গত বছরের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় গাজীপুর নগরের কোনাবাড়ী থানায় নতুন করে একটি মামলা হয়েছে। এতে আসামি হিসেবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ ২২৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৫০ জনকে।

গতকাল শনিবার রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার শিয়ালকোলা গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আজ রোববার বিকেলে মামলার তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

সালাউদ্দিন।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাদী নূর মোহাম্মদ গত ৮ এপ্রিল গাজীপুর আদালতে হাজির হয়ে মামলাটির আবেদন করেন। পরে আদালতের বিচারক মামলার বিষয়ে শুনানি করে অভিযোগটিকে মামলা হিসেবে রেকর্ডের জন্য কোনাবাড়ী থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ছাড়াও সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমানের নির্দেশে বাসন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল বারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রকিব সরকার, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শান্ত বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. হীরা সরকারসহ সাড়ে তিন শতাধিক নেতা-কর্মী কোনাবাড়ী এলাকায় হামলা–ভাঙচুর করেন। এ সময় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। তাঁদের মধ্যে বাদী নিজেও ছিলেন।

কোনাবাড়ী থানার ওসি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় আর কোনো মামলা না নেওয়ার নির্দেশ থাকায় বাদী আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে মামলাটি করা হয়েছে। তবে ওই মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আসামিরা সবাই পলাতক আছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

নভেম্বরে কি রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হতে যাচ্ছে

সংস্কার প্রশ্নে গত প্রায় সাড়ে আট মাস রাজনৈতিক দলগুলো ছিল আলোচনার টেবিলে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে সবকিছু। কিন্তু নভেম্বরে আবার রাজপথে কর্মসূচি নিয়ে নেমেছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলো। একদিকে সংস্কার বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে ভিন্নমত, অন্যদিকে দ্রুত এগিয়ে আসছে নির্বাচনের সময়। এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মাঠের কর্মসূচি নিয়ে নামার পেছনে নির্বাচনের প্রস্তুতি, নাকি রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত করার ইঙ্গিত—এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ