মাদক সম্পৃক্ততার দায়ে কুবির ৪ শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশ
Published: 7th, May 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বিজয়-২৪ হল থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় চার শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে হল প্রশাসন।
এদের মধ্যে, দুই শিক্ষার্থীকে বুধবার বিকেলে ৫টার মধ্যে এবং পরীক্ষা থাকায় বাকি দুই শিক্ষার্থীকে আগামীকাল পরীক্ষার শেষ হওয়ার পরই হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (০৭ মে) সন্ধ্যায় বিজয়-২৪ হলের প্রাধ্যক্ষ ড.
আরো পড়ুন:
কুবির বিজয়-২৪ হল থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার
ব্যবসায় স্বাবলম্বী কুবি শিক্ষার্থী রাফি ও বন্যা
ওই চার শিক্ষার্থী হলেন- কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াসিফুল ইসলাম সাদিফ, একই শিক্ষাবর্ষের লোকপ্রশাসন বিভাগের আরিফ আশহাফ, ফার্মেসি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সাইফ হাসান জিদনী এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল খান। এর মধ্যে ওয়াসিফুল ও আরিফকে বুধবার হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ধুমপান ও মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণার পর থেকে নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ অভিযানের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৬ মে) রাত ১১টার দিকে বিজয়-২৪ হলে অভিযান চালিয়ে তিনটি কক্ষ থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এরইসঙ্গে চারজন শিক্ষার্থীকে সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় বলে জানান হল প্রাধ্যক্ষ।
এ বিষয়ে বিজয়-২৪ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান খাঁন বলেন, “কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ওয়াসিফুল ইসলাম সাদিফ, লোকপ্রশাসন বিভাগের আরিফ আশরাফকে আজই হল ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে। তারা দুজন ইতোমধ্যে চলে গেছে।”
তিনি বলেন, “আর ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফ হাসান জিদনী এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল খানের কাল (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা রয়েছে। তাদের পরীক্ষা শেষ হলে আগামীকালের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, “প্রাধ্যক্ষের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে তাদের বিষয়টি আলোচনা করা হবে। এরপর ওই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক ষ বর ষ র হল ছ ড় পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
তীব্র অপুষ্টিতে ১২ হাজার শিশু
ফিলিস্তিনের গাজায় খাদ্যসংকটের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী শিশুরা। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে খাবার না পেয়ে শিশুমৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে, গাজায় এখন পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। আর চলতি বছরের শুরু থেকে অনাহারে মৃত্যু হয়েছে ৯৯ ফিলিস্তিনির। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জনই শিশু।
শিশুদের দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টি নিয়ে সতর্ক করে জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় পাঁচ বছরের নিচের ২ লাখ ৯০ হাজার শিশুর মধ্যে মাত্র ৮ হাজার ৭০০ শিশুকে প্রয়োজনীয় খাবার ও পুষ্টি উপকরণ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে ডব্লিউএইচওর সদর দপ্তরে মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, জুলাই মাসে গাজায় পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশুকে শনাক্ত করা হয়েছে, যারা তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করা তথ্য অনুযায়ী, এটিই এক মাসে সর্বোচ্চসংখ্যক শিশুর অনাহারে থাকার ঘটনা।
তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস