কেউ করছেন টিকটক, কেউবা সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন টিভিতে। ফেসবুক লাইভে আশপাশের পরিবেশ দেখাচ্ছেন কেউ কেউ। মঙ্গলবার সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির (সিসিটি) ভেন্যুতে এসে এমন চিত্রই প্রথম চোখে পড়ে। ৫ মে থেকে জমেছে দেশের বিনোদন তারকাদের মিলনমেলা, যা শেষ হবে ১৩ মে।
প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় দিনে এদিন মাঠে নামে জেভিকো কিংস ও গিগাবাইট টাইটানস। দুই দলের হয়ে এদিন তারকাদের মধ্যে সিয়াম আহমেদ, আরিফিন রুমি, জোহাদ রেজা, জিয়াউল রোশান, রাশেদ সীমান্ত, সাঞ্জু জন, পার্থ শেখ, সাইদুর রহমান পাভেল, রাফসান সাবাবরা। নারী তারকাদের মধ্যে আফসান আরা বিন্দু, মেহজাবীন চৌধুরী, মৌসুমী হামিদসহ ছোট পর্দা ও র‌্যাম্পের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

২০ ওভারের ম্যাচ হয়েছে দুই ভাগে। নারী তারকারা ২ ওভার খেলেছেন। বাকি ১৮ ওভার নির্ধারিত ছিল পুরুষ তারকাদের। নারীদের ম্যাচ তেমন না জমলেও দর্শকদের বিনোদন দিয়েছে। পুরুষ তারকারাও প্যাভিলিয়ন থেকে তাঁদের উৎসাহ জুগিয়েছেন। তবে পুরুষদের ম্যাচ হয়েছে বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। নারী ও পুরুষ—উভয় ম্যাচে জয় পেয়েছে গিগাবাইট টাইটানস। নারী দল জেভিকো কিংসকে হারিয়েছে ১০ উইকেটে। আর পুরুষ তারকারা ৫ উইকেটের জয় পেয়েছেন। ম্যাচে সর্বোচ্চ রান ও উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন অভিনেতা পাভেল।
পুরো ম্যাচে একাধিক তারকার খেলা দর্শকের চোখে আরাম দিয়েছে। তাঁদের একেকটা শট, ফিল্ডিং ও বোলিং–দক্ষতায় মনে হয়নি তাঁরা পেশাদার ক্রিকেটারদের চেয়ে পিছিয়ে আছেন। এদিন জেভিকো কিংসের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে চিত্রনায়ক জিয়াউল রোশানের ব্যাট থেকে। ব্যক্তিগত ৩৮ বলে ৩৭ রানের ইনিংসে বেশ কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন শট খেলেন তিনি। ৪ ওভার বোলিং করে ৩৭ রান দিয়ে ২টি উইকেটও তিনি সংগ্রহ করেন। টাইটানসের হয়ে পাভেল ১৭ বলে ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন, বোলিং করতে এসে নিয়েছেন ২টি উইকেট।

জেভিকো কিংস টিম.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁধন বললেন, ‘প্রত্যাশার চেয়েও বেশি পেয়েছি’

ঈদে মুক্তি পেয়েছে সানী সানোয়ারের সিনেমা ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন। শুরুতে থ্রিলার সিনেমাটি নিয়ে মানুষের আগ্রহ না থাকলেও ধীরে ধীরে দর্শক টানছে সিনেমাটি। গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোর আয়োজন মেরিল-ক্যাফে লাইভে অতিথি হয়ে এসেছিলেন বাঁধন। সেখানেই নারীপ্রধান সিনেমা নিয়ে কথা বলেন অভিনেত্রী।

বাঁধন বলেন, ‘আমাদের এখানে তো নারীপ্রধান সিনেমা হয়ই না। আর হলেও ঈদে মুক্তি দেবে, এই সাহস করার তো প্রশ্নই ওঠে না। আমাদের এটা তো পুরুষপ্রধান ইন্ডাস্ট্রি। এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমাদের গণমানুষ যাঁরা আছেন, বেশির ভাগই ভায়োলেন্স সিনেমা পছন্দ করেন...। আমার পর্যবেক্ষণ হলো, যেসব সিনেমায় নারীদের হেয় করে দেখানো হয়, সেসব সিনেমা গ্রহণযোগ্যতা একটু বেশি পায়। এটা আমাদের সমাজব্যবস্থার একটা প্রতিফলন। সেখান থেকে নারীপ্রধান একটা সিনেমা, যেখানে ওই অর্থে নায়ক নেই, আইটেম গান নেই, এমন কোনো অ্যাকশন নেই...যা আছে সেটা বাস্তবসম্মত। সব মিলিয়ে এমন সিনেমা থেকে খুব বেশি প্রত্যাশা করিনি, সে জায়গা থেকে বেশি পেয়েছি।’

আরও পড়ুন‘এশা মার্ডার’, আবারও চমকে দিলেন বাঁধন১৫ জুন ২০২৫

ঈদে প্রায় প্রতিদিনই হলে হলে ঘুরেছেন বাঁধন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস আমার ভালো লেগেছে, সেটা হলো বাংলাদেশের দর্শক সব ধরনের সিনেমার জন্য তৈরি। এখানে “তাণ্ডব” চলছে, “উৎসব” চলছে আবার “ইনসাফ”ও চলছে। সব সিনেমা কিন্তু আলাদা আলাদা। এই যে দর্শকের বাংলা সিনেমার প্রতি একটা ভালোবাসা, এটা কিন্তু অনেক ইতিবাচক দিক। এখন মূল দায়িত্ব পরিচালক ও প্রযোজকদের। তাঁরা এখন বিভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে এগিয়ে আসবেন।’
একই সঙ্গে কেবল বাণিজ্যের কথা না ভেবে সমাজ পরিবর্তনে অবদান রাখবে, এমন সিনেমা বানানোর আহ্বান জানান বাঁধন।

‘এষা মার্ডার’ সিনেমার পোস্টার থেকে। ফেসবুক থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ