বিচার সংস্কারে প্রযুক্তিনির্ভর সাংবাদিকতা অপরিহার্য
Published: 8th, May 2025 GMT
বিচার বিভাগের কাঙ্খিত সংস্কার ও স্বাধীনতা বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকার ওপর জোর দিয়েছেন বক্তারা। তারা বলেছেন, বিচারব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে সাংবাদিকদের আরও দক্ষ ও তথ্যনির্ভর হতে হবে। বিশেষ করে প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম আইন বিষয়ক সাংবাদিকদের জন্য মোবাইল সাংবাদিকতার দক্ষতা বৃদ্ধি এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিচার সংস্কারে প্রযুক্তিনির্ভর সাংবাদিকতা অপরিহার্য।
বৃহস্পতিবার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘মোবাইল জার্নালিজম বুটক্যাম্প’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে উচ্চ আদালতে কর্মরত ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) সদস্যদের জন্য এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়। এতে সার্বিক সহায়তা দেয় সুইডেন দূতাবাস, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট এবং ইউএনডিপি-বাংলাদেশ।
দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল (সিনিয়র জেলা জজ) আজিজ আহমেদ ভূইয়া। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগের জন্য একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছেন, যার কিছু ধাপ ইতোমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে। পৃথক সচিবালয়সহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আইন ও বিচার বিষয়ক উপদেষ্টা রোমানা শোয়েগার বলেন, আদালত ব্যবস্থাপনার ডিজিটাল রূপান্তর এবং স্বাধীন প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার প্রয়োজনীয়তা এখন সময়ের দাবি। তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের যুক্তিসঙ্গত ও তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
ইউএনডিপি-বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক বলেন, বিচার বিভাগ সংস্কার রোডম্যাপ বিষয়ে দেশের সাতটি অঞ্চলে ইতোমধ্যে মতবিনিময় সভা হয়েছে। এতে জনগণের অংশগ্রহণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো.
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক তানজিম তামান্নার সঞ্চালনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৪০ জন আইন বিষয়ক সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব দ কত
এছাড়াও পড়ুন:
নাঈম-লিটনকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে দল ঘোষণা
বাংলাদেশ শেষ ওয়ানডে খেলেছে প্রায় চার মাস আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। আইসিসির সেই টুর্নামেন্টে ভালো খেলতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্তরা। গত নভেম্বরে আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়া নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে দলের ভেতরে। চার মাস পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলবে বাংলাদেশ। এই সিরিজ সামনে রেখে নেতৃত্বেও পরিবর্তন এসেছে। মেহেদী হাসান মিরাজ লিড দেবেন ৫০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।
এদিকে ওয়ানডে সিরিজের আগে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। যার একটি শেষ হয়েছে। আগামী ২৫ জুন কলম্বোতে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এরপর ২ জুলাই কলম্বোতেই শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। তার আগেই ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্কোয়াডে চমক হিসেবে ফিরেছেন লিটন দাস ও নাঈম শেখ।
সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে ছিলেন না লিটন। আর প্রায় দুই বছর পর ওয়ানডে দলে ফিরেছেন বাঁহাতি ওপেনার নাঈম শেখ। এছাড়া চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন পেসার তাসকিন আহমেদও। আজ মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন দল ঘোষণা করেন।
সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। তাদের জায়গা পূরণে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাস। ওয়ানডে অধিনায়ক মিরাজের ব্যাটিং অর্ডারেও আসতে পারে পরিবর্তন।
বিসিবির ঘোষিত স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন নাসুম আহমেদ ও সৌম্য সরকার। সৌম্যর জায়গায় দলে ফিরেছেন নাঈম, যিনি এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দারুণ ফর্মে ছিলেন। নাঈমকে জায়গা দেওয়া হয়েছে সৌম্য সরকারের জায়গায়। প্রধান নির্বাচক জানিয়েছেন, সৌম্য পিঠের পুরোনো চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় দলে রাখা হয়নি। অন্যদিকে, তাসকিনের সঙ্গে ফিরেছেন মউস্তাফিজুর রহমানও। পেস ডিপার্টমেন্টে আছেন তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানাও। রিস্ট স্পিনে আছেন রিশাদ হোসেন, আর বাঁহাতি স্পিনে তানভীর ইসলাম।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ ওয়ানডে স্কোয়াড: মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, মোহাম্মদ নাঈম, নাজমুল হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, লিটন কুমার দাস, জাকের আলী, শামীম হোসেন, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান, নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।