কুড়িগ্রাম ও খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের ‘পুশইন’ করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। সংগঠনটি মনে করছে, এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। বরং এটি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির পটভূমিতে বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থানকে চাপে ফেলতে নয়াদিল্লির একটি কৌশলগত চাল।

আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের আগস্টে ভারত-অনুগত দীর্ঘদিনের স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর বহুমুখী কূটনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। এই পুশইনের ঘটনা সেই চাপ প্রয়োগের একটি নগ্ন প্রকাশ, যা রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার ও প্রতিবেশীসুলভ আচরণের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

ভারতের এই ‘পুশইন’ প্রতিশোধের বহিঃপ্রকাশ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, এ ঘটনায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাই হুমকির মুখে পড়ছে না, স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতিরও অবমাননা ঘটছে।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মনে করে, এ ধরনের আচরণ প্রতিরোধে প্রয়োজন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কূটনৈতিক জবাব, জাতিসংঘসহ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাগুলোয় অভিযোগ দেওয়া এবং জাতীয়ভাবে একটি সাহসী ও তথ্যভিত্তিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের আলোকে নিরাপদ ও সম্মানজনকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। তবে ভারতের অপকৌশল মেনে নিয়ে কোনোভাবেই বিষয়টিকে ‘মানবিকতার’ আবরণে লুকানো যাবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা ও তথ্য বিশ্লেষণ জোরদার করে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হবে। এ ঘটনায় বাংলাদেশের জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প শইন

এছাড়াও পড়ুন:

জার্মানিতে ‘জলদানবের’ আতঙ্ক

দক্ষিণ জার্মানির মিটেলফ্রাঙ্কেনের একটি হ্রদে দুই মিটারের বেশি লম্বা একটি মাছের আক্রমণে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ জানায়, একজন পুলিশ অফিসার শেষ পর্যন্ত তাঁর পিস্তল দিয়ে রাক্ষুসে ওয়েলস মাছটিকে গুলি করে মেরেছেন। কর্মকর্তাদের মতে, মাছটির ওজন ছিল প্রায় ৯০ কিলোগ্রাম।

গ্রীষ্মের রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়াতে রোববার ব্যাভেরিয়া রাজ্যের মিটেলফ্রাঙ্কেনের হ্রদে অনেক মানুষ সাঁতার কাটতে নেমেছিলেন। হঠাৎ করে একে একে পাঁচজন রক্তাক্ত শরীর নিয়ে চিৎকার করে হ্রদের তীরে উঠে আসেন। গভীর জলে ‘দানবের’ উপস্থিতিতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন সবাই। ঘটনার আগে কেউ জানতেন না, মিটেলফ্রাঙ্কেনের এই হ্রদে জলদানব মাছটি ঘাঁটি গেড়েছে।

ঘটনার পরপরই স্থানীয় হ্রদরক্ষীরা দ্রুত পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে সাঁতারের পুরো এলাকা বন্ধ করে দেয়। এ সময় হ্রদের পাশে চলতে থাকা একটি সংগীত উৎসবও থমকে যায়।

এর আগে শুক্রবার মিটেলফ্রাঙ্কেনের হ্রদে মাছটি প্রথম দেখা যায়। পুলিশ জানায়, মাছটি দীর্ঘ সময় ধরে হ্রদে ছিল। তবে ইতিপূর্বে মাছটি এমন আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেনি। তবে রোববার ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মাছটি আক্রমণাত্মক আচরণ শুরু করে। এ সময় মাছটি পাঁচজনকে আক্রমণ করে রক্তাক্ত করে। স্থানীয় পুলিশ মুখপাত্র মিশায়েল পেটসল্ড বলেছেন, এ ধরনের ওয়েলস মাছের ক্ষেত্রে এমন আচরণ একেবারেই অস্বাভাবিক। সম্ভবত মাছটি তার বাসা এবং ছানাদের রক্ষা করতে চাচ্ছিল।

ঘটনার পর পুলিশ এসে প্রথমে সাঁতারের এলাকা বন্ধ করে দেয় যাতে আর কেউ আক্রান্ত না হন। পরে একজন পুলিশ সদস্য তাঁর সার্ভিস পিস্তল দিয়ে মাছটিকে গুলি করেন। পরে দুইজন জেলে মাছটিকে একটি নৌকা দিয়ে হ্রদ থেকে তুলে আনেন। এরপর সাঁতারের এলাকা পুনরায় খুলে দেওয়া হয়।

ওয়েলস মাছ আকারে অনেক বড় হতে পারে। প্রায়ই জার্মানিতে তারা আলোচনায় আসে। ২০ বছর আগে নর্ডরাইন-ভেস্টফালেন রাজ্যে মুনশেনগ্লাডবাখ শহরে ‘কুনো, দ্য কিলার ওয়েলস’ নামে একটি মাছ আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছিল। তখন বলা হয়েছিল, মাছটি একটি তরুণ রাউহারড্যাকেল কুকুরকে গিলে ফেলেছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জার্মানিতে ‘জলদানবের’ আতঙ্ক
  • সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের হেনস্তার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
  • ‘আপনার কাছে করজোড়ে ক্ষমা ক্ষমা চাইছি’, মেজবাহর এই বক্তব্যের নেপথ্যে কী
  • যুক্তরাষ্ট্র জড়ালেও যুদ্ধের ফল অনিশ্চিত
  • পুরুষের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করেন যারা
  • উইকেট বুঝতে না পারায় ইনিংস ছাড়েননি, জানালেন শান্ত
  • ইরান ও গাজায় হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরব না হওয়ায় মোদির কড়া সমালোচনা সোনিয়ার
  • চরকির অসৌজন্যমূলক আচরণ, সাংবাদিক সমিতির নিন্দা ও প্রতিবাদ
  • সরাসরি: পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক ঘিরে ‘অস্বস্তি’
  • ইরানে কৌশলগত মার্কিন অস্ত্রের ব্যবহার হবে বিপর্যয়কর: রাশিয়া