গত শতকের পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে একঝাঁক চিত্রকরের হাত ধরে এ দেশের শিল্পকলায় যে অভূতপূর্ব বিকাশ সাধিত হয়েছিল, সেখানে একজন ভাস্করের আবির্ভাব ছিল তুমুল আশাজাগানিয়া। সেই ভাস্করের নাম নভেরা আহমেদ। তাঁর কাজের সঙ্গে এ অঞ্চলের শিল্পপ্রেমীদের প্রথম পরিচয় ঘটে ১৯৫৭ সালে হামিদুর রাহমান ও নভেরা আহমেদের যৌথ প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে।
যৌথ প্রদর্শনীটির তিন বছর পর ১৯৬০ সালের ৭-১৬ মার্চ ১০ দিনব্যাপী ঢাকার সেন্ট্রাল পাবলিক লাইব্রেরিতে নভেরার প্রথম একক ভাস্কর্য প্রদর্শনীর আয়োজন করে তৎকালীন পাকিস্তান জাতিসংঘ সমিতি। ‘অন্তর্দৃষ্টি’ শিরোনামে ওই প্রদর্শনীতে ৭৫টি ভাস্কর্য প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে ২৬ বছরের তরুণী ভাস্কর এ দেশের শিল্পকলায় এক নতুন পালক যুক্ত করেন। শিল্প–গবেষকদের মতে, এ ভূখণ্ডে সেটিই ছিল প্রথম আধুনিক ভাস্কর্য প্রদর্শনী। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর লে.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ স কর
এছাড়াও পড়ুন:
জামায়াত নেতা আজহারুলের পরবর্তী আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের প্রথম দিনের শুনানি শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আদালতে জামায়াত নেতার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
এদিন শুনানিকালে এজলাস কক্ষে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, নুরুল ইসলাম বুলবুলসহ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহারুল। আপিল শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ। ২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তা পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম।
ঢাকা/এম/রফিক