতির বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন। আমরা জানিয়েছি অর্থনৈতিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। সামষ্টিক অর্থনীতিতে অনেক উন্নতি হয়েছে। ব্যাংকিং খাতে অনেক সংস্কার করা হচ্ছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ব্যবসা–বাণিজ্য। এ বিষয়ে বেসরকারি খাতকে উৎসাহি করতে বিনিয়োগ সম্মেলন করা হয়েছে। এসব অগ্রগতিতে প্রশংসা করেছে এডিবি।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এডিবি এখন আমাদের অবকাঠামোর উন্নয়নে সহায়তা করছে। এটা তারা করতেই থাকবে। এছাড়া আরও কিছু পাইপলাইনে আছে। আমাদের বাজেট সাপোর্টের বিষয় তাদের যেটা দেওয়ার কথা ছিল সেটা ছাড়ের কথা বলেছি। এক্ষেত্রে তারা আইএমএফের বিষয় জিজ্ঞাসা করেছিল। আমরা তাদের বলেছি যে, তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

আইএমএফের কিস্তি ছাড়া বিলম্ব হওয়াতে এডিবির বাজেট সহায়তার কোনো প্রভাব ফেলবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজেট সাপোর্টের বিষয় তারা (আইএমএফ) বিষয়টা দেখে। কারণ, আইএমএফ সামষ্টিক অর্থনীতির বিষয়গুলো দেখে থাকে। এ বিষয় আমরা আলোচনা করছি। আশা করছি, সমাধান হয়ে যাবে। আমরা চট করে আইএমএফের কঠিন শর্ত মেনে নিয়ে কিছুই করবো না। আইএমএফের অর্থ ছাড়াই অর্থনীতি স্থিতিশীল হয়েছে। আমরা তো এখন পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে বাজেট সাপোর্ট নেইনি।

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, বাজেট সহায়তা পেলেই হই হুল্লোড় পড়ে; যাবে বিষয়টা এমন না। আমরা যদি আইএমএফ ও এডিবির সহায়তা নাও পাই তাও নিজেদের মত করে বাজেট দেবো। আগামী বাজেট হবে ব্যবস্থাপনাযোগ্য ও বাস্তবসম্মত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ