Prothomalo:
2025-06-21@20:09:25 GMT

নভেরাকে নিয়ে যত বই

Published: 6th, May 2025 GMT

গত শতকের পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে একঝাঁক চিত্রকরের হাত ধরে এ দেশের শিল্পকলায় যে অভূতপূর্ব বিকাশ সাধিত হয়েছিল, সেখানে একজন ভাস্করের আবির্ভাব ছিল তুমুল আশাজাগানিয়া। সেই ভাস্করের নাম নভেরা আহমেদ। তাঁর কাজের সঙ্গে এ অঞ্চলের শিল্পপ্রেমীদের প্রথম পরিচয় ঘটে ১৯৫৭ সালে হামিদুর রাহমান ও নভেরা আহমেদের যৌথ প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে।

যৌথ প্রদর্শনীটির তিন বছর পর ১৯৬০ সালের ৭-১৬ মার্চ ১০ দিনব্যাপী ঢাকার সেন্ট্রাল পাবলিক লাইব্রেরিতে নভেরার প্রথম একক ভাস্কর্য প্রদর্শনীর আয়োজন করে তৎকালীন পাকিস্তান জাতিসংঘ সমিতি। ‘অন্তর্দৃষ্টি’ শিরোনামে ওই প্রদর্শনীতে ৭৫টি ভাস্কর্য প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে ২৬ বছরের তরুণী ভাস্কর এ দেশের শিল্পকলায় এক নতুন পালক যুক্ত করেন। শিল্প–গবেষকদের মতে, এ ভূখণ্ডে সেটিই ছিল প্রথম আধুনিক ভাস্কর্য প্রদর্শনী। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর লে.

জেনারেল মোহাম্মদ আজম খান প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করেন।

নভেরা আহমেদ, সম্পাদনা আবুল হাসনাত, বেঙ্গল পাবলিকেশন, ২০১৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ স কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে, আলোচনায় অগ্রগতি নেই

ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা বন্ধের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। সংঘাত বন্ধে বিভিন্ন পর্যায়ে চলছে কূটনৈতিক তৎপরতা। জরুরি অধিবেশন হয়েছে জাতিসংঘে। চলমান সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের বিষয়ে ইরান কিছুটা আগ্রহ দেখালেও হামলা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বেপরোয়া ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে সংঘাত নিরসনের আলোচনায় কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

গতকাল শনিবার সংঘাতের নবম দিনেও ইরানের দুই সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। হামলা হয়েছে ইরানের একটি পরমাণু স্থাপনায়। তেল আবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইরানও। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে দেশটির একাধিক বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

এ সংঘাত থামাতে কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্যে গতকাল তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। শহরটিতে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্যদেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানে আরাগচি জানান, ইরানে ইসরায়েলের হামলা বন্ধ হলেই কেবল তেহরানের কূটনৈতিক সমাধানের পথে ফেরা সম্ভব।

এতে আপত্তি রয়েছে ইসরায়েলের। দেশটির নেতাদের দাবি, ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে। এ সক্ষমতা ধ্বংসের যে লক্ষ্য নিয়ে তারা হামলা শুরু করেছে, তা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত থামাবে না। এ হামলার শুরু থেকেই ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে গতকাল আরাগচি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের আলোচনায় ফেরা সম্ভব নয়।

ইরানের পরমাণু প্রকল্পগুলো নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের ওই আলোচনা চলছিল। ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর তা স্থগিত করে তেহরান। ইরানকে ওই আলোচনায় ফেরানোর লক্ষ্যে গত শুক্রবার জেনেভায় আব্বাস আরাগচির সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান। ওই আলোচনা ‘গঠনমূলক’ হয়েছে বলে দুই পক্ষই জানালেও শিগগিরই সংঘাত বন্ধের বিষয়ে কোনো আশার কথা শোনাতে পারেনি। শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশন থেকেও ইতিবাচক কোনো সংবাদ আসেনি।

সংঘাত বন্ধের কূটনৈতিক সমাধানে অগ্রগতির জন্য ইরানের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে বলে মনে করেন তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোহরেহ খারাজমি। আল–জাজিরাকে তিনি বলেন, পশ্চিমাদের ওপর ইরানের কোনো আস্থা নেই। তারা একদিকে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসছে, অপর দিকে হামলার জন্য ইসরায়েলকে সবুজসংকেত দিয়ে যাচ্ছে। কূটনীতি যেন সফল হয়, সে জন্য ইরানের সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানাতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বি–২ বিমানের উড্ডয়ন

নিউইয়র্ক টাইমস–এর খবরে বলা হয়, গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের হোয়াইটম্যান ঘাঁটি থেকে একাধিক বি–২ বোমারু বিমান উড্ডয়ন করে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে যাচ্ছে। উড়োজাহাজের চলাচলের হালনাগাদ তথ্য দেয়—এমন বিভিন্ন ওয়েবসাইটের খবরে বলা হচ্ছে, বোমারু বিমানগুলোর গন্তব্য প্রশান্ত মহাসাগরে গুয়াম দ্বীপ। সেখানে একাধিক মার্কিন সামরিক স্থাপনা রয়েছে।

বি–২ বোমারু বিমানগুলোর গন্তব্য গুয়াম কি না, তা নিশ্চিত হতে পারেনি নিউইয়র্ক টাইমস। তবে আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এ উড়োজাহাজগুলো গুয়াম থেকে ভারত মহাসাগরের দিয়েগো গার্সিয়া ঘাঁটিতে নেওয়া হতে পারে। দিয়েগো গার্সিয়ায় বি–২ মোতায়েনের অর্থ হলো সেখান থেকে ওড়ার পর মাত্র একবার জ্বালানি নিয়ে (রিফুয়েলিং) সেগুলো ইরানে হামলা চালাতে পারবে।

বি–২ বোমারু বিমানগুলো স্টেলথ বা রাডার ফাঁকি দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। সেগুলো ১৩ হাজার ৬০০ কেজি ওজনের ‘বাংকার-বাস্টার’ বোমা বহনে সক্ষম। এ বোমা ইরানের ভূগর্ভস্থ ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে বলে আলোচনা রয়েছে। তবে উড়োজাহাজগুলো গুয়াম বা দিয়াগো গার্সিয়ার নেওয়ার অর্থ এই নয় যে সেগুলো শেষ পর্যন্ত ইরানে হামলায় ব্যবহার করা হবে।

বোমারু বিমানগুলো এমন সময় উড্ডয়ন করেছে, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিউজার্সি থেকে তাঁর অবকাশযাপন সংক্ষিপ্ত করে হোয়াইট হাউসে ফিরেছেন। সেখানে তিনি স্থানীয় সময় গতকাল সন্ধ্যা ও আজ রোববার দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

এর আগে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ইরানে হামলা চালাতে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা অনুমোদন করেন। সেদিন রাতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট সাংবাদিকদের সামনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি বিবৃতি পড়ে শোনান। এতে ট্রাম্প বলেন, ‘নিকট ভবিষ্যতে ইরানের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। আলোচনা না-ও হতে পারে। এর ওপর ভিত্তি করে (সংঘাতে) যাব কি যাব না, সে বিষয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব।’

ইরানের আরও দুই সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যার দাবি

পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে গতকাল ইরানের সামরিক বাহিনীর আরও দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। তাঁদের একজন হলেন কুদস ফোর্সের ফিলিস্তিন কোরের প্রধান সাঈদ ইজাদি। কুদস ফোর্স ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) বিদেশ শাখা। অপরজন হলেন আইআরজিসির শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার বেনহাম শারিয়ারি।

ইসরায়েলের দাবি, ইজাদিকে হত্যা করা হয়েছে ইরানের কোম শহরে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার আগে হামাসকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে বেনহাম শারিয়ারিকে হত্যা করা হয় তেহরানে। মধ্যপ্রাচ্যের তেহরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস, হিজবুল্লাহ ও হুতিকে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট সরবরাহ করেছিলেন এই সামরিক কমান্ডার।

ইরানের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গতকাল কোম শহরে ইসরায়েলের হামলায় একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে ১৬ বছর বয়সী একজন নিহত ও দুজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অপর দিকে খোররামবাদ শহরে নিজেদের বাহিনীর পাঁচ সদস্য নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে আইআরজিসি। তবে তাঁদের মধ্যে সাইদ ইজাদি আছেন কি না, তা জানানো হয়নি।

গতকাল ও আগের দিন রাতে ইরানের তেহরান, ইসফাহান, আহভাজসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা করে ইসরায়েল। আর ইসফাহানের হামলায় সেখানে অবস্থিত পরমাণু স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, দেশটিতে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন চার শতাধিক মানুষ। আহত হয়েছেন তিন হাজারের বেশি মানুষ।

ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার মতো ইরানেও ইসরায়েল মিথ্যা অজুহাতে হামলা চালাচ্ছে বলে দাবি করেন ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমা মোহাজেরানি। আল–জাজিরাকে তিনি বলেন, পারমাণবিক অস্ত্রের কথা বলে ইরানে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইরাকেও একই ধরনের অজুহাত দেখানো হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত দেশটিতে রাসায়নিক অস্ত্র পাওয়া যায়নি। বিগত ২০০ বছরে ইরান কোনো যুদ্ধ শুরু করেনি। তেহরানের এমন কোনো ইচ্ছাও নেই।

ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলে হামলা

ইরানের বিপ্লবী গার্ড কোর জানিয়েছে, সংঘাত শুরুর পর গতকাল তারা ইসরায়েলে ১৮তম বারের মতো হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে স্থানীয়ভাবে তৈরি শাহেদ–১৩৬ ড্রোন। এক বিবৃতিতে বিপ্লবী গার্ড জানিয়েছে, ইসরায়েলের সবচেয়ে আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তাদের এ হামলা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ হামলা চলতে থাকবে।

গতকাল ও আগের দিন রাতে তেল আবিবে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এ সময় তেল আবিবের হোলন এলাকায় একটি ভবনে আগুন ধরে যায়। ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, গতকাল ইসরায়েলে অন্তত ৪০টি ড্রোন ছোড়ে ইরান। এ ছাড়া সংঘাতের শুরু থেকে ইসরায়েলে প্রায় সাড়ে ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ও ৪ শতাধিক ড্রোন হামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ থেকে ১০ শতাংশ আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।

এরই মধ্যে ইরান–ইসরায়েল সংঘাত ঘিরে গতকাল আবারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। হুতিদের সামরিক মুখপাত্রের বরাতে ইয়েমেনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানে হামলায় যুক্ত হয়, তাহলে তারা লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাবে। আরব বা মুসলিম দেশগুলোয় ‘জায়নবাদী’ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হুতিরা অটল অবস্থানে রয়েছে।

সংঘাত শুরুর পর থেকে ইরানে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছিল ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলো। গতকাল ইরানের কোম প্রদেশের গোয়েন্দা পুলিশের প্রধানের বরাতে দেশটির বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের গুপ্তচর সন্দেহে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। তবে ওই ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এ ছাড়া ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় খুজিস্তান প্রদেশে মোসাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ইসরায়েলকে চাপ দিতে চান না ট্রাম্প

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানে হামলা কমানোর জন্য ইসরায়েলকে চাপ দেবেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যে সাংবাদিকদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি মনে করি, এ মুহূর্তে এমন ধরনের অনুরোধ করা খুবই কঠিন। পরাজিত হচ্ছে এমন কাউকে অনুরোধ করার চেয়ে, জয়ী হতে যাচ্ছে এমন কাউকে এ অনুরোধ করাটা একটু বেশি কঠিন।’

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের সমালোচনাও করেন ট্রাম্প। গত মার্চে গ্যাবার্ড বলেছিলেন, ২০০৩ সালে নিজেদের পরমাণু প্রকল্পগুলো স্থগিত করার পর ইরান তা আর শুরু করেনি বলে জানতে পেরেছে মার্কিন গোয়েন্দ সংস্থাগুলো। এ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, তুলসী গ্যাবার্ড ভুল বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য ভুল।

তবে পরে অবশ্য ভিন্ন কথা বলেছেন তুলসী গ্যাবার্ড। ট্রাম্পের সমালোচনার পর তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে তিনি যেসব কথা বলেছিলেন, তা সংবাদমাধ্যমগুলো ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে। তিনি বিশ্বাস করেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম ইরান।

ইরানের পরমাণু প্রকল্পগুলো নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। গতকাল স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, রাশিয়া বারবার ইসরায়েলকে জানিয়েছে যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে—এমন কোনো প্রমাণ নেই। রাশিয়া ইরানকে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি উন্নয়নে সহায়তা করতে প্রস্তুত।

এমন পরিস্থিতিতে যদি ইরানের পরমাণু প্রকল্পকে অজুহাত দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে যোগ দেয়, তবে তা ‘খুবই বিপজ্জনক’ হবে বলে মনে করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু অস্ত্রের বিষয়ে ওয়াশিংটন এখনো কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। নিজেদের পারমাণবিক প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে প্রস্তুত রয়েছে ইরান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ