সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মফিজুর রহমানকে নিয়ে দুপক্ষের মারমুখী অবস্থান দেখা গেছে। আজ রোববার উপজেলা সদরে মানববন্ধন, মিছিল, ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া এবং পাল্টা মানববন্ধন হয়েছে।

সকাল ১১টায় প্রথমে সচেতন উপজেলাবাসীর ব্যানারে কারেন্টের বাজারের বোয়াল চত্বরে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্থানীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো অবহেলায় নষ্ট হয়েছে। মেরামতের কথা বললে ইউএনও বাজেট স্বল্পতার কথা জানান। অথচ, তার বাসভবনে ডাইনিং কক্ষ নির্মাণ হয়েছে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে। বাসভবনে পুকুর ঘাট তৈরিতে সাত লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। তাঁর অফিসে ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে খাস কামরা তৈরি করেছেন। এগুলোসহ নানা প্রকল্প থেকে ইউএনও টাকা আত্মসাত করেছেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মো.

শফিকুল ইসলাম জনি, মো. ওয়াদুদ, মো. শাহীন আহমদ, মো. আব্দুর রউফ, মো. নুরুল আলম সাগর ও মো. হাবিবুর রহমান।

শফিকুল ইসলাম জনি বলেন, ‘সীমান্তে চোরাচালানে ইউএনওর আস্কারা আছে। তিনি আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব যাচাই করলে অসংলগ্ন লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যাবে।’

কারেন্টের বাজারে মানববন্ধন শেষে মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে যাচ্ছিলেন নাগরিকরা। পথে মাল্টিপারপাস সেন্টারের সামনে তাদের বাধা দেয় বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া, পালটা-ধাওয়া এবং হামলা হয়। সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে এসে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে হামলাকারীরা।

এ দিকে বিকেলে উপজেলা সদরের বিপ্লবী চত্ত্বরে বিশ্বম্ভরপুর সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে পাল্টা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়। উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন- শ্রমিক দলের মো. আবুল কালাম, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী শাহ্‌ রাকিব প্রমুখ।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রাজু আহমেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দোসররা বিভিন্ন ব্যানার নিয়ে উপজেলা সদরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। বিএনপি কর্মীরা তাতে বাধা দেন। এ সময় হাতাহাতি হয়েছে। উপজেলা পরিষদ, থানায় যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়, সেজন্য বিএনপি কর্মীরা দায়িত্ব পালন করেছে।’

ইউএনও মো. মফিজুর রহমান সমকালকে বলেন, ‘পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়নি। বরং নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র করছি আমরা। হাওর বিলাসকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। সম্প্রতি মাল্টিপারপাস সেন্টার ইজারা দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ দরদাতা ইজারা পেয়েছেন। এ নিয়ে সংক্ষুব্ধ কিছু ব্যক্তি বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করেছে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ ব এনপ উপজ ল ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

লাল পতাকা দেখিয়ে দুই দফা ট্রেন আটকালেন এলাকাবাসী, স্টেশন চালুর দাবি

গাজীপুরের শ্রীপুরের সাতখামাইর স্টেশনের কার্যক্রম পুনরায় চালু এবং নিয়মিত ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে ট্রেন থামিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ও সকাল ১০টা ২৬ মিনিটে দুই দফা ট্রেন থামিয়ে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

‘সুবিধাবঞ্চিত এলাকার সর্বস্তরের জনগণ’–এর ব্যানারে সাতখামাইর স্টেশন এলাকায় এই কর্মসূচিতে অংশ নেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ সমাজের সব স্তরের লোকজন। তাঁরা লাল রঙের পতাকা দেখিয়ে সকাল ১০টা ২৬ মিনিট থেকে ১০টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত ১১ মিনিট নেত্রকোনার মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেন আটকে রাখেন। এর আগে ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ৯টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত ১২ মিনিট আটকে রাখা হয়। প্রত্যেকবার ট্রেন থামিয়ে সেখানে দাবির পক্ষে মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।

মানববন্ধন শেষে সমাবেশে স্টেশনটি পুনরায় চালু করা, পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ, আন্তনগর ট্রেন মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ও দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতির ব্যবস্থাসহ স্টেশনের অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবি তুলে ধরা হয়। একই দিন রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) বরাবর একটি স্মারকলিপিও পাঠিয়েছেন এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে জহিরুল আকন্দ নামের একজন বলেন, ট্রেনের বিরতির জন্য স্টেশনের অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। অবিলম্বে তাঁদের দাবি পূরণ করতে হবে। দাবি পূরণ না হলে রেলপথ অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে। নূরুল ইসলাম নামের একজন বলেন, তাঁরা গত শুক্রবার ও শনিবার বিকেলেও ট্রেন আটকে একই দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন। ১০ থেকে ১২টি গ্রামের মানুষের এই দাবি পূরণে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে তাঁরা আরও বড় কর্মসূচি দেবেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল সড়কের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্টেশনের মধ্যে সাতখামাইর ছিল একটি। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের ব্যবসা ছিল রেলপথ ঘিরে। জমজমাট ছিল স্টেশন ও আশপাশের বাজার। কিন্তু ১৫ বছর আগে স্টেশনের কার্যক্রম প্রায় বন্ধ করে দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এরপর সাত বছর আগে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের ৫৯টি বন্ধ রেলস্টেশনের সঙ্গে এটিও চালু করা হয়। কিন্তু এক বছরের মাথায় এর কার্যক্রম আবারও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

শ্রীপুর রেলস্টেশন মাস্টার শামীমা জাহান বলেন, ‘সাতখামাইর রেলস্টেশনে ট্রেন থামানো ও অন্যান্য দাবিতে এলাকার লোকজন মানববন্ধন করছেন বলে জেনেছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দ্বিতীয় দিনের মতো মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ঘেরাও, হাতিয়ে নেওয়া টাকা ফেরতের দাবি
  • ইউএনও অফিস ঘেরাও করে টাকা ফেরত দাবি
  • চাকসু নির্বাচনের দাবি বিপ্লবী ছাত্রসমাজের
  • লাল পতাকা দেখিয়ে দুই দফা ট্রেন আটকালেন এলাকাবাসী, স্টেশন চালুর দাবি
  • হামলায় শিক্ষার্থীর পা কেটে ফেলার ঘটনায় বিক্ষোভ
  • ধর্ষকদের শাস্তি দাবিতে শাবিতে মানববন্ধন
  • সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে শাবিপ্রবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
  • কুমিল্লায় চণ্ডীমূড়া মন্দিরের সামনে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে দুপক্ষের উত্তেজনা
  • প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে মিছিল নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের বিদেশফেরতপ্রবাসীরা
  • অশ্রু আর ভালোবাসায় মামুন রেজাকে চিরবিদায়