নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখা হচ্ছিল। মাঠেও দেখা গেল তার প্রতিফলন। দুই ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে খালেদ আহমেদ এবং শরিফুল ইসলামদের বোলিং তোপে ৩৪.৩ ওভারে ১৪৭ রানেই গুটিয়ে গেল নিউ জিল্যান্ড।

সোমবার (০৫ মে) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন নিউ জিল্যান্ডের অধিনায়ক নিক কেলি। ফিল্ডিং করতে নেমেই নিজেদের বোলিং ইউনিটের শক্তি দেখিয়ে দেয় বাংলাদেশ।

শুরু থেকেই বাংলাদেশের দুই পেসার খালেদ আহমেদ এবং শরিফুল ইসলাম গতির ঝড় তোলেন। সেই ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় কিউই ব্যাটিং লাইনআপ। আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন তারা। তাতে পঞ্চাশের আগে ৫ উইকেট হারানো কিউইরা একশর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল। তাদের মান রক্ষা করেন সাত নম্বরে নামা ডি ডিন ফক্সক্রফ্ট। তিনি সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন ৬৪ বলে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০ বলে ৪২ রান করেন ওপেনার রেইস মারিউ।

আরো পড়ুন:

‘এ’ দলে ৩৬ উইকেট পাওয়া পেসার এনামুল

শান্ত কেন দলে, বিপিএল সেরা হয়েও মিরাজ কেন নেই?

দলের বাকি ৯ ব্যাটারের সবাই আউট হয়েছেন মোবাইল ডিজিটের ঘরে। এর মধ্যে টপ অর্ডারের ৪ জনসহ মোট ৫ ব্যাটার কোনো রান না করেই ফিরে গেছেন ড্রেসিংরুমে।

নিউ জিল্যান্ডের ইনিংসে ব্যাটিং ধ্বস নামানোর দুই কারিগর খালেদ ও শরিফুল। তাদের সঙ্গে যোগ দেন স্পিনার তানভীর ইসলামও। খালেদ ও তানভীর সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন। শরিফুল ও এবাদত হোসেন নেন ২টি করে উইকেট।

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

রাবি রেজিস্ট্রারের নেতৃত্বে তদন্তে ‘গড়িমসি’, সদস্যের পদত্যাগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরীকে নিয়ে তদন্তে গড়িমসি করার অভিযোগে কমিটির এক সদস্য পদত্যাগ করেছেন।

পদত্যাগকারী তদন্ত কমিটির সদস্য হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম পিটার।

রবিবার (৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বরাবর এ পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

আরো পড়ুন:

রাবিতে বিভাগের জুনিয়রদের টানা ৫ ঘণ্টা র‌্যাগিং, বিচার দাবি

বহিরাগতদের নিয়ে রাবি ছাত্রদলের মিছিল, সাইকেল চুরির অভিযোগ

জানা যায়, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মামুনের বিরুদ্ধে বিভাগের সেশনজট, অর্থ কেলেঙ্কারি, যৌন হয়রানি, পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তনসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ড. মামুনকে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে রাবি প্রশাসন।

এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়, রাবি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এএফএম মাসুদ আখতার, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক শাফিউল ইসলাম এবং আইন বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম পিটার।

পদত্যাগপত্রে অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম বলেন, গত ৩১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রী নির্যাতন ও পরীক্ষার ফলাফল ম্যানিপুলেট (পরিবর্তন) করার মাধ্যমে ভালো ছাত্র-ছাত্রীদের খারাপ ফলাফল প্রদানের অভিযোগ তদন্তের জন্য অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

ছয় মাস আগে কমিটি গঠিত হলেও আহ্বায়ক এ পর্যন্ত একটি মিটিং ডেকেছেন। আহ্বায়ককে বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও তিনি তদন্তের কাজ অগ্রসরে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। কনভেনরের আচরণে মনে হচ্ছে তিনি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণে আগ্রহী নন।

তিনি আরো বলেন, এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নির্যাতনকারী শিক্ষকের নিরাপত্তা বিধানকারী কমিটির আহ্বায়কের সঙ্গে কাজ করলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনকারী ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে আমার কোনো পার্থক্য থাকবে না। তাই আমি ন্যায়বিচারের স্বার্থে ও স্বাধীন বাংলাদেশে অন্যায়ের অ্যাকমপ্লাইচ (সহযোগী) শিক্ষক হওয়ার দায় এড়ানোর জন্য তদন্ত কমিটি থেকে পদত্যাগ করলাম। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদুল ইসলাম বলেন, “আমি আমার পদত্যাগপত্র উপাচার্য স্যারের কাছে জমা দিয়েছি। আমার মনে হয়, এটি পাবলিকলি প্রচার হওয়া উচিত। ছাত্রদের জীবনের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। অন্তত আমরা এই ছাত্রদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারি, সে বিষয়ে আমাদের তৎপর হওয়া উচিত।”

তিনি আরো বলেন, “যে শিক্ষক ২৪-এর আন্দোলনে না যাওয়ার জন শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখাতেন, তার তদন্ত করতে এত গড়িমসি কেন? আমার মনে হয়, ওই শিক্ষকদের সঙ্গে তলে তলে লিয়েজোঁ চলছে। তদন্ত কমিটির কোনো অগ্রগতি নেই, প্রায় সাত মাস পার হলেও মিটিং হয়েছে মাত্র একটি। অথচ এর আগে আমি এক তদন্ত কমিটিতে ছিলাম, ২ মাসের মধ্যে তদন্ত কমিটির কাজ শেষ করে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখার আলম মাসউদ বলেন, “আমার বলার কিছুই নেই। নিজেদের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা না করে সবসময়ই উনি ভাইরাল হতে চান। আমরা কাজ করছি। মিটিং করে কাজ ভাগ করে নিয়েছি। তবে কার্যক্রমটা আরও গতিশীল হতে হত। তদন্ত কমিটির কাজ খুব দ্রুতই শেষ করতে পারব, ইনশাআল্লাহ্।”

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীবকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ