৮ মে বিশ্ব গাধা দিবস। মানব সমাজে গাধার প্রভাব উপলব্ধি করতে উদ্বুদ্ধ করে দিবসটি। গাধার গুরুত্ব এবং এই প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
পণ্য পরিবহণের ইতিহাসের সঙ্গে গাধার ইতিহাস গভীরভাবে জড়িত। মানব সভ্যতার ইতিহাসে যুদ্ধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে গাধার। এছাড়া নির্মাণকাজ, কৃষিকাজে গাধাকে যুগে যুগে কাজে লাগানো হয়েছে। চিড়িয়াখানাতেও দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে থাকে গাধা। প্রতিবছর ৮ মে বিশ্ব গাধা দিবসে প্রাণীটি সম্পর্কে তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে তাদের রক্ষার জন্য কাজ করতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হয় এদিন।
বিশ্ব গাধা দিবসে এই প্রাণীটির প্রতি যত্নশীল হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বিষ্ময়কর প্রাণীটি যেন আমাদের গ্রহে বহু বছর ধরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতে আমাদের সচেতন করে তোলে এ দিবস।
অনেক সংস্থা ও এনজিও গাধার খাদ্য ও পরিচর্যা করে থাকে। এই দিবসে ওই সব সংস্থা বা এনজিওকে অর্থ সাহায্য দিতে পারেন। আর নিজে নিজেকে বলতে পারেন, এই প্রাণীটি আসলে বোকা নয়, প্রাণীটি সব মেনে নেয়, অক্লান্ত পরিশ্রম করে। গাধার প্রতি চিন্তা-ভাবনা পাল্টে নিতে পারেন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব
হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা
পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন
সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”
সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”
তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”
তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী