রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু
Published: 6th, May 2025 GMT
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী ও বাড্ডা থানা এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল রাতে খিলগাঁওয়ের রসুলবাগ এলাকায় শিহাবুল ইসলাম (২৪) নামে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। রাতে দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিহাবুলের বড় বোন উম্মে সাইমা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাই ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। একটি সেমিস্টারে পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থেকে তিনি উদ্বেগে ছিলেন। এর জেরে আত্মহত্যা করেছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো.
এদিকে খিলগাঁওয়ের উত্তর গোড়ানের নবীনবাগ এলাকায় সামিয়া আক্তার (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রী বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে তার পরিবার। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইলিয়াস মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে সামিয়াকে পরিবারের সদস্যরা মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
এর আগে গতকাল যাত্রাবাড়ীর কাজলার ভাঙা এলাকার মাদবর গলির একটি বাসা থেকে প্রিয়ন্তী সরকার (১৪) নামের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানিয়েছেন।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, লেখাপড়া নিয়ে শাসন করায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অভিমান করে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব র র সদস ম ড ক ল কল জ প রথম আল ক এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
এসআইকে মারধর করে পুলিশে হস্তান্তর
বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি এসআই সুকান্ত দাশকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে কিছু ব্যক্তি। মঙ্গলবার বিকেলে খুলনা নগরীর ইস্টার্ন গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ রিপোর্ট লেখার সময় তিনি খানজাহান আলী থানা পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। গত বছর গণঅভ্যুত্থানের পর সুকান্তের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে।
কেএমপি থেকে জানা গেছে, এসআই সুকান্ত দীর্ঘদিন সোনাডাঙ্গা থানায় কর্মরত ছিলেন। ২০২৩ সালে তাঁকে খুলনা সদর থানায় বদলি করা হয়। গণঅভ্যুত্থানের পর প্রথমে তাঁকে ঢাকায় ও পরে চুয়াডাঙ্গায় বদলি করা হয়। একটি মামলার সাক্ষ্য দিতে মঙ্গলবার তিনি খুলনায় আসেন। সাক্ষ্য দিয়ে ফেরার পথে তাঁকে মারধর করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ইস্টার্ন গেট এলাকায় বিএনপির একটি কর্মসূচি ছিল। এ সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাচ্ছিলেন সুকান্ত। অটোরিকশা ইস্টার্ন গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আরও যাত্রী ওঠানোর সময় বিএনপির কিছু নেতাকর্মী সুকান্তকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে। পরে দলের সিনিয়র নেতারা তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য শরিফুল ইসলাম টিপু বলেন, উত্তেজিত লোকজন এসআই সুকান্তকে মারধর করে। নিরাপত্তার কথা ভেবে তাঁকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিএনপির কেউ মারধরে জড়িত নয়। তিনি বলেন, খুলনায় কর্মরত অবস্থায় বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর সীমাহীন নির্যাতন করেছেন সুকান্ত।
খানজাহান আলী থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, নিরাপত্তার জন্য এসআই সুকান্তকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাঁর শরীরে তেমন আঘাত লাগেনি, শুধু গায়ের টি-শার্ট ছিঁড়ে গেছে।