রবীন্দ্রনাথের ‘মুক্তধারা’, বৈশ্বিক জল-রাজনীতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
Published: 8th, May 2025 GMT
‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হবে পানি নিয়ে’- ২০১৫ সালে ‘স্টকহোম ওয়াটার প্রাইজ’ ও ভারতের ‘জলমানব’ খেতাবপ্রাপ্ত রাজেন্দ্র সিং এ মন্তব্য করেছিলেন। ওই সালেই কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে NASA জানিয়েছিল যে, বিশ্বের ৩৭টির মধ্যে ২১টি বড় জলের আধারেই পানি কমে গেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে কৃষিপণ্য ও কলকারখানায় উৎপাদন বাড়াতে পানির চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সন্দেহ নেই যে সমসাময়িক পরিস্থিতি এই সংকট আরো নাজুক করে তুলেছে।
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ‘তরুণ ভারত সংঘ’ নামে একটি এনজিও’র মাধ্যমে রাজেন্দ্রগোষ্ঠী ও এলাকাভিওিক পানি ব্যবস্থাপনা ও পানির উৎস বাড়ানোর জন্য রাজস্থানের আলওয়ার জেলায় কাজ করে যাচ্ছেন। সরকার কখনো এই গোষ্ঠীভিত্তিক উদ্যোগকে প্রণোদনা দেয় না। মরুকরণ প্রতিরোধের নামে সরকার সবসময় বড় বাঁধ, কেন্দ্রিয় সেচপদ্ধতি ও পাইপলাইনে পানি সরবরাহের মতো ঠিকাদারী প্রকল্প গ্রহণ করে। এখানে এলাকার জনগণের কোনো অংশগ্রহণ থাকে না। সবই ঠিকাদার করে। এখন রাষ্ট্রে জনগণতন্ত্র অচল, ঠিকাদার চালিত গণতন্ত্র সচল।
মানুষের বেঁচে থাকার ২টি প্রধান উপাদান হলো বায়ু ও পানি। আর সুমিষ্ট পানির প্রধান উৎস হলো নদী। প্রাচীনকালে সভ্যতা সৃষ্টি হয়েছে নদীকে কেন্দ্র করে। নদীর পারেই মানুষ গড়ে তুলেছে বসতি। নদীর প্রবহমানতা জীবনকে সচল রেখেছে যার পরম্পরা এখনো বিদ্যমান, কিন্তু তার সেই স্বাভাবিক প্রবাহ বলপ্রয়োগের মাধ্যমে রুদ্ধ করলে স্বতঃস্ফূর্ত স্পন্দন বাধাগ্রস্ত হয়, যার প্রভাব পড়ে সর্বত্র। তখন বিরূপ প্রকৃতি জনজীবনকে নানাভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। একটি নদী তার উৎস থেকে যাত্রা শুরু করে অনেক দেশ পরিভ্রমণ করে সাগরে মেশে। তার অকৃপণ দানে সব দেশের মানুষই উপকৃত হয়। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির সহযোগিতায় উজানে অবস্থিত রাষ্ট্র বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখলে বা নদীর গতিপথ বদলে দিলে ভাটিতে অবস্থিত দেশে পানি সংকট হয়। ফলে সেখানে মরুকরণের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা যায়। আবার ভরা বর্ষায় চলে বন্যার দাপট। এই উপমহাদেশে বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে পানিবণ্টন সমস্যা গুরুতর প্রাকৃতিক বিপর্যয় সৃষ্টির পাশাপাশি পারস্পরিক সুসম্পর্কের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
আরো পড়ুন:
অবশেষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন
জৌলুস ফিরলেও অরক্ষিত শিলাইদহের কাচারি বাড়ি
জল নিয়ে এই লড়াই আমাদের রবীন্দ্রনাথের ‘মুক্তধারা’ নাটকের কথা মনে করিয়ে দেয়। শতবর্ষ আগে, ১৯২২ সালে রচিত নাটকটিতে রূপকের আড়ালে ঔপনিবেশিক শক্তির নিপীড়নের চিত্র যেমন ফুটে উঠেছে, তেমনি প্রযুক্তির আগ্রাসন মানুষের মানবিক গুণাবলীকে কীভাবে হত্যা করে তাও দেখানো হয়েছে। নাটকে উত্তরাকূটের রাজা রণজিৎ ‘কামারের ছেলে’ বিভূতির সাহায্যে পার্শ্ববর্তী রাজ্য শিবতরাইয়ের প্রজাদের ‘শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য ঝরেনার জলে বাঁধ দিতে সক্ষম হন। দু’বছর ঠিকমতো ফসল না ফলার কারণে তারা রাজার প্রাপ্য খাজনা পরিশোধে ব্যর্থ হয়। কিন্তু রাজার বক্তব্য হলো, ‘এমনতরো দুর্ভিক্ষ তো সেখানে বারেবারেই ঘটে, তাই বলে রাজার প্রাপ্য তো বন্ধ হয় না।’
ক্ষুব্ধ রাজা তখন যুবরাজ অভিজিৎকে সেখানে খাজনা আদায়ের জন্য পাঠান। কিন্তু তাদের দুর্দশা দেখে অভিজিৎ খাজনা আদায় থেকে বিরত থাকে এবং শিবতরাইয়ের পশম বিদেশের হাটে বিক্রির জন্য দীর্ঘ দিন থেকে আটকে রাখা নন্দীসংকটের পথ খুলে দেয়। ফলে উত্তরকূটের অন্নবস্ত্র দুর্লভ হয়ে ওঠে। তাদের প্রতি অভিজিৎ-এর সহানুভূতির প্রকাশকে রাজার ভালো লাগে না। কারণ সে মনে করে, ‘প্রীতি দিয়ে পাওয়া যায় আপন লোককে, পরকে পাওয়া যায় ভয় জাগিয়ে রেখে।’ ক্রমেই অভিজিৎ-এর প্রতি রাজা আস্থা হারাতে লাগলেন। পুত্রের আচরণকে মনে হলো, ‘নিজের লোকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ’। তখন রণজিৎ সরাসরি বলপ্রয়োগের পথে না গিয়ে জল অবরুদ্ধের মাধমে শিবতরাইয়ের প্রজাদের কৃষিকাজের ও তৃষ্ণার জল প্রাপ্তিতে বাধা সৃষ্টি করে ওদের জব্দ করতে চাইলেন। কিন্তু যুবরাজ অভিজিৎ মুক্তধারায় এভাবে বাঁধ দেওয়া মানতে পারেনি। সে রাজাকে এই কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
হতে পারে সে উত্তরকূটের যুবরাজ, কিন্তু শিবতরাইয়ের মানুষও তো তাদেরই। তাদের তৃষ্ণা ও চাষের জল থেকে বঞ্চিত করার এই কৌশল তার কাছে অমানবিক মনে হয়েছে। সে বুঝতে পারে যে, যন্ত্রের এই আস্ফালন মানুষের মঙ্গল বয়ে আনবে না। ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে বিদ্রোহ দেখা দিল। রাজবিদ্রোহ যখন তুঙ্গে তখন একরাতে অভিজিৎ বাঁধের দুর্বল গ্রন্থি কেটে দিল। মুক্তধারার তীব্র প্রবাহ তাকেও ভাসিয়ে নিয়ে গেল। তার আত্মহুতিতে জনবিদ্রোহ সফল হলো। শতবর্ষ আগে লিখিত এই নাটকের কাহিনির সাথে বর্তমান সময়ের জলরাজনীতির কী অদ্ভুত মিল!
অভিন্ন নদীর প্রবাহ রুদ্ধ করে বা গতিপথ বদলে প্রতিবেশী দেশের মানুষকে সংকটে ফেলার এই রাজনীতি অনেক দিন থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশসহ বিশ্বব্যাপী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হিংসার বশবর্তী হয়ে শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো প্রকৃতি শাসনের মাধ্যমে যে সংকট তৈরি করছে তার কারণে অপেক্ষাকৃত দুর্বল রাষ্ট্রগুলো প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারিয়ে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মুখে পড়ছে। বিশ্বে যেখানে সংঘাত চলমান সেখানেই দেখা যায় পানির সংকট। মধ্যপ্রাচ্য বা আফ্রিকা থেকে ইয়োরোপে মানুষের চলমান অভিবাসনের অনেক কারণের একটি হলো পানিসংকট। এক সময় সিরিয়াতে দারুণ ফসল ফলতো। ইউফ্রেটিস নদীতে তুরস্ক বাঁধ দেওয়ায় সব বদলে গেল। লিবিয়ার ক্ষেত্রেও একই কথা। চীন ব্রহ্মপুত্র নদীর একটি শাখার ওপর বাঁধ নির্মাণ করে জলধারাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ব্রহ্মপুত্র নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত। এই বাঁধের ফলে তিনটি দেশেরই ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়াও হুবাই নদীর ইয়াংতজি নদীর ওপর চীনের The Three Gorges Dam ও মেকং নদীর ওপর তৈরি বাঁধ, সুদানের মেরো বাঁধ, ব্রাজিলের Tapajos River Dam, ভারত কর্তৃক চেনাব নদীর ওপর নির্মিত বাগলিহার বাঁধ, সিন্ধুনদের ওপর বাঁধ ও ঝিলাম নদীতে কিষাণগঙ্গা বাঁধের মাধ্যমে পাকিস্তানে নদীপ্রবাহ বন্ধ করার উদ্যোগ; ফারাক্কাবাদ ও সিকিমের তিস্তা বাঁধের মাধ্যমে বাংলাদেশে পানিপ্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি প্রকৃতি ও মানব-বিরোধী কর্মকাণ্ডের খণ্ডিত চিত্র মাত্র। ‘মুক্তধারা’র কাহিনির সাথে এসব কাজের অদ্ভুত মিল রয়েছে।
এই নাটকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি বিষয়ের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে, আর তা হলো উগ্র সাম্প্রদায়িকতা। বিশ্বের উদারবাদী মানুষ আজ এই মহামারির কুফল ভোগ করছে। সাম্রাজ্যবাদের পৃষ্ঠপোষকরা বিশ্বে উগ্রবাদ ছড়িয়ে দিয়ে সুবিধা লুটে নিচ্ছে। শুভবোধ সম্পন্ন মানুষের লড়াই সেখানে হালে পানি পাচ্ছে না। উত্তরকূটের পাঠশালায় শিশুমনে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করা হচ্ছে এভাবে:
রণজিৎ: তোমরা কোথায় যাচ্ছ?
গুরু: আমাদের যন্ত্ররাজ বিভূতিকে মহারাজ শিরোপা দেবেন তাই ছেলেদের নিয়ে যাচ্ছি আনন্দ করতে। যাতে উত্তরকূটের গৌরবে এরা শিশুকাল হতেই গৌরব করতে শেখে তার কোনো উপলক্ষ্যই বাদ দিতে চাই নে।
রণজিৎ: বিভূতি কী করেছে এরা সবাই জানে তো?
ছেলেরা: (লাফাইয়া হাততালি দিয়া) জানি, শিবতরাইয়ের খাবার জল বন্ধ করে দিয়েছেন।
রণজিৎ: কেন দিয়েছেন?
ছেলেরা: (উৎসাহে) ওদের জব্দ করার জন্যে।
রণজিৎ: কেন জব্দ করা?
ছেলেরা: ওরা যে খারাপ লোক।
রণজিৎ: কেন খারাপ?
ছেলেরা: ওরা খুব খারাপ, ভয়ানক খারাপ, সবাই জানে।
রণজিৎ: কেন খারাপ তা জান না?
গুরু: জানে বই কি, মহারাজ। কী রে, তোরা পড়িস নি- বইয়ে পড়িস নি- ওদের ধর্ম খুব খারাপ-
ছেলেরা: হাঁ, হাঁ, ওদের ধর্ম খুব খারাপ।
মিশরের নোবেলজয়ী লেখক নাগিব মাহফুজের ওপর হামলাকারীকে প্রশ্ন করে যে উত্তর পাওয়া গিয়েছিল তার সাথে এই কুশিক্ষার যথেষ্ট মিল খুঁজে পাওয়া যায়। নাগিবের ‘আওলাদ হারিতনা’ (গলির শিশুরা) উপন্যাস ঈশ্বরনিন্দার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল। বিচারক হামলাকারীকে যখন প্রশ্ন করলেন, ‘তুমি কেন তাকে ছুরি মারলে?’ সে উত্তর দিল, ‘তার উপন্যাসের জন্য।’ ‘তুমি কি তার উপন্যাস পড়েছ?’ বিচারক জানতে চাইলেন। ‘না’, সে উত্তর দিল। একই রকম উত্তর পাওয়া গিয়েছিল মিশরের আরেক লেখক ফারাজ ফোদার হত্যাকারীর বয়ান থেকে। একইভাবে বিচারক আসামির কাছে হত্যার কারণ জানতে চাইলে ফারাজ ধর্মত্যাগী নাস্তিক ছিল বলে সে জানায়। ‘একথা সে কোথা থেকে জেনেছে’- এমন প্রশ্নের উত্তরে সে বলে, ‘তার লিখিত গ্রন্থ থেকে।’ কোন গ্রন্থ থেকে সে তা জেনেছে জানতে চাইলে সে উত্তর দেয়, ‘সে লিখতে-পড়তে পারে না।’
ঘৃণা অজ্ঞতা থেকে ছড়ায় আর মতলববাজরা মানুষের অজ্ঞতাকে কাজে লাগায় যেভাবে মুক্তধারার পাঠশালার কোমলমতি শিশুদের অজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে ধর্মীয় উগ্রবাদের সযত্ন লালন-পালন উদারবাদী-শান্তিকামী মানুষের জন্য গভীর সংকট তৈরি করেছে। শুভবোধ সম্পন্ন মানুষের অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে।
‘মুক্তধারা’ নাটকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, শাসকের হাত থেকে প্রকৃতি, জীবন ও জীবিকা রক্ষার নিম্নবর্গীয় সংগ্রাম। সেই সংগ্রাম এক সময় রাজতন্ত্রবিরোধী সংগ্রামের স্তরে উন্নীত হয়। একশো বছর আগেই রবীন্দ্রনাথ এই সংকট উপলব্ধি করেছিলেন। মানবসভ্যতায় প্রকৃতির ভূমিকা, সঠিক উন্নয়নের ধরন, রাজনীতির গতিপ্রকৃতি, মানুষের অবস্থান ইত্যাদি প্রশ্ন তাঁকে ভাবিয়েছে এবং সেইসময়ে দাঁড়িয়েও তিনি এই প্রশ্নগুলোর রাজনৈতিক চরিত্র অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা অর্জনের মধ্য দিয়ে তাকে মানুষের বশ্যতা স্বীকার করানোর ঔদ্ধত্য নিশ্চিতরূপে আত্মবিনাশী তা তিনি ঠিকঠাক চিনে নিতে পেরেছিলেন। এই দুষ্কর্মের প্রতিবাদ কতটা জরুরি তাও উপলব্ধি করেছিলেন। তাই রণজিৎ, বিভূতির মতো চরিত্রের বিপরীতে বুক চিতিয়ে অভিজিৎ, বিশ্বজিৎ ও ধনঞ্জয়রা দাঁড়িয়ে যায়।
রবীন্দ্রনাথ প্রকৃতিবাদী কবি। প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা তাঁর সাহিত্যের বিশেষ এক বৈশিষ্ট্য। প্রকৃতির বিরুদ্ধাচারণ নিয়ে তিনি বারংবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন; সচেতনতা ও সাবধানতা অবলম্বনের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন এবং অনিবার্য সংকট সম্পর্কে যে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিলেন আজ তা সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। ‘মুক্তধারা’ নাটকে রাজার দখলদারি মানসিকতার আড়ালে সাম্রাজ্যবাদী রাজনীতি প্রতীকায়িত হয়েছে। এই শক্তি মানুষের প্রাকৃতিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি তাদের মাঝে উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বীজ বুনে মানুষকে মানুষের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেয়। কিন্তু তখন তারা আর মানুষ থাকে না। সাম্প্রদায়িক পরিচয়ে বিভাজিত হয়ে পড়ে। সভ্যতা তখন থমকে দাঁড়ায়।
অভিজিৎদের আত্মত্যাগ তখন আর যথেষ্ট হয়ে ওঠে না, আরো আত্মত্যাগের জন্য, নতুন করে লড়াই করার জন্য মানুষকে প্রস্তুতি নিতে হয়। কারণ লড়াই কখনো শেষ হয় না।
তারা//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ল ন রব ন দ র র জন য প রব হ র জন ত র র জন রণজ ৎ
এছাড়াও পড়ুন:
রণবীর বলেছিল তোমার শরীর, সিদ্ধান্তও তোমার: দীপিকা
বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন গত বছর কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন। স্বামী রণবীর সিংয়ের সঙ্গে তাঁদের মেয়ের নাম রেখেছেন ‘দুয়া’। মা হওয়ার পর কিছুদিন অভিনয় থেকে বিরতি নিয়েছিলেন দীপিকা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর অন্তঃসত্ত্বার সময় এবং মাতৃত্বের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
সাক্ষাৎকারে দীপিকা বলেন, ‘গর্ভাবস্থার আট–নয় মাস খুব একটা সহজ ছিল না। অনেক জটিলতা ছিল, অনেক কিছু সহ্য করতে হয়েছে আমাকে। এই কঠিন সময়ে পরিবার ও বন্ধুদের সহযোগিতা না পেলে হয়তো এতটা সামলাতে পারতাম না। আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
দীপিকা পাড়ুকোন। ইনস্টাগ্রাম থেকে