বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত, লঙ্কানদের বিপক্ষে যুবাদের সিরিজ জয়
Published: 8th, May 2025 GMT
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ায় ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
সিরিজের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি যুবাদের। প্রথম ম্যাচে হারের পর টানা তিন জয়ে সিরিজে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। পঞ্চম ম্যাচে হেরে কিছুটা চাপের মধ্যে পড়ে আজিজুল হাকিমের দল। তাই শেষ ম্যাচটি ছিল কার্যত ফাইনাল। কিন্তু কলম্বোতে আয়োজিত সেই ম্যাচে বৃষ্টির হানায় বল মাঠে গড়াতে পারেনি সম্পূর্ণভাবে।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ওভারেই হারায় ওপেনার জাওয়াদ আবরারকে। এরপর অধিনায়ক আজিজুল হাকিম ও কালাম সিদ্দিকীর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দল। এই জুটি গড়ে তোলে ৬৫ রানের পার্টনারশিপ। কালাম ফিরলেও একপ্রান্ত ধরে খেলতে থাকেন আজিজুল। সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি গিয়েও সাফল্যের মুখ দেখেননি তিনি। ৭ চার ও ২ ছক্কায় ১১১ বলে ৯৪ রান করে আউট হন তিনি।
তার বিদায়ের পর রিজান হোসেন ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছিলেন। ৩৯.
এই পরিত্যক্ত ম্যাচেই নিশ্চিত হয়ে যায় সিরিজ জয়। ৬ ম্যাচের সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে ট্রফি ঘরে তোলে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও নজর কেড়েছেন বাংলাদেশের যুবা ক্রিকেটাররা। ওপেনার জাওয়াদ দুটি সেঞ্চুরিসহ করেন সর্বোচ্চ ৩০২ রান, আর সর্বোচ্চ ১২ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা বোলার হন আল ফাহাদ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শহীদুল ইসলামকে বিএনপির প্রার্থী করার দাবিতে মহাসড়কে বিক্ষোভ, মানববন্ধন
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলামের সমর্থকেরা। তাঁরা শহীদুল ইসলামকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানিয়ে এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন।
এর ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার বিকেলে ভেড়ামারা লালন শাহ সেতু থেকে কুষ্টিয়া ত্রিমোহনী পর্যন্ত কুষ্টিয়া–ঈশ্বরদী মহাসড়কের ১৮ কিলোমিটারে অন্তত ৫টি স্থানে মানববন্ধন হয়েছে। একপর্যায়ে শহীদুল ইসলামের সমর্থকেরা স্লোগান দিতে দিতে মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন।
৩ নভেম্বর জাতীয় সংসদের ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিএনপি। কুষ্টিয়া-২ আসনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রাগীব রউফ চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরপর থেকেই দুই উপজেলায় শহীদুল ইসলামের হাজারো সমর্থক আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।
আজ বেলা তিনটার দিকে মিরপুর ও ভেড়ামারার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হাজারো নারী–পুরুষ ব্যানার ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে কুষ্টিয়া–ঈশ্বরদী মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন। তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। বিকেল পাঁচটার দিকে শহীদুল ইসলাম ছাদখোলা একটি গাড়িতে মহাসড়ক দিয়ে কুষ্টিয়ার দিকে যান এবং হাত নেড়ে সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তাঁর গাড়ির পেছনে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা হয়। মানববন্ধন কর্মসূচি কুষ্টিয়া সদরের শেষ প্রান্ত ত্রিমোহনী এলাকা থেকে মিরপুর বহলবাড়িয়া হয়ে ভেড়ামারা দশমাইল, নয়মাইল হয়ে বারোমাইল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
এ সময় শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সবাই ধানের শীষের ভোট করব। আমরা ধানের শীষকে সংসদে নিয়ে যাব। কিন্তু এখানে যাঁকে সম্ভাব্য প্রার্থী করা হয়েছে, তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো নেতা–কর্মীর সম্পর্ক নেই। তিনি ভালো আইনজীবী হতে পারেন, কিন্তু দক্ষ রাজনৈতিক নেতা নন। তিনি জনবিচ্ছিন্ন একজন নেতা। তাঁকে দিয়ে এই আসনে ধানের শীষের বিজয় আনা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’
মিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আশরাফুজ্জামান শাহিন বলেন, তৃণমূলের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট—এই আসনে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হলে শহীদুল ইসলামের কোনো বিকল্প নেই। দলীয় মনোনয়ন তাঁকেই দিতে হবে।
ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই আসনে যাঁকে সম্ভাব্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তিনি সারা জীবন ঢাকায় থাকেন। মিরপুর–ভেড়ামারায় তাঁকে বিএনপির কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। এমনকি বিগত ১৬ বছরের আন্দোলন–সংগ্রামে তাঁকে এলাকার কোথাও দেখা যায়নি। আমরা মাঠে থেকে আন্দোলন করেছি, জেল খেটেছি, হামলা–মামলার শিকার হয়েছি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার টিপু সুলতান, পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুর রশিদ, ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।